প্রচন্ড রোদের তাপে একেকটা পাবলিক বাস একেকটা ম্যাক্রোওভেন। চৈত্রের টাটকা দুপুরে সেই ওভেন জ্যামে আটকে ছিল প্রায় বিশ মিনিট। দৌড়ে বাসে উঠেছিলাম সেজন্যে ঘামে চুপচুপে অবস্থা আমার তখন। এমনি একটা সময়ে দুই হাত দুরত্বে বসে থাকা অসম্ভব রূপসী মেয়েটা তার বোতল থেকে বরফ গলা পানি ছোট্ট ছোট্ট চুমুকে গলায় ঢালছিল। সে সত্যিকার অর্থে এতটাই লাবণ্যময়ী যে আমার ধারণা ছিল অতি সুন্দরীরা পাবলিক বাসে চড়ে না,সে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হল।
আমি হা করে চেয়ে রইলাম। না না….তার দিকে না….তার বোতল ভর্তি বরফ ভাসা পানির দিকে। বেশ কিছুক্ষণ পর সে দেখে ফেলল আমার তাকিয়ে থাকা। দুই ভ্রু উচিঁয়ে মুখের পেশি ঢিল দিয়ে সে যে এক্সপ্রেশন দিলো তার অর্থ স্বাভাবিকভাবে “What’s your problem!?”….নিতান্ত লজ্জিত হয়ে সসম্মানে চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয়া ছাড়া অন্যকোন উপায় ছিল না।
এভাবেই পার হলো প্রায় পুরো রাস্তা। অনবরত ঘামছি। বেশ ডিহাইড্রেটেড অবস্থা,একটু পানির জন্য নেমেই যাবো কিনা ভাবছিলাম। তখন মেয়েটা সিট ছেড়ে নামার জন্য দাঁড়িয়ে আমাকে পানির বোতলটা এগিয়ে দিল এবং বললো “পানিটুকু খান। আপনি প্রচুর ঘামছেন। অসুস্থ্য হয়ে যাবেন।” আমি তখনও দাঁড়িয়েই ছিলাম, কাষ্ঠ্যহাসি দিয়ে শুকনো গলায় একটা বিনীত ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে আর কোন কথা না বাড়িয়ে বোতলটা নিয়ে নিলাম।
অবশ্য দিনশেষে একটা আফসোস আমার থেকেই গেলো। পকেটভরা ভিজিটিং কার্ডের সদ্ব্যাবহার করা হলো না!
“পকেটভরা ভিজিটিং কার্ডের
“পকেটভরা ভিজিটিং কার্ডের সদ্ব্যাবহার করা হলো” ????
দুঃখিত…হল না হবে। ঠিক করে
দুঃখিত…হল না হবে। ঠিক করে দিয়েছি…
ধন্যবাদ।
“পকেটভরা ভিজিটিং কার্ডের
“পকেটভরা ভিজিটিং কার্ডের সদ্ব্যাবহার করা হলো” নাকি হলো না ?
হল না…
হল না…
ঠিক করে দিলাম।
ধন্যবাদ।