সমস্যা, সমাধান, দরকার, অদরকার, সবকিছুই একটা প্রোসেস এর মধ্য দিয়ে চলে। সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট বিষয় দিক আছে সেই বিষইয় সমাধানের। কিন্তু, জ্বিন, ভূত, প্রেত এর নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা তো নেই ই নেই সুনির্দিষ্ট কোন তথ্যভিত্তিক প্রমান।
—
এইচ এস সি টেস্ট পরীক্ষার আগে বাসায় আসছি। খুব আনন্দের মধ্যেই দিন কাটছিল। সুন্দর সাবলীল, ফান, মাস্তি আড্ডা যেটাকে বলে সবকিছুই চলছিল কীন্তু মনের মধ্যে একদিন হঠাত করে একটা বিশাল কনফিউশন ভর করে উঠল। লোকে বলে নিজের চোখে কোন কিছু না দেখে হুটহাট করেই কোনকিছু বিশ্বাস করা যায় না। আমিও করি না। ভবিষ্যত এ ও করব না। কিন্তু নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা কীভাবে অবিশ্বাস করা যায়?? জানি এর পেছনে বিশাল একটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে।। আকিন্তু গ্রামের এসব মূর্খ, অশিক্ষিত জনগন কে বোঝানো যাবে কীভাবে,… তাই তো আপনাদের কাছে পরামর্শ নেওওয়ার জন্য পুরো ঘটনাকে হিডেন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে চি যাতে করে আপনারা এই বিষয়টার মনো বৈজ্ঞানীক্ ভিত্তি বের করতে পারেন।
এখন ঘটনায় আসা যাক,
রাতের বেলা অনেক সুন্দর করে কাথার নিচে শুয়ে ব্লগগুলা এক এক করে ঘাটতেছি। হঠাত বড় ভাইয়ার ফোন, ‘বাবু তুই কোথায় তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে বাজারে আয়, ফুফু দুই ঘন্টা ধরে অজ্ঞান।’
কোনকিছুই পড়োয়া নাকরে এক ছুটে চলে আসলাম, বাজার। পাশের উপজেলা স্বাস্থ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সাজেষ্ট করলেও ভাইয়া বলল যে কোন অসুখ না, জ্বিনে ধরছে। এর আগেও নাকী ফুফুকে বাড়ি থেকে জ্বিনে বের কএ নিয়ে গেছিল । আমি এসব কথায় কান না অটোভ্যান ভাড়া করে হাসপাতাল এ নিয়ে যেতে চাইলাম। কিন্তু বড়দের মাঝে আমার কথা খাটল না। শেষ পর্যন্ত নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যাকসিটে কবিরাজ কে বসাতে হলো। কবিরাজ কে ফুফুর বাসায় পৌছে দিয়ে আমি ক্ষান্ত থাকলাম না। সোজা টান দিলাম ভ্যান খুজতে। ২০ মিনিট পরে ভ্যান নিয়ে এসে দেখি ফুফু বসে আছে। আর কবিরাজ ফুফুর সাথে কথা বলছে। আপনারা, কবিরাজ এবং ফুফুর পুরো কথাবার্তা শুনতে পারেন নিচের দেওয়া ভিডিওতে।
আমি ছেলেটা পুরো নাস্তিক বলতে পারেন। সবকিছুরই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি খুযে ফিরই। কিন্তু কবিরাজ যখন ফুফুর শরীর থেকে জ্বীন তাড়াল তখন থেকেই আমি পুরা কনফিউজড হয়ে আছি। জানি এর মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। তাই আপনাদের কাছে আসলাম আপনাদের মূল্যবান মতামত পেতে, এবং মনের কনফিউশন দূর করতে।
একটা স্থির ছবি দিয়ে এটা কি
একটা স্থির ছবি দিয়ে এটা কি ধরনের ভিডিও দিলেন? ফাইজলামী করলেন মনে হয়? শুধু কথা শোনা যায়!