২০১৪ সালে সনিটিভি তে এনকাউন্টার নামক একটা টিভি শো চলত।আমি এর প্রতিটা পর্ব মিস করতাম না।কারন আমার সব জিদ আক্রোস ঝড়ে পড়ত,এবং দিন শেষে আমি শান্তি পেতাম কারন অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক দিনশেষে একটা গুলি তার জন্য যথেষ্ট ছিল।এবং পুলিশ যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ত দেখতেই আমার ভাল লাগত।কারন বাংলা সিনেমায় আমি দেখেছি পুলিশ সবকিছুর পড়ে আসে।আমি আশা করতাম কারও বাপের ও ক্ষমতা নাই যে সন্ত্রাস করে মুক্তি পায়।
কিন্তু বাস্তবে যখন ২০১৪ সাল ও ২০১৫ সালে মৌলবাদের তান্ডব দেখলাম রাজপথে তখন আমি দেখেছি কিভাবে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশ কে পেটায়।আর পাশের পুলিশ কিভাবে হা করে দেখে।সাভারে অস্ত্র থাকতেও মৌলবাদির চাপাতির কোপ খায় পুলিশ।আমি দেখেছি তনু হত্যা মামলার পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট কিভাবে পাল্টে দেয় ঐ তদন্তকারী কর্মকর্তা।সিদ্দিকী স্যারের হত্যামামলার আসামীকে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা মামলা ধামাচাপা দেয়া হয় আর জগন্নাথের নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলা তো কোন সুরাহা হয় নি।হবেও না কারন সবকিছুই শুরু হয়েছিল এক উক্তি তেই।আর সেই উক্তি উস্কে দিয়েছিল সব।তার পর হয় তদন্ত কমিটি আর দ্বায় স্বীকার করে আই এস।আর তদন্ত কোনদিনও শেষ হয়না হয়না ব্লাডি তদন্ত।
জনাব স্ব-রাস্ট্র মন্ত্রী এখন কি বলবেন?
নিশ্চই সৃই অফিসারের স্ত্রীর লেখা খতিয়ে দেখবেন?কই,তারা তো শুধু মাত্র নাস্তিকের শীর কতল করে ক্ষান্ত হয়নি,বরঞ্চ তথাকথিত পবিত্র গীর্জা মন্দির-মসজিদ গুলোর ফাদার,পুরোহিত,ভিক্ষু/ভান্তে,ঈমাম হত্যার পাশাপাশি পুলিশ সুপারের পরিবারেও হামলা চালিয়েছে।
এবার কি তবে মৃত লেখক দের যেমন লেখনিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তদ্রুপ জঙ্গী দমনের লক্ষ্যে যে সকল সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ কাজ করে যাচ্ছেন তাদের কৃত কর্মেও আপত্তি জানাবেন?আর বলবেন দেশে কোন জঙ্গী নেই সবই বিরধী দলের অপপ্রচার।আর মঝখান থেকে হাটহাজারির সাথে চলবে দহরম মহরম সম্পর্ক।
সাধারণ নাগরিকের তকমা গায়ে লাগিয়ে আমরা যারা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছি,”কই আমাকে তো মারছে না” বলে,তাদের ঘুম সেদিন ভাঙ্গবে যেদিন নিজের মাথায় কিংবা পরিবারের কারো ঘারে কোপ পড়বে।হয়তো সেদিন প্রতিরোধের তো দূরে থাক প্রতিবাদের ও কিছু অবশিষ্ট থাকবে না।আমাদের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্রয়েই তো দিন দিন শক্তি শালী হয়ে উঠছে এ সব জঙ্গি গোষ্টি।
মুক্ত বিচরণের সেই বাংলাদেশ কি আদৌ রয়েছে?
পাকিস্তান আর আফগান এর সাথে বাংলাদেশের এই মুহুর্তে পার্থক্য টা কোথায়?
মিতু আকতার তার বাচ্চাকে স্কুলের বাসে তুলে দেওয়ার জন্য জিওসি মোড়ে দাড়িয়ে ছিলেন ।হঠাৎই এক মোটর সাইকেল তার গায়ে উঠে যায় । আহোরীরা নেমে তা বুকে গুলি করেন । তাতেও মৃত্যু নিশ্চিত হয়নি দেখে তার উপর ছুরি চালানো হয় । তার অবুঝ বাচ্চাটা চুপচাপ দেখতে থাকে তার মায়ের মৃত্যু।
দেশে এক অদ্ভুত নৈরাজ্য চলছে । খুঁজে খুঁজে জঙ্গি বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে । বাবুল আকতার ছিলেন হাটহাজারী ও চট্টগ্রামের জঙ্গি তৎপরতা দমনে অন্যতম ডাইহার্ট অফিসার । তার সততা ও বীরত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পদকও পান । আজ তার অর্ধাঙ্গ যেন ভেঙ্গে দেওয়া হলো ।আমি হত্যার বিচার চাই ।
এস পি বাবুল আকতারে প্রায় প্রতিদিনই দিনে ও রাতে ডিউটি পড়তো । তাই স্ত্রীকে সময় দিতে পারতেন না বলে মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে নিয়ে রাতে বেড়িয়ে পড়তেন । এই নগরীর খেটে খাওয়া মানুষদের দেখাতেন । নগরীর সোডিয়াম লাইটের আলোতে রাজপথে হাঁটতেন । দিনশেষে এই সোডিয়াম লাইটগুলো আবারো জ্বলবে । আলোকিত হবে রাজপথ । কেবল পাশে হাঁটার মানুষটি আর থাকবে না ।
আর আমরা সালা আর অপদার্থ মন্ত্রি বলবে এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা তদন্ত চলিবে,বালটা ছিড়িবে।
সন্ত্রাসী জংগী অন্যায়কারীদের প্রকাশ্য হাত পাঁ কেটে হত্যা করতে হইবে।।
আমরা সকল অন্যায়ের বিপক্ষে কিন্তু সরকার ন্যায় বিচারে আগ্রহী নহে
অনেক আলোচিত হত্যাকান্ডের তদন্ত শেষ হয়নি।আর তাদের গুরু শফিদের জামাতিদের জামাই আদর তো চলছেই।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা যে বার্তা দিয়ে গেল তা দেশের জন্য ভয়ানক হুমকির আসুন আমরা সন্ত্রাস নামক পশুদের বিচারের আওতায় আনার জন্য রাজপথে দাঁড়াই।এইবার প্রতিবাদ নয় হোক প্রতিরোধ।
এমন এক দেশে আমরা আছি যেখানে
“চলছে ধর্মের পুঁজি নিয়ে রক্তের খেলা”
সন্ত্রাসী জংগী অন্যায়কারীদের
মধ্যযুগীয় বর্বরতা হয়ে গেল না? অামরাতো জানি নাস্তিক্যবাদে মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ !
স্ত্রীকে পুলিশ সুপার নিজেই
স্ত্রীকে পুলিশ সুপার নিজেই লোক দিয়ে হত্যা করেনি তারইবা কি গেরান্টি অাছে? এসব নারিঘটিত ব্যপার স্যপারে জঙ্গিদের কোন অাগ্রহ কখন দেখা যায়নি।