বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই অবিশ্বাসিদের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।পৃথিবীর সব কোনাতেই অবিশ্বাসিদের পরিমান আজকের প্রেক্ষাপটে উর্ধগতি।ঈশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাস ধর্মীয় রিতি রেওয়াজে অনুগত্য অথবা তার বিরোধীতা একান্তই ব্যাক্তি ব্যাপার এবং একজন মানুষ নিজের জীবন নিজের চরিত্র কোন আদর্শে পরিচালিত করবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু সেই মানুষটিরই থাকা উচিত,কোনো কিছুর সমালোচনা বা বিরোধীতার কারনে একজন মানুষকে হত্যা করা মানবতা তথা মানব সভ্যতার চরম অপমান রুপে আজ গন্য হয়।এরুপ হত্যাকান্ড একুশ শতাব্দির অধুনিক ও বিজ্ঞান নির্ভর বিশ্বে জগন্যতম অপরাধও বটে।
পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই আজ অবিশ্বাসিদের হীন ও কটু দৃস্টিতে দেখার প্রবনতা ক্রমশই কমে আসছে বরং তাদের ধর্মীয় গোঁড়ামি বিরোধী গঠনমুলক সমালোচনা ও প্রকৃত সত্য উদগাঠন সহ প্রায় সব আদর্শিক দিক গুলির বিপুল সমর্থন লক্ষনীয়।প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেই আজ শিক্ষানিতি,অর্থনিতি,রাজনৈতিক পরিকাঠামো গঠনে নাস্তিক অবিশ্বাসিদের ভুমিকা উল্লেখযোগ্য।
এই সব কিছুতেই একমাত্র ব্যাতিক্রম ইসলামের অনুসারি মুসলিমরা,মুসলিম প্রধান দেশ গুলিতে অতিত থেকেই অবিশ্বাসি এবং অমুসলিম হত্যার যে ট্রেন্ড চালু আছে তা আজও ততটাই কার্যকরি এবং বিগত কয়েক দশকে তা বেড়েছে বই কমেনি।নাস্তিক হত্যার বিষয়ে মুসলিমদের একাংশের অবস্থান অবশ্য স্পস্ট,তারা সরাসরি এই হত্যাকান্ড সমর্থন করে।কিন্তু মুল বিভ্রান্তির সৃস্টি হয় মুলত মডারেট মুসলিমদের বিভিন্ন তোষন মুলক মন্তব্য থেকে যেমন
“ইসলামে খুন করা যায়েজ না,যারা তা করে তার সহি মুসলিম নয়”
নাস্তিক ব্লগার থেকে শুরু করে আইএস আল কায়েদার সাধারন মানুষ হত্যা এবং অমুসলিমদের উপাসনালয় থেকে তাদের সম্পত্তি আত্তসাদ প্রায় প্রতিটি ঘটনা ঘটার পরই মডারেট মুসলিমরা এই একই বুলি আওরাতে থাকে যে,’শান্তির ধর্মে রক্তপাতের উল্লেখ নেই’।কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই মডারেটরা মুখস্ত বুলি আওরেই খান্ত হয়ে যান,তেনারা প্রাকাশ্যে এই জঙ্গি ও মানবতা বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্যে কখনই প্রকাশ্য প্রতিরোধ গড়ে না তুলে মুলত নাস্তিকদেরই দোষারোপ করতে শুরু করে যে নাস্তিকরাই বা কেন মুসলিমদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত হানে!
অবশ্য একজন শিশুকামি ধর্ষক গনিমতের মাললোভি কীটের সমালচনা করলে যদি কারো ধর্মানুভুতি আঘাত প্রাপ্ত হয়,তাহলে আমার কিছু করার নেই কারন আমি কুকুরকে কুকুরই বলবো,কারো নুনুভুতি রক্ষার তাগিদে কুকুরকে হরিন বলতে পারবো না।
এবার আসাযাক মুল আলোচনায়,
কথিত শান্তির ধর্মে রক্তপাত হালাল না হারাম তার সত্যতার প্রমান খুজতে কোরান হাদিস ঘাটলেই কিন্তু পাওয়া যায় অন্য তথ্য।এবার দেখে নেওয়া যাক আল্লাহ ও নবীর সমালোচনা কারিদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে ইসলামে অভিমত-
সুরা আল-আনফাল ১২
যখন নির্দেশ দান করে ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওদেওগার যে,আমি সাথে রয়েছি তোমাদের সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমুহকে ধীরস্থির করে রাখ এবং আমি কাফেরদের মনে ভিতি সঞ্চার করে দেবো।কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হানো এবং তাদের কাট জোরায় জোরায়।
সুরা আল-আনফাল ১৭
সুতরাং তোমরা তাদের হত্যা করনি,বরং আল্লাহই তাদের হত্যা করেছেন।আর তুমি মাটির মুস্টি নিক্ষেপ করনি,যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে,বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যতার্থভাবে।নিঃশন্দেহে আল্লাহ শ্রবনকারি; পরিজ্ঞাত।
এই লেখাটির পাঠকবৃন্দের বিন্দু মাত্রও যদি বোঝার ক্ষমতা থাকে তাহলে তারা এই দুটি আয়াত পড়ে বুঝতে পারছে মুহাম্মদ কি পরিমান হিংস্র আর প্রতিহিংসা পরায়ন ছিলো,কিছু গালগল্প শুনিয়ে কিভাবে কিছু সরল মানুষ হত্যায় প্রলুব্ধ করত এই পশু।
সুরা আল-আহযাব ২৬
কিতাবিদের মাঝে যারা কাফেরদের পৃস্টপোষকতা করেছিল,তাদের তিনি নিজেদের দুর্গ থেকে নিচে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভিতি নিক্ষেপ করলেন।যাদের একদলকে তোমরা হত্যা করেছ এবং এক দলকে বন্দি করেছ।
সুরা আল-আহযাব ৬০
মুনাফিক এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়,তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করব।অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশি অল্পই থাকবে।
সুরা আল-আহযাব ৬১
অভিশপ্ত অবস্থায় তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে,ধরা হবে এবং হত্যা করা হবে।
সুরা আল মায়িদাহ-৩৩
যারা আল্লাহ রসুলের সাথে যুদ্ধ করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃস্টি করতে সচেস্ট হয়,তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,তাদের হত্যা করা হবে অথবা শুলিতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্ত পদসমুহ বিপরিত দিক থেকে কেটে ফেলে দেওয়া হবে অথবা তাদের দেশ থেকে বিতারিত করা হবে।এটা হল তাদের পার্থিব লাঞ্চনা এছারা পরকালে রয়েছে তাদের জন্যে কঠোর শাস্তি।
আসলে মুহাম্মদ নিজেই এল্লাহ নামক সৃস্টিকর্তাকে বিশ্বাস করতো না সে শুধু বিশ্বাস করত গনিমতের মাল আর যৌনদাসিতে,তাই সে বারংবার এল্লাহর দোহাই দিয়ে শুধু কিছু সরল মানুষের অন্তরে বিষ ঢেলে দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে গেছে।না হলে পরকালে যখন এল্লাহ মুনাফিকদের কঠোর সাজা দেবেন বলেছেন তখন তাদের হত্যা করার দরকার কি! আসলে এল্লাহর আশায় বসে থাকলেতো আর আরাম আয়েশের জীবন যাপন করা যায় না।
<a href=”http://alrakhibs.blogspot.in/?m=0″ title=”অন্তহীন রাকিবের ব্লগ”>ঘুরে আসুন আমার ব্লগ</a>
WE hate fudamentalist
WE hate fudamentalist
হাদিসের ভুমিকাকে খাটো করে
হাদিসের ভুমিকাকে খাটো করে দেখলে হাদিসের উপর অবিচার করা হবে ।
১৪০০ বছর আগের এক আরব বেদূইনের
১৪০০ বছর আগের এক আরব বেদূইনের লিখা কিতাব নাস্তিক হত্যায় ভূমিকা রাখতে পারছে দেখে ্কিন্তু বিরাট অবাক হচ্ছি। এটা আপনাদের এক ধরনের পরাজয় মুহাম্মদের কাছে। আপনাদের শান্তির বাণি সমাজে চলছে না, কিন্তু ১৪০০ বছর আগে অক্কা পাওয়া মুহাম্মদের কমান্ড এখনও মানা হচ্ছে , আর সেই অনুযায়ী রাস্তা-ঘাটে দিনে দুপুরে মারা পরছেন আপনারা! সত্যি সেলুকাস!!
ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক। এর
ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক। এর জন্য মুহাম্মদকে পুরো দায়ী না করে আরো অনেক বিষয় নিয়ে আসতে হবে। যেমন: আমাদের আগে যেসব প্রগতিশীল ছিলেন তারা ধর্মের ধ্বংসাত্মক দিক নিয়ে এতটা সোচ্চার ছিলেন না বা হতে পারেন নি। সবচেয়ে বেশি দায়ী মানুষের অন্ধত্ব, অশিক্ষা, কুশিক্ষা – এগুলোর মধ্যেই নরপিশাচদের জন্ম হচ্ছে যারা ১৪০০ বছর আগের এক অমানুষকে অন্ধ ভাবে অনুসরণ করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি, ভবিষ্যতে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়।