২১শে ফেব্রুয়ারীর শাহবাগ মহাসমাবেশে যোগ দেয়ার পথে ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে বাসে জামাত শিবিরের লোকেদের দেখে ফেবুতে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে তারা সহিংস কিছু অবশ্যই করবে, ২২ তারিখে তা আমরা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করি। হেফাজতের অবরোধকে কেন্দ্র করে এমন কিছুর আভাস এখনো পাচ্ছি।
সাভার দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে যখন সকল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক দলগুলো তাদের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে তখনো কিন্তু হেফাজতিরা তাদের সভা-সমাবেশ, জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। তারা অবরোধকে টার্গেট করে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। তারা তাদের কার্যক্রম থেকে এক চুল পরিমান পেছনে আসেনি। এ কিসের ইংগিত?
গতকাল আমার এক বন্ধু (যদিও এখন আর আত্মিক বন্ধুত্ব নেই) জানালো সেও অবরোধে যোগ দেয়ার জন্য যাচ্ছে। আমি যতটুকু জানি সে কোন সাধারন কৌমি মাদ্রাসায় পড়া ছেলে না। তবু সে যাচ্ছে ঈমানী দ্বায়িত্ব থেকে। কলেজে পড়ার সময় তার হাতে শুভা পেত হকিস্টিক আর এখন ঈমানী দ্বায়িত্ব পালন করবে তা দিয়ে। তার কাছ থেকে জানতে পারি তারা বেশ কয়জন এমন ঈমানী দ্বায়িত্ব পালনের জন্য ঢাকায় যাবে। অথচ এরা না জানে ধর্ম না জানে কর্ম, সারাদিন টো টো করে ঘুরতেই দেখি। এদের একজন নিয়মিত নামাজও পড়ে এবং পরে আবার পতিতাগমনও করে। জানিনা সে কোন ঈমানী দ্বায়িত্ব পালন করবে !!
তার কাছ থেকে আরো জানতে পারি সারাদেশ থেকে এমন ঈমানদার লোকেরা ঢাকায় অবরোধে যোগ দেবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারা অবরোধের মাধ্যমে কি চায়? শুনে আঁতকে উঠলাম। তারা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয় অবরোধ করবে, তাদের লক্ষ্য এখন একটাই, হাসিনার সরকারের পতন। জানিনা শেষ পর্যন্ত কি হবে!!
উপরের আশঙ্কা হয়ত অমুলক হতে পারে, তবু মধ্যযুগীয় বর্বদের বিশ্বাস করা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে? তাই সব ধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।
এই উদ্ভট, উন্মত্ত ভেড়ার পালকে প্রতিহত করার জন্য সরকার প্রস্তুত তো? গোয়েন্দারা কি এ ব্যপারে সজাগ কিংবা সচেতন আছে? আশা করি সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
সরকার যে ব্যবস্থাই নিক, আমরা কতটুকু প্রস্তুত আছি সেটাও ভাবার বিষয়। শুধু কি অনলাইন, ফেবু আর ব্লগেই চিৎকার করে সময় কাটাচ্ছি? আমাদের কি প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই? সেটাও আপনারা ঠিক করেন।
সবার আগে আশেপাশের মানুষদের এ ব্যপারে সতর্ক করাটা জরুরী। তারপর সকল বিভেদ ভুলে সমমনা তরুন, যুবকদেরকে একতাবদ্ধ করে প্রয়োজনের সময় এগিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত করা। হয়ত সহিংস প্রস্তুতি নয়, কিন্তু দরকারের সময় অন্তত একসাথে বেরিয়ে আসার জন্য রেডি থাকতে হবে।
— পৃথু স্যন্যাল ( ০৩-০৫-১৩)
ze dhshe sorkar hartal dey se
ze dhshe sorkar hartal dey se deshe hefajot i Islamer krmosuci bondha karar prshnai ase na
গন্ধ পাচ্ছি গন্ধ পাচ্ছি
গন্ধ পাচ্ছি গন্ধ পাচ্ছি পরিচিত :-B :-B
সরকার হরতাল দেয়?
সরকার হরতাল দেয়? :কনফিউজড:
বান্দররে লাই দিয়ে সরকার মাথায়
বান্দররে লাই দিয়ে সরকার মাথায় তুলছে, এখন ঠ্যালা সামলাও।
বান্দরের জ্বালায় অতিষ্ঠ
বান্দরের জ্বালায় অতিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে। !!!
কিন্তু সাভারের জন্য একটা প্রেস বিফিংও না।
বান্দর মেয়ে মানুষ দেখলে কি
বান্দর মেয়ে মানুষ দেখলে কি করে জানেন কি ? সুতরাং বুঝতেই পারছেন বান্দরকে মাথায় তুললে কি হয় সেটা বুঝবে যারা তুলেছে….