৫ তারিখে আমরা সবাই নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করলাম ধর্মীয় উন্মাদনার আরেক কলংকময় নারকীয় তাণ্ডব। দেখলাম একটি স্বাধীনদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজপথ দখল করে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী কার্যক্রম। দেখলাম ধর্মীয় অনুভুতিকে পুজি করে রাস্তায় রাস্তায় আগুন, মসজিদের ভিতরে আগুন। অবশ্যই এটি স্বাধীন জাতীর জন্য কলংকময় একটি অধ্যায়।
যাই হোক বর্তমান সরকারের দ্রুত ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারনে ধর্মীয় উন্মাদেরা ঢাকা ছেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে ওরা নারায়ণগঞ্জ ও চিটাগাং শহরে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতিরোধের নামে বৃথা আস্ফালন। আমার ধারনা বেকুবেরা এখান থেকেও পিছু হটবে।
তবে সমস্যা অন্য জায়গায়, এরা কি একদম দমে যাবে? না কি আবার ফিরে আসবে শ্বদন্ত নিয়ে?
আমরা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্মের উন্মাদনা সম্পর্কে সকলেই কমবেশি অবগত আছি। যে ধর্মের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে সেই ধর্ম আজ ৬৬ বছর পরেও প্রতিষ্ঠিত তো হয়নিই , বরং প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে ধর্মের নামে সহিংসতা। আমরা তিন বেলা ভাত খাই, ওরা তিন বেলা খায় বোমা। এখনো সেখানে শান্তি শব্দটি অভিধান ছাড়া বাস্তবে মেলে না। আর আফগানিস্তানে তালেবানি আগ্রাসন? খোদ আমেরিকার মত একটি দেশ তার সেরা চৌকস সেনাদের সাহায্যেও সম্পুর্ণভাবে পরাজিত করতে পারছে না। আজ পর্যন্ত সেখানে তালেবানিরা ধর্মের দোহাই দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নারকীয় তাণ্ডব। তাদের কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই। বোমার আঘাতে মারা পরছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী থেকে শুরু করে সবাই।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রেক্ষিতে যদি হেফজতিদের চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশে ধর্মীয় উন্মাদদের পরাজয় ঘটেছে ধরে নিলে কি ভুল হবে না? উন্মাদদের ইতিহাস কি তাই বলে? আমার তো মনে হয় এরা আরো শক্তি অর্জন করে আবার ফিরে আসার চেষ্টা করবে। এই ফিরে আসা কিন্তু শুধু ঢাকায় ফিরে আসা নয়, সারাদেশেই তারা আগ্রাসন চালাতে পারে।
একটা কথা যদি ভুলে যাই তাহলে চরম ভুলে হয়ে যাবে আমাদের। উগ্র ধর্মান্ধরা কাজ করে মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে পুজি করে, যেখানে মৃত্যু হচ্ছে সর্বোচ্চ পুরষ্কার। বেহেস্তের লোভ দেখিয়ে দল ভারি করার ক্ষেত্রে এরা সবচেয়ে পারঙ্গম। আর আমাদের দেশের বেশিরভাগ ধর্মান্ধ মানুষ সত্য অনুসন্ধানের চেয়ে গুজবে কান দিতেই বেশি ওস্তাদ।কোরান পুড়ানোর ঘটনাকে পুজি করে আবার গুজব ছড়াতে পারে হেফাজতিরা। এই গুজবে কান দিয়ে বেহেস্তের লোভে ধর্মান্ধরা ধর্মরক্ষার আত্মঘাতী হতে কতক্ষণ
এরা কি আবার আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে না? আমার মনে হয় বিষয়টা নিয়ে আমাদের আরো একবার ভাবা দরকার।
— পৃথু স্যন্যাল (০৭-০৫-১৩)
হেফাজতিরা যদি পুনরায় নতুন
হেফাজতিরা যদি পুনরায় নতুন উদ্যোমে ফিরে আসে, তা হবে ১৮ দলের ঘারে চড়ে ! আর সেবার তারা শুধু ১৪ দলকে নয়, ১৮ দলকেও ছাড় দেবে না! এ সহজ সুত্রটা ১৮ দলের মাথা মোটা নেতা-কর্মীদের ক্ষমতার লোভে মস্তিস্কে ঢুকছে না….
ঘাড়ে করে কি না জানি না।
তবে
ঘাড়ে করে কি না জানি না।
তবে আসবে যে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
উগ্র ধর্মান্ধরা এত সহযে দমে যাবার কথা না।
আর উপরি জামাতি উস্কানি তো আছেই।
সেটাই দেখার বিষয়
সেটাই দেখার বিষয়
ওরা চায় বাংলাদেশকে একটি
ওরা চায় বাংলাদেশকে একটি ধর্মান্ধ সহিংস রাষ্টে পরিণত করতে? ওদের এই চাওয়া জনগণ কখনোই পূরণ হতে দিবে না।
আশা রাখি, আর উদ্দিপ্ত হই
আশা রাখি, আর উদ্দিপ্ত হই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।
৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষাধিক
৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ মোল্লাদের রাজত্ব এত সহজে মেনে নেবে না পাবলিক….
এরা আত্নঘাতী হামলা করতে আইলে
এরা আত্নঘাতী হামলা করতে আইলে হামলার আগে আম পাব্লিকে এদের মাটিতে মিশায়ে দিবে!
সেটাই আশা করি।
সেটাই আশা করি।
হেফাজতিরা এবার একটা ভালো
হেফাজতিরা এবার একটা ভালো ধাক্কা খাইছে। ছাগুরা যতোই লম্ফঝম্ফ করুক খুব সহজে হেফাজতিদের ইউজ করে ফায়দা নিএত পারবে না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে জামাতের হেফাজতি মিশন ফেইলড।
সহমত। ৫ তারিখ সহিংশতাই ওদের
সহমত। ৫ তারিখ সহিংশতাই ওদের পথে বসিয়েছে বলে আমার ধারণা।
ভাল লিখেছেন।
কিন্তু ডাঃ
ভাল লিখেছেন।
কিন্তু ডাঃ আতিকের সাথে একমত।
এখন আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে হেফাজত দমে যাবে… :ভাবতেছি:
তবু ভয় থেকে যায়।
তবু ভয় থেকে যায়।
আমরা তিন বেলা ভাত খাই, ওরা
:তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া:
এরা কি একদম দমে যাবে? না কি
আমার মনে করি এরা দমবে না এত সহজে । রাজনীতির নতুন দাবার মঞ্চ এ ফিরে আসবে এরা নতুন নতুন নাম এ নতুন নতুন ট্রিক্স হিসেবে ।
হেফচুতিয়াদের নীরবতা আমাকে বেশ
হেফচুতিয়াদের নীরবতা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে, এরা এতদিন নীরব কেন?
একটু কি চিন্তার বিষয় না?
কোন বিবৃতি পর্যন্ত নাই?
ঘটনা কি?