জিয়া এবং এরশাদ স্বৈরশাসক ছিল বলে সংবিধান সংশোধনের কোন অধিকার তাদের নেই। একমাত্র জনপ্রতিনিধিরাই সংবিধান সংশোধন করতে পারে, জোর করে ক্ষমতায় বহাল থাকা কোন স্বৈরশাসক নয়। এই মর্মে, ইতিপূর্বে উচ্চ আদালত রায়ও দিয়েছিল। এরশাদের শাসনামল যেহেতু অবৈধ তার শাসনামলে সংবিধানের সকল সংশোধনীই অবৈধ, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এই সংশোধনীসহ। এখানে সাম্প্রতিক সময়ে, মাননীয় উচ্চ আদালত স্ববিরোধী রায় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে যথাক্রমে জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাইকোর্টের দেয়া ওই রায়ের কারণেই সাবেক এই দুই রাষ্ট্রপতি বা তাদের উত্তরাধিকারীরা অবসর ভাতা পাবেন না।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের রায়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমানের শাসনামল অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমান সামরিক আইনের মাধ্যমে যে শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করেছিলেন তা অবৈধ। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়ার শাসনামলকে বৈধতা দেয়া হলেও তা অবৈধ ঘোষণা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
২০১১ সালে মে মাসে এরশাদের সামরিক শাসন অবৈধ ঘোষণা করে সপ্তম সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর আগে হাইকোর্ট হাইকোর্ট ২০১০ সালের ২৬ অগাস্ট সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন।
সুতরাং অতি সম্প্রতি বিজ্ঞ উচ্চ আদালত স্ববিরোধী রায় দিয়েছেন। এরশাদের শাসনামল অবৈধ বলে, তার সংবিধান সংশোধনীও অবৈধ। এখানে আদালত আইনগতভাবে ভুল রায় দিয়েছেন। এটা তাদেরকে (উচ্চ আদালতের বিচারপতিগণকে) বুঝতে হবে।
খোরশেদ আলম, লেখক ও গবেষক
অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত একটি লেখা
অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত একটি লেখা। এরশাদ ছিল স্বৈরাচার, তার শাসনামল অবৈধ।
ধন্যবাদ। @ সাইফুর রহমান
ধন্যবাদ। @ সাইফুর রহমান