৭ম শ্রেণীতে পরা ছেলেকে নিয়ে এক সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হল এক বাবা! অতঃপর-
শিশুঃ আচ্ছা বাবা, মশা কামরায় কেন?
বাবাঃ এইটাই মশার কাজ?
শিশুঃ মশার কাজ শুধু খাওয়া?
বাবাঃ না মানে মশারাতো রক্ত খেয়েই বাঁচে, তাই মানুষকে কামরায়!
শিশুঃ শুধু রক্ত খাবে কেন? আরও তো খাবার কত কি আছে!! (ক্ষেপে গিয়ে)
বাবাঃ (বিরক্ত নিয়ে) বাবা, মশারা শুধু রক্তই খায়, এইটাই তাদের খাদ্য।
শিশুঃ আচ্ছা বাবা!! আমরা মশাদের সাথে একটা সংলাপে বসি না কেন? একটা চুক্তি করতে পারি!!
বাবাঃ (কিছুটা উৎসাহী হয়ে!!) কি রকম বাবা!
শিশুঃ ধর বড়রা যেমন হাসপাতালে রক্ত দেয়, আমরাও ঠিক সেই রকম করে এক ব্যাগ রক্ত বাসার দেয়ালে সেট করে রাখব আর মশারা ঐখান থেকেই রক্ত খাবে, আমাদের কামড়াবে না!! (খুব উচ্ছ্বাস নিয়ে বলল)
বাবাঃ (চিন্তিত হয়) কেন এইভাবে আপোষে রক্ত দিবে কেন মানুষ? আমরা কি কোন ডাকাতকে চুক্তি করে জিনিস দেয়। আমরা স্প্রে-মশারী ব্যবহার করব।
শিশুঃ (কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ আর রাগান্বিত) আমার রাতে খাঁচার মত মশারীতে নিজেকে বন্ধী করতে ভাল লাগে না, আবার স্প্রে করলে আমার চোখ জ্বলে!! এত বড় হয়ে এইটুকুন মশার ভয়ে খাঁচায় ডুকব কেন?
বাবাঃ মশারা ছোট হলে এযাবৎ কাল পর্যন্ত মানুষের সবচে বেশী মৃত্যু হইছে মশার কামড়ে।
শিশুঃ কেন আমরা মশাকে তাদের বংশ বিস্তার থেকেই ধ্বংস করি না?
বাবাঃ এত এত নালা নর্দমা, খাল বিল, জলাশয়ে এর জন্ম হয় এইভাবে এখনও সম্ভব না। বাবা তুমি একটা কিছু আবিষ্কার কর বড় হলে! (ছেলেকে গায়েল করার খুশি নিয়ে)!
শিশুঃ (আক্ষেপ নিয়ে) এই জন্যেই তোমাদের বলছি নিজের রক্ত ব্যাগে ভরে তাদের দিয়ে আস। অন্তত কামড় থেকে রক্ষা পাব (হতাশ)!!
[বাবা নিজের বাহুতে বসা মশাটা মারার জন্যে চপাং একটা থাপ্পড় দিল, আর খুব চিন্তিত মনে ছেলের হাত ধরে হাঁটতে লাগল]
এইবার একটু চরিত্রগুলোর ব্যপ্তি দেখুনঃ
ছেলে= সাধারণ জনগন,
বাবাঃ সরকার,
মশাঃ ধর্মীয় জঙ্গি আর,
ব্যাগ এ ভর্তি জনগণের রক্তঃ মাদ্রাসা শিক্ষা (এমপিওভুক্ত), সরকারের টাকায় জঙ্গিপনা
নালা-নর্দমাঃ সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ধর্মীয় শিক্ষার নামে জঙ্গি মাদ্রাসা আর —
মশারিঃ জামাত-শিবির-হিফাজতের ভয়ে নিজেদের স্বাধীনতা নিজেরায় বাজেয়াপ্ত বা, ব্লগাদের গ্রেপ্তার
স্প্রেঃ নির্দিষ্ট অভিযান না চালিয়ে গত ২ মাসের অত সাধারন জনগণসহ সবাইকে নাজেহাল,
আর নিজেকে খাঁচায় বন্দী করে নয়, সাধারণ জনগণকে কষ্ট দিয়ে নয় এদের দমনে নির্দিষ্ট অভিযানে যাওয়া উচিৎ সরকারের। আর জনগণের রক্তে জঙ্গিপনার প্রশিক্ষণ বন্ধ করতেই হবে।
সুশিক্ষা মুক্তি পাক, কূপমণ্ডূকতা নিপাত যাক!!
দারুন লিখেছেন……….
দারুন লিখেছেন………. :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল:
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
ধইন্যাপাতা:
ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
প্রিয়তে নিলাম। ভালো লিখেছেন।
প্রিয়তে নিলাম। ভালো লিখেছেন। এমন লেখা আবারো ঊপহার দিবেন।
শুভ কামনা রাইখেন…
সময়ের
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
শুভ কামনা রাইখেন…
সময়ের অভাবে লিখা হয়ে উঠে না।।
জানেন-ই তো যার কাজ নাই তার কাজ সবচে বেশি!!
:কানতেছি:
চমেৎকার হইছে…. ধন্যবাদ
চমেৎকার হইছে…. ধন্যবাদ চালিয়ে যান….
শুভ কামনা রাইখেন…
শুভ কামনা রাইখেন… :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
জাতির বিবেকের দ্বারে আঘাত
:-B জাতির বিবেকের দ্বারে আঘাত করেছেন, যাহোক চমৎকার একটা রুপক গল্পের জন্য :থাম্বসআপ:
শুভ কামনা রাইখেন…
আপনার
শুভ কামনা রাইখেন…
আপনার মন্তব্য সাহস যোগাবে ভাল লিখার জন্যে!!
:ধইন্যাপাতা:
আপনাদের ভালো লেখা আমাদের
আপনাদের ভালো লেখা আমাদের ব্লগে বারবার ডেক আনতে বাধ্য করবে 🙂
শুভ কামনা রইলো :থাম্বসআপ:
সব সময় শুভকামনা রাইখেন…
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
সব সময় শুভকামনা রাইখেন…