মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতবার ধর্ম ধর্ম বলে ততবার যদি বিচার বিচার বলতেন, তবে সমস্যা অনেক টাই কমতো।
তিনি তথা আওয়ামী সরকার, একদিক থেকে স্যেকুলারিজমের ধান্দা দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট নিতে চান,অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার বিস্তৃতি ঘটিয়ে হেফাজত বানাতে চান এবং তাদের ভোট নিতে চান।
বিএনপি র গত দুই আমল থেকে আওয়ামীলীগ এর এই এক আমলে মাদ্রাসার সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। এসব সবই আমরা জানি!
কিন্তু কথা হচ্ছে, তিনি ধর্মে আঘাত বলতে কি বুঝান??
ধর্ম বেপার টা এমন – ” যে যা ধারণ করে,তাই সেটার ধর্ম।”
যেমন পানি। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর সমন্বয়ে এটা গঠিত। এটাই পানির ধর্ম।
কাজেই ঈশ্বরে অবিশ্বাস বেপারটা যে ধারণ করে নাস্তিক্যববাদ ই তার ধর্ম।
সুতরাং দাঁড়াচ্ছে কি?
তিনি শুধু আস্তিক ধর্মের নিরাপত্তা দিবেন আর নাস্তিক ধর্মের না।
আরেক টা বেপার”!
হযরত মোহাম্মদ যুদ্ধবাজ হলেও, তার জীবনের শেষ দিকে তিনি ইসলাম বিরোধী দের সাথে বা নাস্তিক দের সাথে বিতর্কের আয়োজন করতেন ( সম্ভবত তখন তার শিরচ্ছেদী চিন্তার দাপট কমে এসেছিল)।
যাক, তখন সেটা প্রশংসিত উদ্যোগ ছিল অইটা।
আর বর্তপমান সময়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসে বলছেন কি সব কথা!
যেহেতু এই সরকারের চিন্তা প্রাচীন, পক্ষপাতী,আবালমার্কা এবং এক প্রগতিবিরুদ্ধ, ( আর কোন হত্যার বিচার করা যাবে না বলেই উনার কাছে আল্লাহর নির্দেশ),
সুতরাং,
আরো বেশি পরিমানে অশ্লীল ভাবে মুক্ত চিন্তা চর্চা করাও আমাদের সবার জায়েজ!…
মুক্ত চিন্তা,আওয়ামীচিন্তা
মুক্ত চিন্তা,আওয়ামীচিন্তা নানা চিন্তা আছে তাই দেশটাও আজো টিকে আছে ভাই.
সেটা থাকতেই পারে,থাকবেও।
সেটা থাকতেই পারে,থাকবেও। সমস্যাটা তো তখন হয় ; যখন ” চোরকে বলি চুরি কর,গৃহস্থ কে বলি সালা কড়া পাহারা দিতে থাক “