কখনো তালেবান, কখনো আল কায়েদা, কখনো জেএমবি, কখনো আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, কখনো আইএস; এভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে যাদের আমরা জঙ্গি গোষ্ঠী বলে চিনি। সময়ের সাথে সাথে একসময় এদের সাময়িক পতনও হয়। কিন্তু মাঝখান দিয়ে প্রাণ হারায় অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ। গুরুতর আহতসহ পঙ্গু হয় অনেকেই। ধ্বংস হয় বহু স্থাপনা। শুধু তাই নয় প্রতিবারই সারা বিশ্বে মুসলিমদের দেখানো হয় একটা সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে। আর এভাবেই একদল বিপথগামী চরমপন্থিদের কারণে ইসলাম, মুসলিম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। অবস্থা এখন এমন যে, জঙ্গিবাদ শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে মুসলিমদের চেহারা ভেসে ওঠে। অথচ জঙ্গিবাদের সাথে ইসলামের দূরতম সম্পর্কও নেই। আসলে জঙ্গিদের কোনো ধর্ম নেই। জঙ্গিবাদ মূলত একটি অমানবিক, বর্বর এবং বিকৃত মানসিক অবস্থার নাম।
.
পবিত্র কুর’আন এবং হাদীসের আলোকে জঙ্গিবাদ একটি ভ্রান্তপথের নাম। পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ তা’লা বলেনঃ
“তোমরা আল্লাহ’র রাস্তায় যুদ্ধ করো (তাদের বিরুদ্ধে) যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করছে। কিন্তু সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।” [সূরা বাকারাহ ২/১৯০]
এই আয়াতের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় মহানবী (সা.) এর একটি হাদীস থেকে। হাদীসটি হলোঃ “বুরাইদাহ (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) যখন কোনো সৈন্যদলকে প্রেরণ করতেন তখন বলতেন, ” তোমরা আল্লাহ’র নামে তাঁর রাস্তায় যুদ্ধ করো। যুদ্ধ করো কিন্তু গণীমতের মাল খেয়ানত করো না। চুক্তি ভঙ্গ করো
না। শত্রুর অঙ্গহানি করো না। শিশু ও উপাসনাকারীদের হত্যা করো না”। [সহীহ মুসলিম হা/ ১৭৩১, মিশকাত হা/৩৯২৯]
উক্ত আয়াত ও হাদীস থেকে যা বুঝা যাচ্ছে তা হচ্ছেঃ
প্রথমত, যুদ্ধ করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। কিন্তু বর্তমানে জঙ্গি গোষ্ঠীদের সিংহভাগ আক্রমণই হল সাধারণ মানুষদের বিরুদ্ধে। সুতরাং তাদের এহেন কর্ম ইসলাম সম্মত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
দ্বিতীয়ত, আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তা’লা মুসলিমদেরকে তাদের সাথে যুদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছেন যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আর হাদীসটির প্রথম বাক্য থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সেই যুদ্ধটা হতে হবে শাসকের অধীনে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেসব জঙ্গি গোষ্ঠীরা ইসলামের নাম
ভাঙ্গিয়ে যুদ্ধ করছে তারা তাদের দেশের শাসকের অধীনে তো নয়ই বরং শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
তৃতীয়ত, আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তা’লা যুদ্ধের সময়ে সীমালঙ্ঘন করতে নিষেধ করেছেন। আর হাদীস থেকে জানতে পারলাম যে, সীমালঙ্ঘনের
মধ্যে রয়েছে শিশুদের হত্যা করা এবং উপাসনাকারীদের হত্যা করা। কিন্তু বর্তমান সময়ের জঙ্গি গোষ্ঠীরা অহরহ আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ বিভিন্ন সময় অসংখ্য শিশু হত্যা করে চলেছে যা কখনোই ইসলাম সম্মত হতে পারে না। এছাড়াও তারা অনেক সময় বিভিন্ন উপাসনালয়ে (যেমন বিভিন্ন গীর্জা, মসজিদ ইত্যাদি) হামলা চালিয়ে উপাসনারত মুসলিম, অ-মুসলিমদের হত্যা করছে যেটাকে সীমালঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কুর’আন-হাদীসে।
.
পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ তা’লা আরো বলেনঃ
“যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টির কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে সে যেনো সমগ্র
মানবজাতিকেই হত্যা করলো।” [সূরা মাইয়েদাহ ৫/৩২]
এই আয়াত পরিষ্কার করে বলছে যে, উক্ত দুটি বিশেষ কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করা সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করারই শামিল। কিন্তু বর্তমানে জঙ্গি গোষ্ঠীরা নিরপরাধ সাধারণ মুসলিম, অ-মুসলিমদের তাদের অস্ত্রের লক্ষবস্তু বানাচ্ছে যেটা কখনোই ইসলাম সম্মত হতে পারে না।
.
সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিমের হাদীসে এসেছেঃ
“ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসুল (সা.) এর এক যুদ্ধে একজন নিহত মহিলাকে পাওয়া যায়। (এটা দেখে) তখন মহানবী (সা.) অসন্তোষ প্রকাশ করেন।” [সহীহ বুখারি (তা.পা.) হা/৩০১৪; সহীহ মুসলিম হা/১৭৪৪]। এরপরের হাদীসটিতে অর্থাৎ সহীহ বুখারি’র ৩০১৫ নম্বর হাদীসে রাসুল (সা.) যুদ্ধাবস্থাতেও নারী ও শিশু হত্যাকে নিষেধ
করেছেন। আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, ইসলামে যুদ্ধের সময়েও নারী-শিশু হত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান জঙ্গি গোষ্ঠীরা যুদ্ধের সময় তো নয়ই বরং স্বাভাবিক অবস্থাতেও বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা চালিয়ে অগণিত নারী-শিশু হত্যা করে চলেছে। আর এসব কস্মিনকালেও ইসলাম সম্মত হতে পারে না।
.
পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ তা’লা বলেনঃ “তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় আর দ্বীন পূর্ণরুপে আল্লাহ’র জন্যে হয়ে
যায়।” [সূরা বাকারাহ ২/১৯৩; সূরা আনফাল ৮/৩৯] একটি হাদীসে এসেছেঃ ইবনে ওমর (রা.) এই হাদীসের ব্যাখ্যায় এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ” তুমি কি জানো ফিতনা কী? মহানবী (সা.) যুদ্ধ করতেন মুশরিকদের বিরুদ্ধে। তাদের উপরে আরোপিত হওয়াটাই ছিলো ফিতনা। তোমাদের মত যুদ্ধ নয়, যা হচ্ছে শাসন ক্ষমতা লাভের জন্য।” [সহীহ বুখারি (তা.পা.) হা/৪৬৫১, ৭০৯৫]
আলোচ্য আয়াত ও হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে, ইবনে ওমর (রা.) এর কাছে প্রশ্নকারি ব্যক্তি শাসন ক্ষমতা লাভের জন্য যুদ্ধ করাকে জায়েজ মনে করতেন। আর ইবনে ওমর (রা.) সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু বর্তমান জঙ্গি গোষ্ঠীদের সকল যুদ্ধ বিগ্রহের মূল উদ্দেশ্য হলো ঐ শাসন ক্ষমতা লাভ যেটাকে ইসলাম সমর্থন করে না।
.
আরেকটি হাদীসে এসেছেঃ “আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আলী ইবনু আবূ তালিব (রা.) ইয়ামান থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সিলম বৃক্ষের পাতা দ্বারা পরিশোধিত এক প্রকার (রঙিন) চামড়ার থলে করে সামান্য কিছু তাজা স্বর্ণ পাঠিয়েছিলেন। তখনও এগুলো থেকে সংযুক্ত খনিজ মাটি পরিষ্কার করা হয়নি। আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) চার ব্যাক্তির মধ্যে স্বর্ণখন্ডটি বন্টন করে দিলেন। তারা হলেন, উয়ায়না ইবনু বাদর, একরা ইবনু হারিস, যায়দ আল-খায়ল এবং চতুর্থজন আলকামা কিংবা আমির ইবনু তুফাইল (রা.)। তখন সাহাবীগনের মধ্য থেকে একজন বললেন, এ স্বর্নের ব্যাপারে তাঁদের অপেক্ষা আমরাই অধিক হকদার ছিলাম। (রাবী) বলেন, কথাটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছল। তাই রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা কি আমার উপর আস্থা রাখ না অথচ আমি আসমান অধিবাসীদের আস্থাভাজন,
সকাল-বিকাল আমার কাছে আসমানের সংবাদ আসছে। এমন সময়ে এক ব্যাক্তি উঠে দাঁড়ালো। লোকটির চোখ দু’টি ছিল কোটরাগত, চোয়ালের হাড় যেন বেরিয়ে পড়ছে, উঁচু কপালধারী, তার দাড়ি ছিল অতিশয় ঘন, মাথাটি ন্যাড়া, পরনের লুঙ্গি ছিল উপরের দিক উঠান। সে বলল, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আল্লাহকে ভয় করুন। রাসূল (সা.) বললেন, তোমার জন্য আফসোস! আল্লাহকে ভয় করার ব্যাপারে দুনিয়াবাসীদের মধ্যে আমি কি বেশি হকদার নই? আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, লোকটি (এ কথা বলে) চলে যেতে লাগলে। খালিদ বিন ওয়ালীদ (রা.) বললেন, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম , আমি কি লোকটির গর্দান উড়িয়ে দেবনা? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, হতে পারে সে সালাত আদায় করে (বাহ্যত মুসলমান)। খালিদ (রাঃ) বললেন, অনেক সালাত আদায়কারী এমন আছে যারা মুখে এমন এমন কথা উচ্চারন করে যা তাদের অন্তরে নেই। রাসূল (সা.) বললেন, আমাকে মানুষের দিল ছিদ্র করে, পেট ফেঁড়ে (ঈমানের উপস্থিতি) দেখার জন্য বলা হয়নি। তারপর তিনি লোকটির দিকে তাকিয়ে দেখলেন। তখন লোকটি পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ব্যাক্তির বংশ থেকে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটবে যারা শ্রুতিমধুর কন্ঠে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করবে অথচ আল্লাহর বাণী তাদের গলদেশের নিচে নামবেনা। তারা দ্বীন থেকে এভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে নিক্ষেপকৃত জন্তুর দেহ থেকে তীর বেরিয়ে যায়। (বর্ননাকারী বলেন) আমার মনে হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাও বলেছেন, যদি আমি তাদেরকে হাতে পাই, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের সামুদ জাতির মতো হত্যা করে দেবো। [সহীহ বুখারি (ই.ফা.বা.) হা/৪০১৩]
হাদীসটিতে দেখা যাচ্ছে, ঐ ব্যক্তিটি মহানবী (সা.) কে বলেছেন, “আল্লাহকে ভয় করুন”। পরোক্ষ্যভাবে ঐ ব্যক্তি এটাই বলেছে যে, আপনি এখন আল্লাহকে ভয় করছেন না। এটা মহানবী (সা.) এর শানে অত্যন্ত বেয়াদবি আচরণ। লোকটি এ কথা বলতে পেরেছিলো এ কারণে যে, সে শুধু নিজের বিবেক-বুদ্ধি দিয়েই মহানবী (সা.) এর কাজকে বিচার করেছিলো সে মহানবী (সা.) এর কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা চায় নি। এভাবেই সে নিজেকে সঠিক আর মহানবী (সা.) ভুল বলার মত দু:সাহস দেখায়। হাদীসটিতে মহানবী (সা.) ভবিষ্যৎবাণী করেছেন, পরবর্তিতে এ ধরণের লোকের আবির্ভাব ঘটবে যাদেরকে তিনি নিজে সামুদ জাতির মত হত্যা করতে চেয়েছেন।
এবার আসুন আমরা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর দিকে একটু তাকাই। এরাও একমাত্র নিজেদেরকেই সঠিক আর তাদের বিরোধীদের ভুল মনে করে। শুধু তাই নয় এরা এদের বিরোধীদের কাফের, মুরতাদ ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে অহরহ হত্যা করছে। এদের কাজ হাদীসের ঐ লোকটির সাথে মিলে যায়। সুতরাং আমরা কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলতে পারি যে, বর্তমান জঙ্গি গোষ্ঠীরাই মহানবী (সা.) এর ভবিষ্যৎবাণীর সেই অভিশপ্ত দল।
.
সহীহ মুসলিমের হাদীসে এসেছেঃ মহানবী (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো অন্যায় দেখতে পায় সে যেনো হাত দিয়ে তা প্রতিরোধ করে। যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে সে যেনো মুখ দিয়ে (সেটা প্রতিরোধ করে)। আর যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে যেন অন্তর দিয়ে (সেটা প্রতিরোধ করে)। আর এটাই হলো ঈমানের সর্বনিম্ন পর্যায়। [সহীহ মুসলিম (ই.ফা.বা.) হা/৮৩]
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় অন্যায় হচ্ছে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। তাই, মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিৎ এর বিরুদ্ধে হাত, মুখ ও অন্তর দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তাই, পরিশেষে সবাইকে অনুরোধ করবো, আসুন আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এসব জঙ্গি গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
—
ইসলাম ও জঙ্গিবাদ
ফেসবুক মন্তব্য
শেয়ার করুনঃ
যেসব হাদিস ও আয়াত অনুসরণ করে
যেসব হাদিস ও আয়াত অনুসরণ করে বিধর্মী কতল, যৌনদাসী ভোগ, নাস্তিক হত্যা, জিহাদ করা হচ্ছে ঐসব কি ভুয়া? ঐগুলো কোরান ও হাদিস থেকে বাদ দিয়ে শান্তির বানী কপচান ভাইজান। ইসলাম একটা সন্ত্রাসী ধর্ম। পৃথিবীর সবাই ইসলাম গ্রহন না করা পর্যন্ত জিহাদ জারি রাখার কোরানী হুকুম মিথ্যা হয়ে গেল। প্রতিটা মুসলমান হিপোক্রেট ও মিথ্যাবাদী। সত্য স্বীকার করে নিয়ে বলেন- এখন আর ঐসব আয়াতের প্রয়োজন নাই। ইসলামে বেশি কিছু ভুল নির্দেশনা আছে, ঐসব সংশোধন করার আহবান জানান। ইসলামের কদর্য দিক উন্মোচন হয়ে গেছে।
আপনার মন্তব্যের সাথে আমি
আপনার মন্তব্যের সাথে আমি প্রায় একমত। আসলে, যুদ্ধরত অবস্থায় পালনীয় অনেক বিধান কিছু পথভ্রষ্ট মুসলিমরা সাধারণ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে।
.
শুভকামনা আপনার জন্য।