?oh=b997c043d102fd75093c8981b83c8ccc&oe=56579BA4&__gda__=1447095844_e997d8b7d714869019308b42d7df16c0″ width=”400″ />
লালমনিরহাট দেশের সর্ব উত্তরের একটি জেলা। নানা কারণে এই জেলাটি দেশবাসীর কাছে পরিচিত। ছিটমহল, সীমান্ত, তিস্তা, এরকম অনেক কিছুই ছিল আগে। কিন্তু এখন আলোচনায় আছে আওয়ামী তৎপরতা। লালমনিরহাট মানেই এখন সরকারি দলের যা খুশি তাই করার খবর। অনেকের মতে, জেলাটি এখন আওয়ামী মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।
গত এক মাসে এই জেলার ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার দিকে তাকালে এই অভিযোগ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। পুলিশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে পেটাচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায়, সিগারেট বাকিতে না দেয়ায় দোকানদারসহ তার ছেলেদের কুপিয়ে আহত-নিহত করা হচ্ছে। টেন্ডার নিয়েও চলছে লড়াই। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেও পড়ছে লাশ!
এ অঞ্চলে আগে থেকেই আছেন আওয়ামী নেতা ফিজার। যার লোকেরা অর্ধেক জেলা নিয়ন্ত্রণ করেন। সম্প্রতি জেলাটিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী মুল্লুক প্রতিষ্ঠার ডাক দেন সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। গত ১৭ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নবনিযুক্ত মন্ত্রী ঘোষণা দেন, ‘লালমনিরহাট অঞ্চলে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল থাকবে না’। যদিও বর্তমান এই আওয়ামী ঈমানদার নেতা, জেনারেল এরশাদের জামানায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন এরশাদবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন এবং ক্ষমতাসীন জাতীয় পার্টির আশীর্বাদে উপজেলা চেয়ারম্যান হন।
এই আওয়ামী নেতা বিশেষ কিছু যোগ্যতার বলেই খাদ্যমন্ত্রী গমুরুল ওরফে কামরুলের সহযোগী হয়েছেন। ২০১০ সালের ৬ অক্টোবরে ইত্তেফাক-এ প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ছিল- ‘লালমনিরহাট থানায় আওয়ামী লীগ নেতার হাতে এএসআই লাঞ্ছিত’। শিরোনামে ভুল ছিল। ভেতরে লেখা আছে, এটা ঘটে কালীগঞ্জ থানায়। আর ওই নেতা হলেন আজকের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী। আরো যোগ্যতা আছে তার, যা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। (সূত্র : প্রথম আলো, ১৮ জুলাই) এই নুরুজ্জামান মন্ত্রী হলে তার এলাকায় আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ থাকব না বলে হুঙ্কার দিতেই পারেন। দেখে আসি, আওয়ামী মুল্লুক প্রতিষ্ঠার ফলাফল কী!
লালমনিরহাট দিয়ে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিল, গাঁজাসহ সব ধরনের মাদক নিয়ন্ত্রণ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত কয়েকজন নেতা। এদেরই একজন চোরাচালান ও মাদকের গডফাদার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন কয়েক দিন আগে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মামুনের মৃত্যুর পর এখন তার অনুসারীরা এ কাজের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। নেপথ্যে থেকে এদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন মুল্লুকের অধিকর্তা। (সূত্র : যুগান্তর, ৯ জুলাই, ২০১৫)
গত ৫ জুলাই লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগের এক নেতার আটককে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় ছয় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় পিছু হঠে পুলিশ। (সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৫ জুলাই)
ওই জেলার শ্রমিক ইজারার টাকা, হাট ইজারার টাকা, মাদক ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় আ’লীগ নেতা আমিনুল খানের সাথে যুবলীগ নেতা বুলেটের বিরোধ ছিল। জানা যায় ২৭ জুন বুলেটকে ডাকে আমিনুল। সেখানে আগে থেকে রামদা, লাঠি চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র মজুত ছিল। আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল খানের চেম্বারে বুলেট এলে তার সাথে সাজানো বৈঠক হয়। এক কথা দুই কথায় তাৎক্ষণিক বিরোধ সৃষ্টি করে বুলেটের পায়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রাম দায়ের কোপে রক্ষক্ষরণ শুরু হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হামলাকারীরা বুলেটের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আনুমানিক ২০ মিনিট আটকিয়ে রাখে। তারা বসে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে বুলেটের ২টি পা যখম করে বিচ্ছিন্ন করে। (সূত্র : ইনকিলাব, ২৯ জুন)
সর্বশেষ ২৪ জুলাই, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে দোকানে ঢুকে দোকানমালিকের এক ছেলেকে হত্যা ও চার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় ছাত্রলীগের দুই নেতা ও তাঁদের সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লালমনিরহাটের আওয়ামী নেতা নুরুজ্জামান ও ফিজারসহ অন্যরা এই মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। যার সূত্রে ওই জেলায় এখন আমরাজত্ব কায়েম হয়েছে। যার ফলাফল এসব ঘটনা। জনগণকে আমরাজত্বের ফলাফল সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
লালমনিরহাট এখন পুরো
লালমনিরহাট এখন পুরো বাংলাদেশেরই চিত্র। সরকারি দলের পক্ষে যেভাবে প্রশাসন ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে এর চেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না। ‘সুশাসন’ এখন অভিধানে বন্দি কেবলই এক শব্দ। ধন্যবাদ, দারুণ এই প্রতিবেদনটির জন্য।
সারা বাংলাদেশই আওয়ামি
সারা বাংলাদেশই আওয়ামি মুল্রুকে পরিণত হয়েছে।
লালমনিরহাট আমার জেলা, আমি খুব
লালমনিরহাট আমার জেলা, আমি খুব ভালো করেই জানি আওয়ামী প্রভাব! :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: এককথায় স্বামী স্ত্রীর মনোমালিণ্য থেকে শুরু করে যে কোন ব্যপারেই এরা প্রভাব বিস্তার করে চলেছে! যা অত্যন্ত ঘৃণিত
এটা শুধুমাত্র একটি জেলা নয়।
এটা শুধুমাত্র একটি জেলা নয়। আমাদের সমগ্র দেশের চিত্র। এ বিষয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
ইশ মন্ত্রী যদি চিটাগাং
ইশ মন্ত্রী যদি চিটাগাং সাতকানিয়াকে আওয়ামী মুল্লুক বানানোর ঘোষণা দিত কতই ভাল লাগত ।
অনটপিকঃ পোষ্টটি সম্পূর্ণ করার জন্য শেষে আপনাদের চাহিদাটা কি এটা জুরে দেয়া উচিত ছিল ।
মন্ত্রী তার নিজের এলাকা
মন্ত্রী তার নিজের এলাকা চিনেন। ধান্দাপানির হিসাব বুঝেই তিনি জায়গা সিলেক্ট করেছেন। আগের রেকর্ডগুলো দেখেছেন? আর পোস্টের শেষেই কিন্তু চাহিদাটা বলে দেয়া হয়েছে। আপনি হয়তো দলীয় চোখ দিয়ে দেখার কারণে দেখতে পাননি। না দেখলে আবার দেখে নিন।
লেখককে পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। দু একটা দলীয় বাছুর ব্যতিরেকে বাদ বাকি জনতা অবশ্যই এর সত্যতা সম্পর্কে জানে।
আমি কোথাও বলেছি কি যে আমি
আমি কোথাও বলেছি কি যে আমি সত্যতা জানিনা বা মানি না ? বাম ছানা দের মত কথা বলেন কেন ?
লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি
লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি (সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী) মোতাহার সাহেবের সীমাহীন দূণির্তীর ইতিহাস এলাকার মানুষ ভালো করেই জানে। মাত্র কয়েক বছরেই তিনি, তার ছেলে, ভাতিজা, ভাগিনা, আশেপাশের আত্মীয় স্বজনরা কেউ কোটি কোটি আর কেউ কমপক্ষে অধর্ কোটি টাকার মালিক বনে গেছে! দলকানা না হলে এসব যেকেউ মেনে নেবে আর দলকানা হলে কিছু বলার নেই কারণ তারা অন্ধ ।
এই এক বিশাল ইতিহাস
এই এক বিশাল ইতিহাস :কানতেছি:
লালমনিরহাট জেলা আমার
লালমনিরহাট জেলা আমার জেলা,কিন্তু লক্ষ করুন সব জেলাতেই আঃলীগের সৈরাচার আর বাকরুদ্ধততায় মানুস অস্তুষ্ট