ধর্ষণ শব্দটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আর এই শব্দটার সাথে নারী অবধারিতভাবে জড়িত।
সাধারন অর্থে ধর্ষণ বলতে কোন অনিচ্ছুক নারীর সাথে জোরপুর্বক সংগম বুঝায়। যে কোন ক্ষেত্রেই নারীর সাথে জোরপুর্বক সংগম ধর্ষণ বলে বিবেচিত।
সাধারনভাবে একটা মেয়ে যখন রেপড হয়,তখন আমরা একটা কথাই সবসময় শুনি,যে মেয়েটার ইজ্জত নষ্ট হয়ে গেছে। তার মান সম্মান সম্ভ্রম সব নষ্ট হয়ে গেছে। তার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তার বেঁচে থাকাই বৃথা।
আমার প্রশ্ন এখানেই। একটা মেয়ের মান সম্মান ইজ্জত সব কিছু কি তার শরীর ভিত্তিক? কেউ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার শরীরে হাত দিলেই সে নষ্ট হয়ে যাবে, এইরকম উদ্ভট আর ফালতু চিন্তা আমরা দিনের পর দিন কিভাবে করে আসছি?
আমরা কেন বুঝতে চাইনা একটা মেয়েকে রেপড করার মানেই হল শারীরিক নির্যাতন। একটা ছেলেকে যেমন হকি স্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করা যায়,হাত পা ভেংগে দেয়া যায়,ঠিক সেইরকম একটা মেয়েকে তার যোনীতে আক্রমন করে নির্যাতন করা হয়। এতে মান সম্মান ইজ্জত কি করে নষ্ট হয় আমি বুঝিনা। আমরা মেয়েরাও বোকা আর গাধার মত এই উদ্ভট ধারনাকে আকড়ে পড়ে থাকি। কেউ একবারো বলার সাহস করে না, আমার মান সম্মান ইজ্জত আমার শরীরের উপর নির্ভর করে না।
ধর্ষণ এর সাথে ইজ্জত সম্মান এর সমীকরনের মানেই হল একটা মেয়েকে শরীরস্বর্বস্ব হিসেবে তুলে ধরা। একটা মেয়ের সম্মান এতটাই ঠুনকো যে কেউ তার শরীরে হাত দিলেই তা নষ্ট হয়ে যাবে? পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটা মেয়ের সম্মান মানেই তার শরীর, আর আমরা মেয়েরাও না বুঝে নিজেদেরকে খাবার বানিয়ে তুলছি। খাবারে হাত পড়লে যেমন খাবার এঁটো হয়ে যায়, তেমনি নারীর যোনিতে কেউ হাত দিলেই সেই নারী ও এঁটো হয়ে যায়। কি ভয়ানক চিন্তা ভাবনা আমাদের।
একটা মেয়ে রেপড হওয়া মানে তার মান সম্মান ইজ্জত চলে যাওয়া নয়। তাকে রেপ করার অর্থই হল শারীরিক আর মানসিকভাবে তাকে নির্যাতন করা। ব্যাস আর কিচ্ছু না।
আসুন না, আমরা আমাদের এইসব ফালতু দৃষ্টিভংগিটা পাল্টাই। একটা মেয়ের সম্মান কখনই শরীর কেন্দ্রিক হতে পারে না। কোন কিছুর বিনিময়ে শরীর একটা মেয়ের সম্মান হতে পারে না।
একটা মেয়ের সম্মান কখনই শরীর
একটা মেয়ের সম্মান কখনই শরীর কেন্দ্রিক হতে পারে না। খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে অালোচনা করেছেন। অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ভাল লিখেছেন।
ভাল লিখেছেন।