-
- গত ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করে ঘোষণা দেয় তাদের ১৩ টি দফা। উক্ত দিনেই তারা তাদের ১৩ দফার অন্যতম নারী স্বাধীনতা খর্বের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়ে দিয়েছে একুশে টিভির নারী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনের উপর হামলা করে এবং সেটি নিয়ে রীতিমতো চরম চাপে পড়ে গিয়েছে হেফাজত। রীতিমতো নারী সংগঠনগুলো এই হেফাজতীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার ঘোষণাও দিয়ে দিয়েছেন। সচেতন মহলগুলোও এই হেফাজতীদের “নো” কার্ড দেখিয়ে দিয়েছেন ইতোমধ্যেই। অল্পদিনে জন্ম নিয়ে খুউব বেশি নাচলে যা হয় আরকি।
শুরুতেই আমরা তাদের ১৩ দফা দাবীগুলো একটু পড়ে নেই….
-
-
- ১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
- ২. আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
- ৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
- ৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
- ৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
- ৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
- ৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
- ৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
- ৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
- ১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
- ১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
- ১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
- ১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
-
এইগুলোই হলো তাদের দাবী এবং এগুলোর জন্যই আজকের হরতাল ডেকে দিয়েছে ভুঁইফোঁড় এই সংগঠনটি। এখন দেখব আমাদের সংবিধান কি বলে, পঞ্চদশ সংশোধনীর একটি বই আমার কাছে আছে আর সেটি পড়ে সেখান থেকে যেগুলো দরকারী মনে হয়েছে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে তাই তুলে ধরেছি। এরপরেও আশা করি আপনাদের থেকে অনেক কিছুই পাবো পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে, যদি থাকে তাহলে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানঃ-
প্রথম ভাগ প্রজাতন্ত্রের
অনুচ্ছেদঃ৭ ক।
সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ। –
(১) কোন ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোন অসাংবিধানিক পন্থায় –
(ক) এই সংবিধান বা ইহার কোন অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বাঁ বাতিল বাঁ স্থগিত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহন বা ষড়যন্ত্র করিলে; কিংবা
(খ) এই সংবিধান বা ইহার কোন বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করিলে কিংবা উহা করিবার জন্য উদ্যোগ গ্রহন বা ষড়যন্ত্র করিলে –
তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে।
এর সাথেও আরো উল্লেখ্য রয়েছে যে সমর্থন কিংবা উস্কানি দিলেও একই দোষে দুষ্ট হবে এবং আইনত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় ভাগ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির
অনুচ্ছেদঃ১১।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারঃ প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্ত্বার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশ গ্রহণ নিশ্চিত হইবে।
অনুচ্ছেদঃ১২।
ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা।–
ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,
বিলোপ করা হইবে।
অনুচ্ছেদঃ৩৮।
সংগঠনের স্বাধীনতা।– জনশৃংখলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবেঃ-
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তির উক্তরুপ সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার কিংবা উহার সদস্য হইবার অধিকার থাকিবে না, যদি-
(ক) উহা নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়;
(খ) উহা ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়;
(গ) উহা রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়; বা
(ঘ) উহার গঠন ও উদ্দেশ্য এই সংবিধানের পরিপন্থী হয়।
তৃতীয় ভাগ মৌলিক অধিকারের
অনুচ্ছেদঃ২৮ ।
ধর্ম প্রভৃতির কারণে বৈষম্যঃ
(৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষদের বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরুপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।
অনুচ্ছেদঃ৪১।
ধর্মীয় স্বাধীনতাঃ (২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহন কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহন বা যোগদান করিতে হইবে না।
সরকার বলছে তারা হেফাজতীদের দাবীর ব্যাপারে আন্তরিক এবং ভেবে দেখবেন, অথচ আমি ভেবে আশ্চর্য হই এইরকম সাংবিধানিকভাবে চরম সাংঘর্ষিক দাবীর ব্যাপারে কি করে সরকার আন্তরিক হয় এবং তা ভেবে দেখবেন? একজন সচেতন মনের সাধারন মানুষ তাদের এই দাবী পড়া মাত্রই এর পক্ষে না গিয়ে বিপক্ষেই যেখানে অবস্থান নিবেন সেখানে সরকার কি করে এইরকম কথা বলেন তা মোটেও বোধগম্য হচ্ছে না।
হেফাজতীরা তাদের প্রথম দাবীতে বলেছে সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে কথা হলো একজন মুসলমান যখন কালেমা পড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন তখন কি তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস কি স্থাপন করেন না?
আমরা জানি সংবিধান হলো রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি বিধান যা মেনে চলতে বাধ্য থাকেন সেক্ষেত্রে একজন বিধর্মী কি করে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করবেন?
আর জোর করে ধর্ম চাপিয়ে না দেওয়ার জন্য যেখানে ইসলামেই বাঁধা আছে সেখানে এটি কতটা যুক্তিযুক্ত?
এরপর তারা বলেছে কোরান এবং সুন্নাহ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে, এক্ষেত্রে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় সংবিধানের প্রথম ভাগের অনুচ্ছেদ ৭ ক এর বিধানগুলো কি সাংঘর্ষিক হয়ে পড়ছে না? তাহলে কি সাংবিধানিকভাবেই এরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করছে না?
তারা তাদের দুই নং দাবীতে মৃত্যুদন্ডের যে বিধানের জন্য সংসদে আইন পাশের কথা বলেছে সেটি কিন্তু একপ্রকার ব্লাসফেমি পর্যায়ের আইন।
তাদের তিন নং দাবীতে কিন্তু পরোক্ষভাবেই শাহবাগের আন্দোলন বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় তারা যতই বলুক যুদ্ধাপরাধের বিচারে তাদের আপত্তি নেই কিন্তু পরোক্ষভাবেই তারা শাহবাগের বিরুদ্ধে গিয়ে, ইসলামের ধুয়া তুলে যুদ্ধাপরাধের বিপক্ষেই তাদের অবস্থান ঘোষণা করছে।
সবচেয়ে মজার এবং হাস্যকর দাবীটি হলো তাদের চার নং দাবীটি, যেখানে তারা বাক স্বাধীনতা, নারী পুরুষের অবাধ বিচরন এবং সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিংশ শতাব্দীর এই যুগে এসে যদি এইরকম মধ্যযুগীয় দাবী করা হয় তাহলে তা নিছক মশকরা ছাড়া আর কিছুই নয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের ব্যাপারে তাদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই যখন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলোনা সেসময়ের যুগে কি ব্যবহার করত? আর বিদ্যুৎ কি ইহুদি-নাসারাদের উদ্ভাবিত জিনিস নয়?
তাদের পাঁচ নং দাবী নিয়ে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে তবে এইক্ষেত্রে আমি নতুন করে যেটি যুক্ত করতে চাই সেটি হলো ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার প্রসঙ্গে সংবিধানের তৃতীয় ভাগ মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ ৪১ এর ধর্মীয় স্বাধীনতা (২)-এ স্পষ্টই উল্ল্যেখ আছে যে নিজ ধর্ম সংক্রান্ত না হলে তাহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহনে যোগ দিতে হবে না।
তাদের ছয় নং দাবীতে তারা বলেছে সরকারীভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে অথচ তারা একটিবারের জন্যও কোথাও তুলে ধরে নাই মওদুদীবাদ কিনবা তার অনুসারীদের নিষিদ্ধ করতে হবে। কাদিয়ানী নিয়ে অত ব্যাপক ধারণা না থাকলেও মওদুদী নিয়ে খুব একটা কম জ্ঞান নেই এবং যা আমার জামায়াত-শিবিরের অপপ্রপচার থেকে সাবধান এবং মিঃ আলা মওদুদী দ্য বেরাদর অফ শয়তান এন্ড ফাদার অব জামায়াত-ইসলাম এই দুইটি পোস্টে কিঞ্চিৎ তুলে ধরা হয়েছে। তবে তারা যেখানে লাখো মুসল্লির সামনে মাইকেই বলে দিয়েছে তাদের শরীরে মওদুদীর রক্ত সেখানে কিইবা বলার থাকে!!! (সন্দেহ জাগে সেখানে কি সকলেই ইসলামভীরু মুসল্লি ছিলো নাকি জামাতী মুসল্লি ছিলো)
তাদের সাত নং দাবীটি হলো সকল ভাস্কর্য এই মুহুর্তেই ভাঙ্গি ফালাও, ইসলামের এই দেশে কোন ভাস্কর্য থাকা যাবেই না। কেননা এরা মক্কা-মদিনাবাসী থেকেও চরম ইসলাম ধর্ম পালন করে(!) আর মক্কা-মদিনায় সাব ঝুটা হ্যায়।
তাদের আট নং দাবীটি অনেকেই যৌক্তিক ভাবছেন কিন্তু একবারের জন্যও কেউ বলছেন না যে এইসকল সমস্ত বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা তাদের জন্যই তৈরী হচ্ছে। অন্য ধর্মের কেউ তো মসজিদে হামলা করতে যায় না, তাহলে তাদের বাঁধা কোথায়? বাঁধা হলো সেখানে তাদের নিরাপত্তা(!) দিতে প্রশাসন মোতায়েন থাকে। না থেকেও উপায় নেই, সালাম ফেরানোর আগেই জামাতীরা যেভাবে জুম্মাবারে হৈ হৈ রৈ রৈ করে আতঙ্ক তৈরী করে দেয় তাদের ঠেকাতে প্রশাসন ছাড়া আর কারাইবা ভুমিকা রাখবে? এখন তারা যদি নিজেদের মধ্য থেকে এই মওদুদী পন্থী তালেবানীদের বের না করে তাহলে সেখানে কে যাবে? আর তাদের এইসকল তালেবানী দাবী পূরণ হওয়া মানেই হলো তালেবান পাকিস্তানের মতো রোজ মসজিদে বোমা পড়ার খবর আসা। এরপরেও তারা বলে উঠে তালেবানে যদি মোল্লারা চালাতে পারে তাহলে এখানে নয় কেন? আরে বলদ চেয়ে দেখ তালেবান,পাকিস্তানে নামাজ পড়ার সময়ে যতগুলো বোমা পড়ে এইদেশে বিগত দশ বছরে এতো পড়েছে কিনা।
তাদের নয় নং দাবীতে তারা বলেছে ধর্মীয় লেবাসের অবমাননা করা যাবেনা, তাদেরকে বলি ভন্ডরা যদি লেবাস ধারন করে ভন্ডামী করে তাহলে তাদের চরিত্রায়ন কিভাবে করা যাবে? নিশ্চয়ই ধুতি পিন্ধায়ে নয়! যত রাজাকার আছে তাদের প্রত্যেকটাই ধর্মীয় লেবাসধারী বদমায়েশ এবং তারা ধর্মকে বর্ম হিসেবেই ব্যবহার করছে আর এইজন্যই তাদের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতেই এই লেবাশ ঠিক যেমনটি ইংরেজ শাসকদের চরিত্র ফুটিয়ে তুলবার জন্য ঐরকম পোশাক পড়ানো হয়। আর জামাতীদের ধর্মকে বর্ম করে যে অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে তাতে করে এমনিতেই বিদ্বেষ জমে যায়, যখন এইসকল ধর্মীয় নেতাদের বাসায়,মেস ইত্যাদি থেকে মানুষ মারার যন্ত্র পাওয়া যায়, পাওয়া যায় অত্যাধুনিক রগ কাটার যন্ত্র।
তাদের ১০ নং দাবীতে তারা এন.জি.ও বন্ধের দাবী জানিয়েছে, কিন্তু পক্ষান্তরে তাকিয়ে দেখলে দেখা যায় এইসকল এন.জি.ও গুলো বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত হলেও এখানে তা পরিচালনা করছেন এই দেশের জনগন এবং তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছে মাঠ কর্মীরা। কিছু কিছু স্থানে খ্রিস্টান মিশনারীরা ধর্মান্তকরণ করে থাকেন তবে যতদূর জানি জোরপূর্বক নয় বরং বুঝিয়ে ও তাদের বেঁচে থাকার সামগ্রী দিয়েই ধর্মান্তকরন করে। এখন আপনারা যদি অহিংস পদ্ধতিতে জীবনধারন সামগ্রী দিতে পারেন তাহলে কেউ আশা করি ধর্ম পরিবর্তন করবেন না আর এক্ষেত্রে সাংবিধানিক ও আইনগত ভাবেও ধর্ম পরিবর্তন এবং গ্রহণের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
তাদের এগারো নং দাবীটির প্রেক্ষিতেও বলতে হয় আপনারা যদি অহিংস পন্থায় আন্দোলন করেন তাহলে নিশ্চয়ই দমন পীড়ন হবে না, কিন্তু জনজীবন বিপর্যস্ত করলে সেক্ষেত্রে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেই এবং এটি সাংবিধানিক ভাবেই স্বীকৃত।
তাদের বারো নং দাবী যেটি করেছে সেটির প্রেক্ষিতে বলা যায় খুব বেশিদিন আগে না কয়েকদিন আগেই আলেম-ওলামা হত্যার নীল নকশা এঁকেছিল জামায়াত এবং তা ধরাও পড়েছে। অথচ চরম আফসোসের সাথেই বলতে হচ্ছে তারা জামায়াতের বিরুদ্ধে সরাসরি কোন ভুমিকাতেই যাচ্ছে না বরং তারা তাদের দোসর বানিয়েই রাখছে।
তাদের তেরো নং দাবীটি যদি মেনে নেওয়া হয় সেইক্ষেত্রে সকল জামায়াত-শিবিরের বন্দী থাকা কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে নিঃশর্ত ভাবে।
উপরের পুরো আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই হেফাজতে ইসলাম মূলত এইদেশে জামায়াতের অন্যরুপ হয়ে তালেবানী জঙ্গীবাদ বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে এবং ইতোপূর্বেই এই দেশে পাকিস্তানী নাগরিক গ্রেফতারসহ ভারতীয় জালনোট উদ্ধারও এইসবের সাথে সম্পৃক্ত। বিভিন্ন ওলামা-মাশায়েক মতে এই হেফাজতে ইসলাম নামটিও ভুল এবং তাদের দাবী-দাওয়া অযৌক্তিক। তারা তাদের পুরো দাবীর কোথাও একবারের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী, ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা এবং জামায়াতের ভ্রান্ত ধর্মীয় প্রচারের বিরুদ্ধে বাক্য উচ্চারন করেনি উপরন্তু তারা তাদের সমাবেশেই বলে দিয়েছে তাদের শরীর মওদুদীর রক্ত।
এই মুহুর্তে সরকার চাইলেই পারেন ভুঁইফোঁড় এই সংগঠনটিকে আইন করে সংবিধানের যেকোন একটি ধারার সাথে সাংঘর্ষিক হয়েছে কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করে দিতে তবে এক্ষেত্রে জনসমর্থন দরকার আর তাই আমাদেরকে আরো একবার জড়ো হতে হবে। আওয়াজ তুলতেই হবে আরো একবার, গর্জে উঠতে হবে সারা দেশে। এইবারের আওয়াজ হবে চরম প্রতিবাদী এবার কোন প্রশাসনিক ঘেরাওয়ে নয় এবার নিজের দেশে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই নামতে হবে আর যদি বাঁধা আসে তাহলে সেই বাধাকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।
জয় বাংলা…. জয় বঙ্গবন্ধু….
হেফাযত বলছে তারা তাদের
হেফাযত বলছে তারা তাদের দৃস্টিকোন থেকে ১৩ দফাতে এসেছে।এই ১৩ দফা তো আদিম ১৩ দফা।আমাদের শিক্ষানীতি কি তাদের দূর দৃস্টিতে ব্যাঘাত হানে নি??কিংবা কবে কোন কালে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নজরদারী ছিলো??তাদের বেশীর ভাগ কর্মী তো কওমি মাদ্রাসা থেকে উঠে আসা।কথা হল তুমি কিংবা আমি গনতন্ত্র দেখসি।তারা দেখে নাই।তাদের কাছ থেকে কি রূপ আর আশা করা যায়???
কিন্তু আমরাতো তাদের
কিন্তু আমরাতো তাদের শিক্কগানীত নিয়ে মাথা ঘামাই না, তাহলে তারা কেন অনধিকার চর্চা করছে আমাদের নীতিতে?
ওরাই ধর্মকে দাড় করিয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মুখোমুখি, এই হেফাজতীরাই ধর্মকে বিতর্কিত করে দিয়েছে।
এরা যখন আমাদের নীতিতে অনধিকার চর্চা করেছে এখন উচিত তাদেরকে আমাদের প্রচলিত নিয়ম নীতিতে ফেলেই মারতে হবে, ঠিক যেমনটি হয়েছহিল হিযবুতের বেলাতে।
চমৎকার একটি পোস্ট। সাংবিধানিক
চমৎকার একটি পোস্ট। সাংবিধানিক বিশ্লেষন ভাল লেগেছে। হেফাজতীদের তের দফা নিয়ে কেউ যদি হাইকোর্টে রিট করেন প্রথম তুড়িতেই বিচারক এই ১৩ দফাকে বাতিল করবেন সংবিধানের আলোকে।
অধিকাংশই তো কপি পেস্ট শুধু
অধিকাংশই তো কপি পেস্ট শুধু পুতি নিয়ে সুতোয় গাঁথার মতো চেষ্টা করলাম, যতটা পেরেছি মিলিয়ে দেখালাম বাকীটা আরো সুন্দর করবেন আপনারা সকলেই মিলে এটাই কামনা।
চমৎকার পোস্ট। কিছুই বলতে বাকী
চমৎকার পোস্ট। কিছুই বলতে বাকী রাখেননি। তাই অন্য একটা আলাপ করি। হেফাজতিদের এই সমাবেশ কিন্তু একটা ম্যাসেজ আমাদের দিয়ে যায়। সেটা আমরা খেয়াল করেছি কিনা জানিনা। দেশের বিরাট একটা অংশকে অন্ধকারে রেখেই আমরা এগুতে চেয়েছি। যে কেউই তাদের সেই অন্ধকার থেকে হুট করে বের করে আনলে তাদের চোখ ঝলসে যায়। আঁধারে তবু তাদের চোখ সওয়া হয়ে ছিল তারা। চোখ ঝলসে গেলে তো সেটা অন্ধ হবারই সামিল। এটা নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।
ভাই সেই অংশটাকে যতই টানি লাভ
ভাই সেই অংশটাকে যতই টানি লাভ হবে না, গোবরের মাথা তাগো। কদাচিৎ দুই একজন হইলে আলাদা ব্যাপার।
তয় দারুন কইছেন।
দুর্দান্ত লেখা হইছে
দুর্দান্ত লেখা হইছে :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
চুদির ভাইগো ১৩ দফা দেখলেই ইউরিনের চাপ আইতাছে।
সরি দেখলেই না মনে পড়লেই
সরি দেখলেই না মনে পড়লেই
বুঝলুম্ না।
কমা বাদ পড়াই যতো বিপত্তি
কমা বাদ পড়াই যতো বিপত্তি লাগছে। বলছিলুম দেখলেই না, ১৩ দফার কথা মনে পড়লেই ইউরিনের চাপ আসে
যেমনি পিপীলিকার পাখা গজায়
যেমনি পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে . . .
তেমনি হেফাজতিদের ১৩ দফা গজাইয়াছে নিশ্চিহ্ন হইবার তরে . . .
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
পেছন থেকে বিদেশী শক্তি গুটি
পেছন থেকে বিদেশী শক্তি গুটি চালছে বলে মনে হয়! এই ১৩ দফা তাদেরই তৈরী করে দেয়া। অবশ্য এটা একান্তই ব্যক্তিগত মত।
মিডল ইস্ট (একাংশ) , টার্কি
মিডল ইস্ট (একাংশ) , টার্কি ইন্টালিজেন্স, আইএসআই এসব তো কমন গুটি চালানের জন্য। কোনভাবে এই দেশে তালেবানি কায়েম করতে পারলেই হইল। জঙ্গীবাদ দমনের নামে ঘাঁটি গাইড়া বইসা পড়ব হালার পো রা।
পোস্ট এতো বড় হয় তা আজ দেখলাম,
পোস্ট এতো বড় হয় তা আজ দেখলাম, একটা ব্যাপার বুঝি না। এই বাঙালি জাতি নিজেদের ক্ষতিটা খুব ভালোভাবেই করতে পারে এবং জানে। কি এমন সংঘটন হয়েছে হেফাজত যার জন্য এতো আলোচনা উপরন্তু স্টিকি করা হলো? এতে করে তাদের প্রাধান্যই দেয়া হলো। যে সময়টা ব্যয় করে এই পোস্ট লিখলেন সেই সময়টা অন্যকোন ভালো কাজে দিলে মঙ্গল হতো। হতে পারে কিছুটা জ্ঞান অর্জিত হয়েছে কিন্তু পক্ষান্তরে হেফাজতিদের নিয়ে এই মুহুর্তে যে আপনারা চরম চিন্তিত যতটা না বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন। লক্ষ্য ছিলো যুদ্ধাপরাধ বিচার সেটার কোনই খবর নাই উঠিয়ে রেখেছেন হেফাজতের ঝান্ডা!! ফেলেদিন এইসব হেফাজত-টেফাজত।
আপনার কথাগুলো মানছি কিন্তু এই
আপনার কথাগুলো মানছি কিন্তু এই হেফাজতীরা যেভাবে ধর্মের দোহাই দিয়ে চেচিয়ে যাচ্ছে তাতে তো এই জাতি হাউমাউ কান্না লাগিয়ে দিয়েছে।
তাই জনতাকে জানাতে, যে সরকার চাইলে কি পারে সেটিই দেখালাম আর উপরেই মন্তব্যে উঠে এসেছে যে জনতা যদি চায় তাহলে যে কেউ রিট করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
মেনেছেন যখন সেখানে কিন্তু
মেনেছেন যখন সেখানে কিন্তু লাগাবার কি দরকার ছিলো? যে কাজ সরকার করবে সেটি নিজের কাঁধে চাপিয়ে নেবার কি দরকার? সরকার যদি না চায় তার মানে সেখানে নিশ্চয়ই কারন আছে।
আপনারা যে দাবীতে নেমেছিলেন সেটি নিয়ে অনেক আশা ছিলো আজ সেই আশা নেই আগের মত। মূল দাবীকে ধরে এগিয়ে চলুন ডানে বামে তাকালে অনেক সমস্যা তো চোখে পড়বেই।
আপনার কিছু কথা মেনেছি আর
আপনার কিছু কথা মেনেছি আর কিছুতে দ্বিমত ছিলো বলেই কিন্তু লাগিয়েছি। সরকার আমরা গঠন করি সুতরাং আমাদের কাজের মধ্যেও পড়ে অনেক কিছুই। সরকার নিশ্চয়ই সুপার ম্যান না।
দয়া করে আশা হারাবেন না, এতো দ্রুতই যদি আশা হারিয়ে ফেলেন তাহলে আমাদের কি হবে?
যে সময়টা ব্যয় করে এই পোস্ট
একমত। এভাবেই ইতপূর্বে আমরা আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার ফলে, বিষয়টি অযাচিতভাবে সামনে চলে এসেছিল! তাই কোন মধ্যযুগের কি সব দাবী উতথাপন করলো হেফাজত, সেটিকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াকেই আমি শ্রেয় মনে করছি…. তারপরও ধৈর্য্য নিয়ে পোস্টটি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই…
একটি গল্প বলি, ধরুন আপনাকে
একটি গল্প বলি, ধরুন আপনাকে বলা হলো ক স্থান থেকে দৌড়ে ছ স্থানে পৌঁছাতে হবে। যথারীতি আপনি দৌড় শুরু করলেন লক্ষ্য একটাই ছ স্থানে পৌছানো, এখন পথে খ, ঘ, চ বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো এখন আপনি কি সেই বাঁধা না পেরিয়ে আপনার গন্তব্য ছ তে পৌছাতে পারবেন?
আমাদের পথে পথে বাঁধা আসছে প্রচুর এবং সবগুলোই পার করে করে এগোচ্ছি পাশ কাটাচ্ছি না, ৪২ টা বছর ধরে পাশ কাটিয়ে কাটিয়ে ছেড়ে দিয়েছি বলেই আজ ঐ বেজন্মাগুলো মাথা উঁচু করে গলাবাজি করছে, সেদিন যদি পাশ না কাটাতাম তাহলে আজ এই দশা হতো না।
আর ইতোমধ্যেই দেখেছেন গণজাগরনের বিরুদ্ধে যে বা যারাই মাথা তুলে দাঁড়ানোর অপচেষ্টা করেছে সকলেই কিন্তু পরাস্ত হয়েছে।
আপনার ভাষায় সবগুলো পার করে
আপনার ভাষায় সবগুলো পার করে করে এগুতে গেলে তো বর্তমান সরকারের মতো চার বছর লেগে যাবে। তাই যদি হয় তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ার কি দরকার আপনারাই তো তাদের দেখানো পথেই চলছেন আর সরকারের পক্ষে গেলে তো বলার কিছুই নেই সব পার করতে থাকুন আর দেশে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকুক।
এই উপমহাদেশে গত আড়াইশো বছর
এই উপমহাদেশে গত আড়াইশো বছর ধরে তারা এবং তাদের পূর্বশুরীরা এই দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে ততই তাদের দাবীগুলোর পক্ষে যৌক্তিকতা হারাচ্ছে এবং প্রতিটি দেশ সকল বাধা উপেক্ষা করে বহুত্ববাদী গনতন্ত্র বিনির্মানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা এই উপমহাদেশে বহু ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতির মানুষের বাস। এই বাস্তবতায় কোন একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পশ্চাদপদ ও মৌলবাদী ধর্মতত্বের উপর ভিত্তি করে কোন দেশের পক্ষেই তাদের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা নির্ধারন করা সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা তাদের এবং সকলের অনুধাবন করা দরকার।
প্রকৃত এবং বাস্তব সত্যটা তুলে
প্রকৃত এবং বাস্তব সত্যটা তুলে ধরবার জন্য ধন্যবাদ।
চমৎকার উপস্থাপনা। কিন্তু কথা
চমৎকার উপস্থাপনা। কিন্তু কথা হচ্ছে সংবিধান লীগ-দল-পার্টি-জামায়াতী কেউ মানে না। বাংলাদেশের সবাই দলবাজি, দলীয় স্বার্থ ও ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তারা সংবিধান মানবে কি করে,
তারা সংবিধান মানবে কি করে, কেননা তাদের দমানোর জন্য এই সংবিধান জনতার হাতে গিয়ে পৌছায়নি এবং সেই রাস্তায় বন্ধ। জনতা আগে থানায় গেলে পুলিশকে যতটা ভয় করতো বর্তমানে অতটা পায় না জনতা, কেননা তাদের সচেতন করেছে সরকার। ঠিক এরকমভাবে যদি সংবিধানের অংশগুলো খন্ডে খন্ডে মাধ্যমিক স্তর থেকে জানিয়ে আসতো তাহলে এইভাবে হেফাজতীরা ভুং ভাং দাবী করতে পারতো না।
সুমিত ভাই, চমত্কার মালা
সুমিত ভাই, চমত্কার মালা গেথেছেন,
চুদির ভাইগো সামনে পাইলে আমার একখান বাল
গিফট করনের বহুত ইচ্ছা
:মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট:
সাতকানিয়াতে পাওয়া যায় অনেক।
সাতকানিয়াতে পাওয়া যায় অনেক।
সুমিত চৌধুরী.. বাধা অপসারণ
সুমিত চৌধুরী.. বাধা অপসারণ যখন শুরু হয়েছে, তবে পরবর্তী বাধা কি তা শুরু করুন, …
বুঝলাম না ঠিক
বুঝলাম না ঠিক
সাতকাহনিয়া যাওয়ার নাম
সাতকাহনিয়া যাওয়ার নাম লইচনা,গেলে আর ফিরত আইতে পারবিনা।দালালের বাচ্চারা।
সাতকানিয়ায় গেলে কি করবি
সাতকানিয়ায় গেলে কি করবি রাজাকারের বাচ্চা। আমি আইপিসহ এই রাজাকারের ব্যান দাবী করছি।
হুম আমরা সবাই বাংলাদেশের
হুম আমরা সবাই বাংলাদেশের দালাল তোর মতন পাকিস্তানের দালাল না।
চমৎকার একটি পোস্ট
চমৎকার একটি পোস্ট