এক
অভিজিৎ রায়ের একটি লেখার সমালোচনা করে গত সেপ্টেম্বর মাসে ইস্টিশন ব্লগেই একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। এর ফলে যে বিতর্ক শুরু হলো তার সাক্ষি অনেক আছেন, অনেকে সেই বিতর্কে যুক্ত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেছেন। বিতর্কটা মাঝপথে কিছুটা ভদ্রতার সিমানা অতিক্রম করেছিল। কিন্তু দিনশেষে সেটা একটা বিতর্কই ছিল, ক্যাচাল নয়। কিন্তু এই বিতর্ক কেবল আমার ও তার এবং আমাদের বন্ধুদের মধ্যে চলমান কোন বিচ্ছিন্ন বিতর্ক ছিল না, রাজনৈতিক ইসলাম নিয়া এইধরণের বিতর্ক সেই সময় গোটা দুনিয়া জুরেই চলছিল। এখনো চলছে। আমাদের বিতর্কটা বর্তমান সময়ে দুনিয়া জোরা চলমান একটা বড় বিতর্কের অংশ। এই বড় বিতর্কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ, লাখো মানুষ এই বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন এবং এই বিতর্ক দুনিয়ার শত কোটি মানুষকে বিচার ও তার ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে চায়। এই বড় বিতর্কের সহজ নাম দেয়া যেতে পারে ‘ইসলাম ও রাজনীতি’। আবার ‘ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ’ এই নামও দেয়া যেতে পারে। রাজনৈতিক ইসলাম ও ইসলামের মধ্যে আদৌ কোন পার্থক্য সম্ভব কি না তা এই বিতর্কের অন্তর্গত। কিংবা ইসলামের সাথে সন্ত্রাসবাদের আদৌ কোন সম্পর্ক আছে কি না অথবা ইসলাম মূলগতভাবেই একটি সন্ত্রাসী ধর্ম কি না তাও এই বিতর্কের অন্তর্গত বিষয়।
এই বড় বিতর্কের ছোট্ট একটা অংশ অভিজিৎ রায়ের সাথে বিতর্কটি। এই বিতর্কে কে হারছে এবং কে জিতছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারন এই বিতর্ক যে বড় বিতর্কের অংশ তাতে যেমন বহু ব্যক্তি জড়িত, তেমনি জড়িত বহু পক্ষ। তাই এই বিতর্কে কে কার পক্ষে আর কে কার বিপক্ষে তা বুঝে উঠতে সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিতর্কে কে হারলে কে জিতবে আর কে জিতলে কে হারবে সেই বিষয়ে পরিস্কার ধারণা না থাকলে জয় পরাজয়ে খুশি অথবা মনখারাপ না হওয়াই ভালো। বিতর্কের শেষে অনেকে আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলেছিলেন, তুমিই জিতছো। অভিজিৎ রায়ের বন্ধুরাও নিশ্চয় তাকে তাই বলেছে। প্রাচীন কালের রাজাদের ইতিহাসে দেখা যায় একি যুদ্ধে বিজয়ের দাবি তুলেছেন প্রতিপক্ষ রাজাদের নিজ নিজ ইতিহাস লেখকরা। বর্তমান ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এইসব যুদ্ধ অমিমাংসিত ছিল, তাই দুই রাজাই প্রচার করেছেন যে সে জিতছে এবং অপরজন হারছে। অভিজিৎ রায়ের সাথে বিতর্কটিও অমিমাংসিতই ছিল, বর্তমানে চলমান বড় বিতর্কটিও অমিমাংসিতই আছে। এর মিমাংসার সাথে দুনিয়ার বহু মানুষের ভাগ্য জড়িত। সুতরাং আগের দিনের রাজাদের মতো বিজয় দাবি করার প্রশ্ন ওঠেনা। কিন্তু তার মতো একজন জ্ঞানী ও তার্কিক মানুষকে তর্কে যথেষ্ট কাবু করেছি এবং বাঙলার নয়া নাস্তিবাদীদের একহাত নিয়েছি এই আত্মতৃপ্তিতে একটুও ভুগিনাই তা বললে মিথ্যা বলা হবে। অভিজিৎ রায়ও ঐ বিতর্কে জিতছেন এমন ভাবতেন বলে মনে হয় না। ভাবলে বিতর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার প্রায় মাস খানেক পরে জানুয়ারির ১৮ তারিখে নিজের অবস্থানের পক্ষে আরেকটা লেখা লিখতেন না। “ধর্ম কেন ভাইরাসের সমতুল্য? (প্রেক্ষিত : পেশোয়ার এবং শার্লি এবদো)” নামের এই লেখাটিই মুক্তমনা ব্লগে অভিজিৎ রায়ের শেষ লেখা। যেহেতু, বিতর্কে আমিই কিছুটা এগিয়ে ছিলাম বলে আমার ধারণা এবং ঐ লেখাটিতে বিপন্ন বোধ করি নাই, এবং নিজের বইয়ের কাজ শেষ করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, তাই পালটা জবাব দেয়ার দরকার বোধ করি নাই। ঐ লেখার শেষে অভিজিৎ রায় আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তিনি হয়তো বিতর্ক থেকে আমাদের মধ্যে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছিল তা ঘোচাইতে চাইছিলেন।
কিন্তু আমি দূরত্ব কমাইতে আগায়া গেলাম না। আমিতো জানতাম না এমন কিছু হইতে পারে। আমিতো ভাবছি আরো বহুবছর তার সাথে তর্ক লড়বো। বইমেলায় ২৬ ফেব্রুয়ারি শুদ্ধস্বরের নতুন বইগুলার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গেলাম। সেখানে অভিজিৎ রায় ছিলেন। তিনি আমাকে দেখছেন, আমি তারে দেখছি। কিন্তু হাই হেলোও করা হয় নাই। একবার ভাবলাম নিজেই আগায়া গিয়া কথা বলবো। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরী হওয়ায় সেখান থেকে চলে আসলাম। কয়েক ঘন্টা পরই খবর পেলাম তার উপর হামলা হয়েছে। হাসপাতালে যখন গেছি তিনি আর তখন বেঁচে নাই। মরে গিয়ে আমাকে পরাজিত করে গেলেন। অভিজিৎ রায়ের সবচাইতে বড় গুনাবলির একটা ছিল ভদ্রতা ও বিনয়। অযথা আক্রমনাত্বক না হয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলতেন। এই জিনিসটা আমি নিজেও চেষ্টা করি। কিন্তু যখন তার সাথে তর্ক হইল, তখন দুইজনই ভদ্রতার সিমানা অতিক্রম করেছি বলে মনে হয়। কিন্তু দিনশেষে মানবিকতায় তিনিই জিতলেন। আমি হারলাম।
অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে আমাদের পরাজয়ের শেষ নাই। সবচাইতে বড় পরাজয় আমরা অভিজিৎ রায়ের নিরাপদে লেখার অধিকার নিশ্চিত করতে পারলাম না, তাকে বাঁচাইতে পারলাম না। এই পরাজয়ের গ্লানি যতোদিন বেঁচে আছি ততোদিন বহন করতে হবে। সন্ত্রাসীরা দেখিয়ে দিয়ে গেলো যে শাহবাগ, টিএসসির মতো এলাকা, যেসব এলাকা নিয়ে আমরা প্রগতিশীলরা গর্ব করি সেইসব এলাকায় এসেও তারা আমাদের মেরে ফেলে রেখে যেতে পারে। বাংলাদেশ আবার পরাজিত হইল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই যে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত হয় না, তা আরেকবার প্রমানিত হইলো। যেই ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলাম, অভিজিৎ রায়কে খুন করে সেই তত্ত্বের শক্তিও সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধি করে দিয়ে গেলো। অভিজিৎ রায়ে’র সাথেতো তর্ক করা যাইতো। কিন্তু তার নাম ভাঙায়া এখন যে মৌলবাদী নয়া নাস্তিকরা এই তত্ত্বের প্রচার করে যাবে তাদের সাথে তর্ক করাও সময় নষ্ঠের নামান্তর হবে। একটি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের জন্যে আমাদের লড়াইটা সবদিক থেকেই কঠিন হয়ে গেলো।
দুই
ফেসবুকে জনৈক নাস্তিককে দেখলাম ইসলাম যে মূলগতভাবেই রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী ধর্ম এবং ভিনধর্মের মানুষদের ধর্মান্তরিত করা যে মুসলমানদের কর্তব্য এটা তিনি আল গাজ্জালি ও ইবনে খালদুনের দুটি উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। এই ধরণের প্রচার প্রচারণা আগে সাম্প্রদায়িক মুসলমানরা চালাইতো। এখন নাস্তিকরাও চালায়। কেনো চালায় তার একটা ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাস নিয়া কথা বলার ইচ্ছা রাখি সামনে। কিন্তু খালদুনের উদ্ধৃতিটা আগে আলোচনা করা দরকার। উদ্ধৃতিটা নিচে তুলে ধরছি –
‘শক্তি প্রয়োগ অথবা বুঝিয়ে সুঝিয়ে প্রত্যেককে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা ও মুসলিম মিশনে সর্বজনীনতার কারণে (এর প্রসারের জন্য) যুদ্ধে যাওয়া মুসলিমদের ধর্মীয় দায়িত্ব’।
যারা ইবনে খালদুনকে চেনেন না, এই বাক্য পড়ে তাদের মনে হতে পারে যে তিনি একজন মোল্লা যিনি শক্তি প্রয়োগ করে অথবা বুঝিয়ে শুনিয়ে সব মানুষকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে মুসলমানদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন। বাস্তবে ইবনে খালদুন ছিলেন একজন ইতিহাসবীদ, যাকে আধুনিক ইতিহাস বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। উপরের লাইনটা আমাদের আলোচ্য ফেসবুকার খালদুন লিখিত ‘মুকাদ্দিমা’ নামক বই থেকে নিয়েছেন। কিন্তু ঐ ফেসবুকার যে মুকাদ্দিমা পড়েন নাই সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত। কারন যার কথা বলছি তিনি কিছুদিন আগে ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে আমি আগে ইসলামবিরোধী ছিলাম এবং এখন কোন কারনে ইসলামপ্রেমী হয়ে গেছি। সম্প্রতি আমার বিভিন্ন নাস্তিক বন্ধু অভিযোগ তুলেছেন যে হেফাজতের উত্থান এবং বাংলাদেশে নাস্তিকদের উপর বিভিন্ন হামলার কারনে না কি ডরের চোটে আমার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে (কারো কার মতে মৌলবাদীদের টাকা খেয়ে)। অর্থাৎ আগে আমি ‘ভালো নাস্তিক’ ছিলাম এবং এখন ‘মডারেট মুসলিম’ হয়ে গেছি। এর প্রধান কারন আমি তাদের মতো সহি ইসলাম বিষয়ে ফতোয়াবাজি করি না। মৌলবাদীরা যাকে সহি ইসলাম বলে প্রচার করে, কিছু নাস্তিকও কেনো সহি ইসলাম বলতে তাই প্রচার করে? এই প্রশ্ন করাতেই তারা আমার উপর ক্ষেপেছেন। অভিজিৎ রায়ের সাথে বিতর্কের সময়ও এই বিষয়টা ছিল অন্যতম প্রধান। কিন্তু এই প্রশ্ন তো আমি নতুন তুলি নাই। হেফাজতের উত্থানের আগে, শাহবাগ আন্দোলনেরও আগে, এমনকি আসিফ মহিউদ্দীনের উপর আক্রমনেরও আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে সামহোয়ারইন ব্লগের একটা লেখার কিছু অংশ প্রমান হিসাবে নিচে তুলে ধরতে চাই –
“কোরআনে অমুসলিমদের হত্যা করা বিষয়ক বা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বিষয়ক যেসকল আয়াত আছে তার বেশিরভাগই বদর যুদ্ধের সময়ে নাজিল হওয়া, এবং সবই তৎকালিন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে। যেকোন বিচারে এইসব অতীতের বিষয়। কিন্তু কোরআনকে শ্বাসত ধরে এসব আয়াতকে বর্তমানের বিবেচনা করাটা একেবারেই রাজনীতির বিষয়।… গত শতাব্দিতে এসব আয়াতের রাজনৈতিক ব্যাবহার তালেবান এবং আল কায়েদা করেছে। তবে তার চেয়ে বেশি করেছে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠিগুলা তাদের সাম্রাজ্যবাদী অপতৎপরতা জায়েজ করতে গিয়া। এসব আয়াতকে বর্তমান এবং শ্বাসত হিসাবে হাজির করা গেলে এবং সালাদিন, তালেবান ও আল কায়েদার কোরআনিক ইন্টারপ্রিটেশনকে প্রকৃত কোরআনিক ব্যাখ্যা এবং তাদের ইসলামকে প্রকৃত ইসলাম হিসাবে প্রচার করা গেলে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের গনতান্ত্রিক বৈধতা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের অনেক নাস্তিককেও বুঝে অথবা না বুঝে অথবা শ্রেফ তর্কের প্রয়োজনে বিভিন্ন ইংলিশ সাইট থেকে এসব আয়াতকে বিচ্ছিন্ন ভাবে কোট করে ইসলামের এইসব আয়াতকে শ্বাসত এবং বর্তমানের বলে প্রচার করতে দেখা যায় এবং তালেবান ও আল কায়েদার ইসলামকে প্রকৃত ইসলাম হিসাবে প্রচার করতে দেখা যায়। এইক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিকভাবে এই দুই গোষ্ঠিকেই লাভবান করছে বলে মনে হয়।… কিন্তু লাদেন এবং আমিনি যারে প্রকৃত ইসলাম বলে, সাম্রাজ্যবাদীরা যাকে প্রকৃত ইসলাম বলে, বাঙলার অনলাইন নাস্তিককূলও যদি তাকে প্রকৃত ইসলাম বলে, তাইলে আমিনি এবং সাম্রাজ্যবাদীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাইলে বুঝা যায়। কিন্তু নাস্তিকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কি? (আইডেন্টিটি, আইডিয়ালিজম ও ইশ্বর বিষয়ক চিন্তা ভাবনা, সামহোয়ারইনব্লগ, ২৬ ডিসেম্বর ২০১২)
এই লেখাটি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি বইমেলায় প্রকাশিত ‘শাহবাগের রাষ্ট্রপ্রকল্প’ বইটিতেও রেখে দিয়েছি। এই বইটির পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন অভিজিৎ রায়। যেহেতু তিনি এই বইটিকে ভালো বই বলেছেন আন্দাজ করি পড়েই বলেছেন। আমার অনেক নাস্তিক বন্ধু বইটি কিনেছেন, কেউ এই লাইনগুলা নিয়ে তখন অভিযোগ তুলেন নাই। একি কথা বলায় তখন যে অভিযোগের মুখে পড়িনাই, এখন কেনো পড়ছি? (চলবে)
(পরের পর্বে ইবনে খালদুনের উদ্ধৃতি ভুলভাবে ব্যবহার এবং ইসলামের সাথে রাজনীতি ও জিহাদের সম্পর্ক বিষয়ে খালদুনের মতামত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো)
সালাদিনকে আল কায়েদা এবং
সালাদিনকে আল কায়েদা এবং তালেবানের সাথে একই কাতারে ফেলার শানে নুযূল কি?
ধর্মকে বিরোধিতা করাটা কোনো
ধর্মকে বিরোধিতা করাটা কোনো মতাদর্শ হতে পারে না। মতাদর্শিক অবস্থানটা যদি মানুষের কল্যাণ বা মানবজাতির বিকাশ হয়, তাহলে এসব ভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। পৃথিবীতে সব অনুসন্ধানই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে করা হয়। চিন্তাকাঠামো তথা মতাদর্শে যদি বিশেষ কোনো অবস্থানের বীজ থাকে, তাহলে কেউই নিজের ওই অবস্থানের ভুল খোঁজেন না। ফলে নিজের চিন্তার সীমাবদ্ধতাও শনাক্ত করতে পারবেন না। মুক্তমনা হওয়া দরকার এখানেই- নিজের চিন্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা দরকার। আমাদের এখানটায় ঘাটতি আছে।
ধর্মকে বিরোধিতা করাটা কোনো
মতাদর্শ বা মানুষের কল্যান প্রতিষ্ঠায় যখন ধর্ম বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তখন কি করবেন? শেখ হাসিনার রাষ্ট্রের টাকায় ৫০০ মসজিদ স্থাপন তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত না। কি বলেন হে কমরেড?
হুম, চিন্তার বিষয়।
হুম, চিন্তার বিষয়। :ভাবতেছি:
হুমকি-ধমকির এই সময়ে একটু
হুমকি-ধমকির এই সময়ে একটু ডিফেন্সিভ খেলতে হয়। মধ্যমপন্থী বা সবশ্রেনীর মডারেটরা এমনটাই করে। মডারেট বা মধ্যমপন্থীরা সুবিধাবাদী হয়। এরা আসলে শ্রেণীশত্রু। সরকারের রোষানল এবং জঙ্গিদের কোপানী থেকে বাঁচতে হলে এই মুহুর্তে সুবিধাবাদি আচরণ করা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে প্রতিক্রিয়াশীলদের কাছে ফাইনালী মাপ কেউ পাবেনা। মজার বিষয় হচ্ছে দিনশেষে মুসলমানরা মনে করে আল কায়েদা বা আইএস হচ্ছে প্রকৃত ইসলাম। এরা যা করছে কোরানের নির্দেশমতই করছে। সুবিধাবাদিদের মধ্যে কেউই এখনো এসব সন্ত্রাসী গোষ্টির ইসলামকে ভুল ইসলাম বলে প্রমাণ করতে পারে নাই।
এগিয়ে যান হে মডারেট নাস্তিক।
সমস্যা হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে
সমস্যা হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখলে খুব সহজেই ব্লগ আর ফেসবুক সেলিব্রিটি হওয়া যায়। এই লোভ অনেকেই সামলাতে পারেন না। নোংরাভাবে ইসলামকে আক্রমন করা ফলপ্রসু কিছু নয়। ইসলামকে যুক্তির বাইরে নোংরাভাবে আক্রমন করাটা ভুল। অভিজিত নিজেও এই রোগে আক্রান্ত ছিল।
ইসলাম, আগাছা টাইপের কিছু একটা হলে সময়ের সাথে অন্যান্য ধর্মের মত এমনিতেই হারিয়ে যাবে। আর ঈশ্বর প্রদত্ত হলে , অনেক কাঠ -খর পুড়িয়েও কোন লাভ হবে না।
হারিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এই
হারিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। এই আতংক থেকেই ধর্ম রক্ষার জন্য এতসব হত্যাকান্ড। মজার বিষয় হচ্ছে ইসলাম এসব হত্যাকান্ডকে কোরানের নির্দেশানুযায়ী সমর্থন করে।
অভিজিৎ রায়ের মৃত্যুতে আমাদের
সহমত।