বাংলাদেশী মুসলমান আর ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে একটা মাত্র পার্থক্য আছে-
পার্থক্যটা হচ্ছে ১৯৪৭ সাল।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশী (পাকিস্তানসহ) মুসলমানরা বলেছিলো, হিন্দুরা আমাদের শত্রু। আমরা হিন্দুদের সাথে থাকবো না, আমাদের পৃথক রাষ্ট্র চাই।
আর ভারতীয় মুসলমানরা বলেছিলো- হিন্দুরা আমাদের ভাই। আমরা হিন্দুদের সাথে একত্রে থাকবো, একই ছাদের নিচে থাকবো। আমরা পৃথক রাষ্ট্র চাই না।
সময় পার হয়েছে ৬৮ বছর। বাংলাদেশ (পাকিস্তানসহ)- ভারত ভাগ হয়ে গেছে। কে বেশী অধিকার পেলো, বাংলাদেশী মুসলমান নাকি ভারতীয় মুসলমান ? ‘হিন্দুরা মুসলমানদের ভাই না শত্রু’ এই বিশ্বাসের ফলাফল অবশ্যই যাচাই করার সময় এসেছে।
সত্যিই বলতে, ভারতে মুসলমানদের অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত অবস্থা এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন, ভারতীয় মুসলমানরা কত বড় ভুল করেছিলো সে সময়। খবর বলে- ভারতে মুসলমানদের অবস্থা ৪র্থ শ্রেনীর নাগরিক থেকেও খারাপ। তাদের ট্রিট করা হয় দলিত হিন্দুদের থেকেও নিচে।
(এ সম্পর্কে জানতে পড়তে পারেন-
১) স্বাধীন ভারতে কেমন আছে মুসলিমরা
(http://goo.gl/DiRiys)
২) ভারতে দলিতদের চেয়ে মুসলমানদের অবস্থা খারাপ
(http://goo.gl/PCBoz2)
৩) যেভাবে সাম্প্রদায়িকতার শিকার হচ্ছেন ভারতীয় মুসলমানরা
(http://goo.gl/2M3Qox)
৪) ভারতে মুসলমানদের মুখোমুখী -http://goo.gl/f0EPxD)
‘হিন্দুরা মুসলমানদের ভাই না শত্রু’, এই প্রশ্নকে আপনি যদি সাম্প্রদায়িকতা বলেন, তবে ভুল করবেন। ঐ্তিহাসিক ভিত্তিতে পরিসংখ্যান করা কখনও নিষিদ্ধ সাম্প্রদায়িকতা নয়, বরং সচেতনার লক্ষণ।
১৯৪৭ সালে বাংলাদেশী মুসলমানরা ঐ ‘সাম্প্রদায়িকতা’ বুঝেছিলো বলেই আজ তারা উন্নত, কিন্তু ভারতীয় মুসলমানরা কথিত ‘অসাম্প্রদায়িক’ থাকতে চেয়েছিলো বলেই আজ ‘ফ্রিজে গরুর মাংশ রয়েছে’ এতটুকু গুজবেই তাকে প্রাণ দিতে হয়।
১৯৪৭ সালে ভারতীয় মুসলমানরা যে ভুল করেছিলো, আজ সেই একই ভুল নতুন করে শুরু করেছে বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ। দুঃখ লাগে, মুসলমানরা ইতিহাস থেকে কখনই শিক্ষা নেয় না।
‘হিন্দুরা মুসলমানদের শত্রু’
ফেসবুক মন্তব্য
শেয়ার করুনঃ
এখানে নিষিদ্ধ সাম্প্রদায়িকতার
এখানে নিষিদ্ধ সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন আসে কিভাবে ? যেখানে আল্লাহ্ পাক নিজেই কাফিরদেরকে বন্ধু না বানাতে বলে গেছেন সূরা আলে ইমরান
আয়াত নং ২৯ এ আল্লাহ্ পাক বলেছেন ,
মুমিনরা যেন মুমিনদের ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে কেউ এরূপ করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তবে যদি তাদের পক্ষ থেকে তোমাদের কোন ভয়ের আশঙ্কা থাকে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের ব্যাপারে সতর্ক করছেন এবং আল্লাহর নিকটই প্রত্যাবর্তন।
২৯
قُلْ إِن تُخْفُواْ مَا فِي صُدُورِكُمْ أَوْ تُبْدُوهُ يَعْلَمْهُ اللّهُ وَيَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأرْضِ وَاللّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ