পিরোজপুরের জিয়ানগরে মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাপরাধী দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। মাসুদ সাঈদী জিয়ানগর উপজেলার চেয়ারম্যান।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) জিয়ানগরে বিজয় দিবসের প্যারেডে সালাম গ্রহণ করেন মাসুদ। এমনকি মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা এবং পুরষ্কারও তুলে দেন মাসুদ সাঈদী। পুরষ্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদীও রয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যাচ্ছে। দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য বর্তমান সরকারও তাঁর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। কারন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের পাশাপাশি তাদের সন্তানদের উপর কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করে দ্রুত আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন যা এখনও করা হয়নি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর আগে এবং অতীতের বিভিন্ন সরকারের সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানেরা রাজনৈতিকভাবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা পেয়ে প্রশাসনে বহুদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় নেই যে আওয়ামী লীগ সরকারের দৃঢ় সংকল্পের ফলেই বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের পর পুনরায় স্বাধীনতার ৪১ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ সরকারকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পরবর্তী আইনের ব্যাপারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনেকেই যুক্তিতর্ক দিচ্ছেন যে মাসুদ সাঈদী তার পদাধিকার বলে ১৬ই ডিসেম্বরের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন। যুক্তিটি অপ্রিয় হলেও সত্য। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর সন্তান হিসেবে তাদের নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হিসেবে লড়ার সুযোগটি বন্ধ করে দেয়াই যে অধিক যুক্তিযুক্ত। মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানেরা এদেশে বসবাস করবে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে। রাষ্ট্রের উচিত তাদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বসবাসের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়া। আর তাতেই যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
খোরশেদ আলম, লেখক ও গবেষক
এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর
এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস রাখে না।