সর্বজন জানা কিছু কথা আবারও বলার নিরাথক চেষ্টা,চাইলেই এড়িয়ে যেতে পাড়েন।অন্যথায় নিজ গুনে ক্ষমা প্রদর্শন করবেন !!
খবর ঃ- বাঁশখালি নোয়াখালির পর খুলানায় আজ আবার জামায়েত-শিবিরের সাম্প্রদায়িক তান্ডব।৯ টি মন্দিরে ভাঙচুর এবং আনুমানিক ২০টি হিন্দু বাড়িতে আগুন দিয়েছে জামায়েত-শিবিরের দুষ্কৃতিকারীরা !!
এইবার আসি মূল কথায়।দুপুরে ফেইসবুক ব্যবহার করতে করতে হঠাৎ এক ক্ষিপ্ত বন্ধুর স্ট্যাটাস দেখে আমার চোখ আটকে গেল।তার স্ট্যাটাসটি সম্পূর্ণ কপি করে নিম্নে দিলাম—
খুলনায় আজ আবার ৯ টা মন্দির ভাঙচুর আর ২০ টার উপর হিন্দু বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে!! নবী (স) কে নিয়ে কিছু বললে এটা ধর্ম অবমাননা আর দেব দেবী মূর্তি ভাঙলে ধর্ম রক্ষা তাই না?? হিন্দুরা কি বানের জলে ভাইসা আসছে??মায়ানমার এ কিছু হলে ওদের মুখ দিয়া আগুন বাইর হয়,আর নিজের দেশ এর মানুষ এর কিছু হলে মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকা তাই না?? ধর্য ধরছি আর না।ইন্ডিয়ার মানুষদের প্রতি অনুরোধ সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে আর্মি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।তারপর দেখি ৩০ মিনিট পড়ে বাংলাদেশে জামাত-শিবির বলে কিছু থাকে কিনা।
(এখানে বলে রাখি বন্ধুটি আবার হিন্দু ধর্মাবলম্বি)
বন্ধুটির স্ট্যাটাসে আমি লাইক দিলাম আসলেই এভাবে একের পর এক হিন্দুর নির্যাতন সহ্য হবার কথা না।তার উপর যখন আমি নিজেই একজন হিন্দু ঘরের ছেলে !!
কিন্তু, নির্দ্বিধায় যেভাবে ভারত সরকারের কাছে সে সাহায্য প্রার্থনা করে বসলো আসলেই কি সে সেটা দেশের জন্য ভেবে চিন্তে কিছু করল!!
এবার আপনাদের সামনে পরিসংখ্যানের একটি অংশ নিয়ে আসি—
বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে ৬.৫ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সর্বশেষ ৩০ বছরে ১১০জনের(প্রায়) মত বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বি. এস. এফ. বিনা কারণে(আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড ব্যতীত)।
যার মধ্যে রয়েছে ১৫ বছরের সরলমনের চঞ্চলাচপলা ফেলানী মত মেয়ে।যার লাশ কিনা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছি সিমান্তের কাঁটা তারের উপর !! আছে এমন নিদর্শনও,এক রাজশাহীর নিরীহ রাখালের উপর অমানুষিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা (ইউটিউবের কল্যাণে যা আমরা অনেকেই দেখেছি) এবং শুভেচ্ছারূপে তার লাশ ফেরত দেওয়া।বেশি দূরে যাবার কি দরকার এই বছরেও তো তারা নতুন বছরের শুভেচ্ছারূপে আমাদের ৩টি লাশ উপহার দিয়েছে সেটাই বা ভুলি কি করে !!
আবার ফিরে আসি আগের কথাই আমাদের সবারই ১৯৭১-এর পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর কথা জানা।কিভাবে তারা ৭১-এ ধর্ষণ করে গেছে আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয় বাংলা মাকে,তার বিবরণ দিয়ে শেষ করাও যাবে না।কিন্তু ভারত?? রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পর আমরা কি আসলেই প্রতিবেশি রাষ্ট্র সুলভ আচরন পেয়েছি এই ভারত থেকে??
হ্যাঁ,আপনি বলতে পারেন আমি অকৃতজ্ঞ।আমি ভুলে যাচ্ছি ৭১-এর মিত্র বাহিনীর সেই অসহায় বাংলা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর কৃতী !! না,আমি কিছুই ভুলিনি আমি শ্রদ্ধাভরেই সম্মান প্রদর্শন করছি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রি ইন্দিরা গান্ধীর সেই সাহায্যকে।লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধে যে সশস্ত্র সহায়তা তারা প্রদান করেছিল তা অভুলনীয়।
তবে আমাদের পরিস্থিতির কথা ভুললেও চলবে না,তখন বাংলাদেশ ছিল পরাধীন একটি রাষ্ট্র।কিন্তু বর্তমানে আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক।আমাদের নিজেদের একটি পতাকা রয়েছে,আছে এক লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশ সত্তুর বর্গ কিলোমিটারের একটি দেশ।এই দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি আসতে পারে এমন কিছু কি করা আমাদের আসলেই সঠিক কাজ হবে??
কিছুদিন আগে বিরোধী দলের নেত্রী এক কলামে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আহ্বান করে দেশবাসীর কাছে যেভাবে তিরস্কারের সম্মুখীন হয়েছে সেই কাজটি যদি আমরাও করে তার সমতুল্য আচরণ করি তবে উনার (মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বৃহত্তর জামায়েত ইসলামীর বি.এন.পি. শাখার মহিলা আমির) আর আমাদের মধ্যে আদ্য কি কোন তফাৎ থাকবে??
সুতরাং,আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। আমি একজন হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়ে যদি আমার এলাকায় আমার মুসলিম ভাইদের নিয়ে মন্দির পাহারা দিতে পারি,মসজিদে মুসল্লীদের শান্তিতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।তবে আপনারা কি তা পারেন না?? এই দেশের ১৬কোটি মানুষ কি তা পারে না??
ছাগুরা অনেক আগে থেকেই যাচ্ছে এই দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দিতে,আপনি জেনে বুঝে সেই ফাঁদে পা দিবেন কোন যুক্তিতে??
নিজ অবস্থান থেকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগিয়ে আসুন,ওদের প্রতিরোধ করুন।দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারি না আমরা চোখ কান বন্ধ রেখে।
সত্যিই যদি আপনি চোখ কান খোলা রেখে ছাগুদের অভিন্ন পাকিস্থানের স্বপ্ন বাস্থবায়ন করতে না দেন তবে কেন ভারতের হস্তক্ষেপ আপনি কিনা বাঁধায় মেনে নিবেন??
কাল পেপারে পড়লাম বিজেপি নামে ভারতের একটি দল সংখ্যালঘুদের (হিন্দু সম্প্রদায়) উপর জামায়েত-শিবিরের অত্যাচার এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাকার উদ্দেশ্যে লং মার্চে এসেছিল।তবে বেনাপুল বর্ডারের পর তাদের আসতে দেওয়া হয়নি।কিন্তু আপনি কি তাদের অতীত ইতিহাস ভুলে গেলেন?? তারা কিন্তু জামায়েত ইসলামীর মত একটি মৌলবাদী দল।যারা ভারতে হাজার হাজার মুসলমানদের গায়ে আগুন দিয়ে মেরেছে।আপনি যেভাবে নিজের দেশের মৌলবাদী দলকে সমর্থন দেন না কিভাবে অন্য দেশের একই ধরণের দলকে সমর্থন দিবেন।আপনাকে ভেবে দেখতেই হবে,হিন্দু মুসলমানের ভেদাভেদ শুধু অমানুষরাই করতে পারে।আপনি যেহেতু মানুষ সেহেতু আপনি তা অবশ্যই করতে পারেন না।
তাই চোখ কান খোলা রাখুন,সর্বদিক বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন।আবেগের বশবতি হয়ে কিছু করার দিন শেষ।আপনার নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে আরো দশজন মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কিনা সুনিপুনভাবে বিচার বিশ্লেষণ করুন।ভুলে যাবেন না আপনার জীবনের মূল্যের চেয়ে এই দেশের মূল্য অনেক বেশি।এমন কিছু করবেন না যাতে বিরোধী শক্তির পূর্ব কোন পরিকল্পনা আপনি নিজেই নিজের অজান্তে বাস্থবায়ন করে দিচ্ছেন !!
৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর ফলে যে দেশের সৃষ্টি সেই দেশে যেমন রাজাকারের কোন ঠাঁই নেই,তেমনি সেই দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার বিশ্বের কোন দেশের নেই।আমরা ১৬ কোটি মানুষ যদি নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে না পারি,তবে এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কিছু থাকতে পারে না আমাদের !!
তাই আবারো বলছি চুপ করে বসে থাকার দিন শেষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।প্রতিরোধ করুন এই অশুভ শক্তিকে,বিতারিত করুন এদের বাংলার মাটি থেকে !!
৪২ বছরে জামাতিরা অনেক
৪২ বছরে জামাতিরা অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে আমাদের বড় দুটি ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দলের কল্যাণে ! সে তূলনায় নতুন প্রজন্মও কম অগ্রসর হয়নি জমাতী মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ! ভারত বিদ্বেসী ভাব দেখিয়ে, ধর্মের দোয়াই দিয়ে তারা যতটুকু এগিয়েছে নতুন প্রজন্মের তথ্য অনুসন্ধানে তারা ততটুকুই পিছেয়েছে। সুতরাং নতুন প্রজন্মের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে সেদিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন এদেশ হবে রাজাকারমুক্ত, যদ্ধাপরাধী মুক্ত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত….আসুন আমরা সবাই মিলে একসাথে মিলে এদেশকে রাহু মুক্ত করি… জয় বাংলা………….
নতুন প্রজন্ম জেগেছে,এবার আর
নতুন প্রজন্ম জেগেছে,এবার আর ধর্মের দোহায় দিয়ে,রাজনৈতিক উদ্দেশ হাসিলের চেষ্টা এই বাংলার মাটিতে সফল হবে না।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু !!
চমৎকার লিখেছেন।
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
চমৎকার লিখেছেন।
ধন্যবাদ।আপনাদের উত্সাহ আমার
ধন্যবাদ।আপনাদের উত্সাহ আমার প্রেরণা !!
সজাগ থাকাটাই জরুরী। আশেপাশের
সজাগ থাকাটাই জরুরী। আশেপাশের মানুষ সজাগ হলে জামাতিদের সকল অপচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব। কারন, আমার পর্যবেক্ষন বলে, ওরা পুলিশের চেয়ে জনতার প্রতিরোধ বেশী ভয় পায়।
সময় বড়ই অস্থির।এই অস্থির সময়ে
সময় বড়ই অস্থির।এই অস্থির সময়ে শত্রুরা চাইবেই আমরা ভুল করি।তাই হতে হবে সাবধান।বিদেশি হস্তক্ষেপ সমাধান নয়,আমাদের সচেতন ঐক্যই সমাধান।
খাঁটি কথা বলছেন আমাদের ঐক্য
খাঁটি কথা বলছেন আমাদের ঐক্য আর সচেতনতাই হবে এই অস্থির সময়ের একমাত্র সমাধান।
কলমের শক্তি তলোয়ারের চেয়ে
কলমের শক্তি তলোয়ারের চেয়ে অধিক । আর আমাদের বর্তমান কলম হলো কি-বোর্ড। চলছে কি-বোর্ডের শক্তি সাথে সাথে আমার আপনার আশে পাশের ধর্মান্ধদের সচেতন করার প্রক্রিয়াও চালু রাখতে হবে। জয় আমাদের সুনিশ্চিত…….. জয় বাঙলা……..
কলমের শক্তি তলোয়ারের চেয়ে
এই প্রক্রিয়া আজ শুধু আপনা আমিতে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরো বাংলায় ছড়িয়ে দিতে হবে,অন্যথায় এদেশকে সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাবার কোন পথ খোলা থাকবে না।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু !!
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। :কনফিউজড:
সত্যিই তাই,জনতার প্রতিরোধকে
সত্যিই তাই,জনতার প্রতিরোধকে ওরা সব চেয়ে বেশী ভয় পায় তার প্রমাণ আমি হাতে নাতে পেয়েছি। তাই আমাদের সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে !!
চমৎকার লিখেছেন
চমৎকার লিখেছেন