দেশদ্রোহী ট্যাগ খাওয়ার, ভাদা ট্যাগ খাওয়ার রিস্ক লইয়াও কিছু লিখি আবার। এই জন্মে ভাদা, পাদা, হাম্বা, ছাগু, আস্তিক নাস্তিক সব টাইপের ট্যাগই খাইছি। এইসব আর নতুন কিছু না। আমি তাহাই বলিবো যাহা আমার ক্ষুদ্র মস্তিকে সঠিক মনে হয়।
আজকের ইস্যু মাইলস আর ফসিলস ক্যাচাল। খোলাসা কইরা বললে হামিন শাফিন আর রুপম ইসলামের ক্যাচাল। কলকাতার আজাদী কনসার্টে আরও গোটা বিশেক ব্যান্ড আর গায়কের লগে ওদেরও গানা বাজনা করার কথা আছিলো। রুপম বাবাজীর নেতৃত্বে ফসিলস বাগড়া দিয়া বসলো। বাগড়া দেয়ার কারণগুলা একটূ জানিঃ
১। শাফিন ইন্ডিয়ারে রেপ ক্যাপিটাল কইছিলো।
২। যে কোনো ইন্ডিয়ান আর্টিস্টরে বাংলাদেশে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবী জানাইছিলো।
৩। ইন্ডিয়ারে ফাকড আপ কান্ট্রি কইছিলো, তার সরকাররেও ফাকড আপ কইছিলো।
৪। বাংলাদেশ ইন্ডীয়া বর্ডার সিলগালা কইরা দিতে কইছিলো কি জানি কি কারণে।
এবং আরও এমনকিছু ব্লা ব্লা ব্লা …
আচ্ছা, এইবার আসি আমার কথায়। একজন মানুষ বা ব্যক্তিত্ব্য বা কোন জনপ্রিয় বা পরিচিত মুখ যদি দেশের বাইরেও পরিচিত হন, দেশের বাইরেও একই ভাষাভাষী অন্য দেশে তার বা তাদের ভক্ত ফলোয়ার সমর্থক থাকেন, তখন তারা কিছু বললে বা ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করলেও সেইটা আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকে না। তাই তাদের আচরণ সাধারণ মানুষের মতন হইতে পারেনা। তাদের আচরণ হওয়া উচিত অনেক বেশি সংযত। আমাগো মত সাধারণ পাবলিকের কথায় কিছু আসে যায়না, কয়জনই বা খোঁজ রাখে আমাদের? কিন্তু এইসব সেলিব্রিটিদের খোঁজ সবাই রাখে।
এখন হামিন শাফিন যদি সত্যিই ইন্ডিয়ারে ফাকড আপ কান্ট্রি ভাইবা থাকেন আর মনে করেন খুব খারাপ একটা জায়গাই, তাইলে ওইখানে গান গাইতে যাওয়ার জন্য রাজী হইছিলেন কেন? ফাকড আপ কান্ট্রিতে যাইতে উনাদের ইজ্জতে লাগতো না?
এখন রুপম ইসলামরে বাদই দিলাম, ধরলাম গায়ক নচিকেতা কইলো বাংলাদেশ বাংলাদেশ না, বাংলাদেশ হইলো কাংলাদেশ। ফাকড আপ কান্ট্রি। এইরকম বক্তব্য দিলে বাংলাদেশের মানুষ নচিকেতারে জীবনে এইদেশে ঢুকতে দিত? ঢুকলেও জান লইয়া বাইর হইতে পারতো?
প্রতিটা দেশের মানুষের নিজ দেশের প্রতি আলাদা সেন্টিমেন্ট থাকে। আমরা আম জনতা যা খুশী করতে পারি, কিন্তু হামিন শাফিন আহমেদের মত যারা লাখ লাখ ফলোয়ার লইয়া চলেন, তাদের হওয়া উচিত সংযত। একই রকম কারণে সরকার যা খুশী করতে পারেনা, কারণ সরকার হয় দ্বায়িত্বশীল। পাকিস্তানে গোলাম আজমের ফাসির রায় লইয়া সংসদে আলোচনা হইলে বা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিবৃতি দিলে আমাদের জবাবটাও ওই মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমেই যায়। হাসিনার মনে যতই পাক বিদ্বেষ থাকুক, সার্ক সম্মেলনে গেলে বা কোথাও দেখা হইলে পাকিস্তানী সরকার প্রধানের লগে হাসিমুখেই কুশল বিনিময় করতে হবে। দ্বায়িত্বশীল মানুষদের, উচ্চস্তরে থাকা মানুষদের এই বাধাটাই বা রীতিটাই বা এই প্রথাগত আচরণ বা সংযত আচরনই মানুষের সাথে মানুষের, দেশের সাথে দেশের বা জাতির সাথে জাতির সম্পর্ক উন্নতির জন্য আদর্শ।
আমি মাইলস এবং ফসিলস ক্যাচাল ইস্যুতে ফসিলসরে সমর্থন জানাইলাম। কারণ, হামিন শাফিন যা বলছিলো তাদের পর্যায়ে থাইকা ওইভাবে বলা আমার সামান্য মুল্যহীন দৃষ্টিতে মনে হইলো যে ঠিক হয়নাই। আবার রুপমেরও বাংলাদেশ বিদ্বেষের ইতিহাস আছে, নব্য পাকিস্তান আর এমন অনেক কথা সেও বলছে। তার পিছনে কারণ নাকি তার স্ত্রীকে গালাগালি আর বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তদের উন্মাদনা। কিন্তু রুপম নিজেও এইটা করতে পারেনা। তাই সে নিজেও বাংলাদেশ আসলে তাকে জুতাপেটা করা যাইতে পারে।
জয় বাংলা । খোদা হাফেজ
বাংলাদেশ জিন্দাবাজ / বাংলাদেশ চিরজীবি হোক
বিদায় / টাটা
মাইলস ব্রাদারদের বক্তব্য হলো
মাইলস ব্রাদারদের বক্তব্য হলো ওরা এইসব কথার দ্বারা দেশপ্রেম!! প্রকাশ করছে। 😀