১
মিসেস রিজোয়ানা বেগম বমি করছেন। তার পুরো গা গুলিয়ে উঠছে। পেটের ভেতর কেমন যেন দলা পাঁকিয়ে আসছে। এই দলা আবার বুক বেয়ে উপরে উঠে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে। তিনি আবার মুখভর্তি করে বমি করলেন। এমন বমি তিনি প্রেগন্যান্ট অবস্থায়ও করেননি। তিনি জীবনে প্রেগন্যান্ট হয়েছিলেন ওই একবারই।এর পর আর চাইলেও হতে পারতেন না। ডাক্তার বলেছিল তিনি আর মা হতে পারবেন না। তিনি অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার ব্যাটার কথাই ঠিক ছিল। বাংলাদেশের সব ডাক্তার খারাপ না। কিছু ভালো ডাক্তার আছে। তার একটিই মেয়ে। তার চোখে আবারো ছবিগুলো ভেসে উঠলো। তিনি বাথরুমের দেয়ালে হাত রাখলেন। মাথাটা একটু ঘুরাচ্ছে। হাত ভিজা হওয়ায় টাইলসের দেয়াল ধরতে প্রবলেম হচ্ছে। হাত পিছলে যাচ্ছে। তিনি আবারো বমি করলেন। বেসিনের কলটা ছাড়াই ছিল। তিনি ভালো করে হাত-মুখ ধুলেন। মনে মনে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি যে কত ভয়ংকর মহিলা তা ওই বাচ্চা ছেলেটা জানেনা। ছেলেটার স্পর্ধা দেখে তিনি ক্রুব্ধ হয়েছেন। এর শাস্তি তিনি ছেলেটাকে দেবেন। তাকে ব্ল্যাকমেইল করার পরিণাম যে কত ভয়াবহ হতে পারে তা তিনি প্রমান করবেন।
২
বাথরুম থেকে বের হয়ে রিজোয়ানা বেগম মোবাইলটা হাতে নিলেন। তিনি টাইগার রনিকে স্কাইপিতে কল দিলেন।
হ্যালো, রনি।
জ্বী ম্যাডাম, সালাম।
তুমি কোথায়?
ম্যাডাম আছি। শহরেই আছি।
আমি তোমার ফেসবুকে একজনের ডিটেইলস দিয়েছি। আর ভালো কথা ল্যাপটপটা তুমি আমার বাসায় নিয়ে আসবে। আমি ওই বাস্টার্ডটার ডেথ নিউজ দ্রুত শুনতে চাই।
ওকে ম্যাডাম।
রিজোয়ানা বেগম লাইনটা কাটলেন। তাঁর মুখে একটু হাসি ফুটে উঠলো। টাইগার রনি প্রফেশনাল কিলার। তবে এরপর রনিকে কিছুদিনের জন্য সিংগাপুর পাঠিয়ে দিতে হবে।
৩
টাইগার রনি নিশ্চুপ হয়ে রিজোয়ানা বেগমের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। রিজোয়ানা বেগম ল্যাপটপটা চেক করছেন। বাস্টার্ডটা তাঁকে ব্ল্যাকমেইলের বেশ ভালো এরেঞ্জম্যান্ট করেছিল। তিনি ছবিসহ সব ডাটা ডিলিট করলেন। তারপর একটা সিগেরেট ধরিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বললেন,
রনি, আই এম ভেরি প্লিজড ফর ইউ।
রনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মিসেস রিজোয়ানা বেগম একবুক ধোঁয়া ছেড়ে ল্যাপটপটা বন্ধ করলেন।
গল্পের আসল বক্তবটা কি? কিছু
গল্পের আসল বক্তবটা কি? কিছু গোপন ব্যাপার ডিলিট করতে আরেকজনের জীবন আগে ডিলিট করা হলো, সেটা?