“বইমেলা থেকে ১১ জন (মাদ্রাসার) শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ”
:সূত্র – সমকাল এবং ক্যাম্পাস প্রেস।
?efg=eyJpIjoidCJ9&_nc_eui2=v1%3AAeEVuuEps0_WaqiOnQFQTVEWC-NGtyvYrmUYzm-qzUV40W244lX-TDVxd2SLvNg0qaMMWw_2ixfiby0M399-d3e5-9ULj6iPkm8uR1OnZp3nmFw3emTgOFFtCLCpMnnyLI0&oh=4ea6928a352e167ab77e764143f3d85b&oe=593FDD57″ width=”500″ />
আটক করার কারণ: সন্দেহজনক গতিবিধি।
‘সন্দেহজনক গতিবিধি’ বলতে যেটা বুঝাচ্ছে তা হলো : সবার পরনে ছিলো টুপি-পাঞ্জাবি!
এই টুপি-পাঞ্জাবিওয়ালারা যখন একজায়গায় দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছিলো (তাদের মধ্যে প্রায় সবাই লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো) তখন সেটাকে পুলিশি ভাষায় বলা হলো ‘জটলা’।
তন্মধ্যে একজন তরুণ লেখক জাইফ মাশরুর, ‘কুকুর কাহিনী’ নামক বইটির লেখক।
ব্যাপক সাড়া পাওয়া বইটির লেখক অন্যান্য লেখকদের মতো ঐদিন মাদ্রাসার বন্ধুদের নিয়ে গিয়েছিলেন বইমেলায়।
সেখানে পরিচয় হয় আরো কিছু মাদ্রাসার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থীর সাথে। একসময় পুলিশ তাদের ‘জটলা’ দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় দেবার পর কয়েকজনকে ছেড়ে দেয় এবং বাকিদের (মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের) আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে আটক করে।
ধর্মনিরপেক্ষতা মানে যদি হয়, প্রত্যেকে স্ব-স্ব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ; তাহলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এরকম হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে কেনো?
সাম্প্রতিক সময়ে এদেশে যতগুলো জঙ্গী ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তন্মধ্যে কোনো ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
তবুও জঙ্গীবাদের হুশিয়ারিতে সবসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দিকে আঙ্গুল দেখানো হয়েছে!
পুনশ্চ : টুপি-পাঞ্জাবি পরার কারণে এরকম হেনস্তা করা হলে সবাই টুপি-পাঞ্জাবি পরে বই মেলায় যাই।
এটা হোক ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’!
মুহসিন হল,ঢাবি।
টুপি পাঞ্জাবী পরে বইমেলায়
টুপি পাঞ্জাবী পরে বইমেলায় যাওয়ার কি দরকার? অবশ্যই টুপি পাঞ্জাবীর ভেতর আছে শতরকমের বদমাইশী
ভিত্তিহীন কথা ছাড়া আর কিছুনা।
ভিত্তিহীন কথা ছাড়া আর কিছুনা। টুপি-পাঞ্জাবি পরে বই মেলায় যেতে সমস্যাটা কোথায়?
বইমেলা বিষয়টা হচ্ছে টুপি
বইমেলা বিষয়টা হচ্ছে টুপি পাঞ্জাবী সমর্থিত নৈতিকতা বিরোধী। মাদ্রাসার তালেবে এলেমরা নাস্তিকদের বইমেলায় যাওয়ার দরকার কি? হানাহানি ছাড়া এদের অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অতীতে
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অতীতে এমন অনেক কাজ করেছে যে কারণে তাদের সন্দেহ করা হয়েছে।
মাদ্রাসাগুলোয় শিক্ষা দেয়া হয় যে পদ্ধতিতে, তাতে জঙ্গি পয়দা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। অন্তত বেশিরভাগ ছাত্র জঙ্গি সরাসরি না হলেও, জঙ্গি মনোভাব তাদের মধ্যে জন্ম নেয়। তারা মনে করে, দুনিয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে, আর এজন্য চাই জিহাদ।
জিহাদ তো যেকোন আধুনিক মানুষের ভাষায় জঙ্গিবাদই।
আর যে পুলিশগুলো তাদের আটকিয়েছে, তারা তো মুসলিম। কাফের নাস্তিক ত আর নয়। মুসলিমেরাই দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস করছে না।
আর কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের আছে। সে অধিকার বলেই তারা ধরে নিয়ে গিয়েছে। আজ যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটেই যায়, আশা করি না ঘটবে, মানুষ তো দোষ দিবে তাদেরই। দোষটা হবেও আসলে তাদের।
তো, তারা কেন সে সুযোগ দেবে?
বই মেলার সুত্র ধরেই গতবার
বই মেলার সুত্র ধরেই গতবার হত্যা করা হয়েছিল অভিজিৎদের।
মাথায় টুপি এবং পরনে পাঞ্জাবী থাকলেই যে জঙ্গি তা কিন্তু নয় ।
আবার অন্যদিক থেকে চিন্তা করতে গেলে , বেশির ভাগ হত্যাকারী বা জঙ্গীরা মাথায় টুপি এবং গায়ে পাঞ্জাবী পরেই তাদের ইমাণী কাজ হাসিল করে …………….
সুতরাং, পাঞ্জাবী টুপি পরে গিয়েছিল বলে তাদেরকে পুলিশ আটক করেছে
এখানে ভুল কিছু নেই ।
নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ
নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ঠিকই করেছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেমন
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেমন মুসলমান,তেমনি বাঙ্গালি ও। সেই হিসেবে বইমেলায় যাবার অধিকার তাদেরও আছে। তাদেরকে প্রবেশে বাধাদান নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে।