[এ্যালেন গিনেসবার্গ আমার প্রিয় কবি। দ্রোহ, প্রেম, বিদ্বেষ – সবকিছুর অদ্ভুত মিশেল। অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে ছিলো প্রিয় কবির ‘হাউল’ কবিতাটি অনুবাদ করবো। পারিনি। সে যোগ্যতা আমার নেই। তবে দেদারসে ধার ঠিকই করেছি]
কি? হেরে গেলো!
না-না! কোন ভুল তো হয়নি!
দিব্যি বলছি!
কানা গলিটা এফোর-ওফোর করে
ন্যাংটো প্রজন্ম হিচড়ে-হিচড়ে চলে গ্যাছে।
কি জানি বাব্বা, লাজ-লজ্জাও নেই।
ভেবেছিলাম, একদিন বারুদকে বোকা বানিয়ে
তারা জাঁকিয়ে বসবে বিধাতার মসনদে-
সিগারেট আর ডায়নামোর সঙ্গমে জন্ম দেবে
অদ্ভুত এক্সটেসি।
কোটি কোটি টুকরোয় কুটি কুটি করে ছিড়ে ফিলবে
পরীক্ষার সবগুলো জানা উত্তর।
অবশেষে পুঁথির পাতায় পাতায় চেখে দেখবে
পুঁজ আর পঁচে যাওয়া রক্ত।
তাঁদের বমিতে উগরে আসবে
দালীর বিকৃত সব চিত্রকর্ম
কচকচে নোটগুলো পুড়ে খাঁক হবে
গাঁজার শেষ টানে। আর শুয়োপোকা
বাসা বাঁধবে স্মৃতির ঘামঘুপচিতে।
ভেবেছিলাম, বুলেটের মুখাগ্নিতে জন্মাবে কবিতা,
তার ভষ্ম কখনো উড়বে – কখনো ঝরবে।
আর যৌণতার ঠিক মাঝামাঝি যখন জীবনকে উদাসীন মনে হয়
তখনই সাইকোডেলিক সুরে মেতে উঠবে পৃথিবী।
সস্তা নেশা প্রসব করবে আপাত বিত্ত।
প্রজন্ম একসময় পরিব্রাযক হয়ে ওঠে
মেসোপটেমিয়া থেকে ভিসুভিয়াস
পকেটে এক প্যাকেট সিগারেট
বিশেষ ভাগ্যে হয়তো বোতল
বিশেষ ভাগ্যে একসময় একটি ব্যাগ
ব্যাগে ক্রোধ, স্মৃতি, একটা ওয়ালেট,
কিছু খুচড়ো পয়সা, একটা ভাঁজ করে ছাতা
এবং একসময় দ্বি-খণ্ডিত অস্তিত্ব ও প্রিয়তমা
কি? হেরে গেলো!
না-না! কোন ভুল তো হয়নি!
দিব্যি বলছি!
কানা গলিটা এফোর-ওফোর করে
ন্যাংটো প্রজন্ম হিচড়ে-হিচড়ে চলে গ্যাছে।
তুখোড় হইছে। চাবুক
তুখোড় হইছে। চাবুক
Thanks
Thanks