—– সৌদি আরবের মসজিদ রক্ষায় সেনাবাহিনী পাঠাবে বাংলাদেশ !! এই ধরনের একটা ইসলামি চুক্তি করেছে মুসলিম মহিলা সৌদি আরবের সাথে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কি অন্য কোন দেশের ধর্মিয় স্থাপনা রক্ষার জন্য গঠন করা হয়েছে ?? এই যে কথায় কথায় বলা হয় “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী” এর মানে কি ?? প্রহসন নিশ্চয় !! আর হ্যাঁ, সৌদি আরবের মসজিদ রক্ষাই যেহেতু করবে সেহেতু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম পাল্টে “ইসলামিক মসজিদ রক্ষা বাহিনী” করা সময়ের দাবি । এতে মানুষের কাছে সেনাবাহিনী রাখার এবং পালন পোষন করার আসল উদ্দেশ্যটা স্বচ্ছ জলের মতই পরিষ্কার হবে। সৌদির মসজিদ কে কবে কখন আক্রমন করে বসে তার যেহেতু কোন নিশ্চয়তাই নেই সেহেতু বাংলাদেশে থাকা সেনানিবাস সমূহ এবং সকল সেনাসদস্যদের অবিলম্বে সৌদি আরবে স্থানান্তর করা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন । এতে মসজিদও বাঁচবে মুসলমানিত্বও টিকে থাকবে। কারন, মুসলমানের কাছে “বাঁচলে শহীদ মরলে গাজী”….. মরবেই যেহেতু সেহেতু মসজিদের জন্যই মরুক । সৌদি আরব যেহেতু মুসলমানের মাতৃভূমি সেহেতু সৌদি আরবের প্রয়োজনটাই আগে ।
—– মেজর জিয়া সহ আরো কয়েকজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গিবাদের বিস্তারের পিছনে কাজ করেছে । সেনা প্রশিক্ষন না থাকলে নিশ্চয় এভাবে কমান্ডো স্টাইলে চাপাতি দিয়ে মালাউন বিধর্মিদের জবাই করে মোটর সাইকেল চালিয়ে সুন্দর করে চলে যেতে পারে না । কখনোই না । কমান্ডো প্রশিক্ষন নিয়েছে/ দেয়া হয়েছে বলেই গুলশানের হলি আর্টিসানে এভাবে বিদেশীদের জিম্মি করে কোপাতে পেরেছে । আর যাদের হিজাব ছিল তাদের সাথে বসে উল্লাস করে ঐ লাশগুলোর সামনে পাস্তা খেয়েছে । হাজার হোক ইসলাম শান্তির ধর্ম । চাপাতির কোপে নিহত বিধর্মির লাশের সামনে বসে পাস্তা খাওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে সুন্দর কাজ এবং হালাল । আল্লাহ খুশি হন বরংচ ।
—– মেজর জিয়া সহ যেকজন সেনা সদস্য বাংলাদেশকে কাফের বিধর্মি মুক্ত করতে মাঠে নেমেছিলেন হেফাজতের অনুপ্রেরনায় তারা নিখোঁজ এখনো । কানামাছি খেলা এখনো চলছে । একবার বলা হয় মেজর সাহেব চীন গেছেন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্য , কেউ বলে মেজর সাব দেশেই আছেন !! তবে, উনি যেখানেই থাকুন আল্লাহ উনার হেফাজত করবেন । কারন উনি ইসলামের পথে আছেন, আল্লাহর পথে আছেন । যারা জঙ্গিবাদকে ভয় করে, চাপাতির কোপে বিধর্মি হত্যা সহ্য করতে পারে না তারা কেন যে বোঝে না “ইসলাম শান্তির ধর্ম” !!
—– পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্র সেই কবে থেকেই । অপারেশন করে আলাদা হয়েছে ঠিকই পূর্ব পাকিস্তান কিন্তু প্রাণের টান আর মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই তত্ত্ব যত দিন যাচ্ছে তত বেশি করে কাছে টেনে টেনে আনছে দুই “মুসলিম ভাইকে”!! যতই বলুক বাংলায় কথা রাস্তায় প্রস্রাব থামতে আরবীর ব্যবহার এবং বই থেকে বিধর্মিদের নিশ্চিহ্ন করা সাচ্চা মুসলমানের লক্ষন !!
—– হাইকোর্ট/সুপ্রিমকোর্ট এর সামনে গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য বসানোর বিরোধীতা করে রাস্তায় নামার ঘোষনা দিয়েছে হেফাজত !! ২৪ ফেব্রুয়ারি বাদ জুম্মা আল্লাহর আদেশে চাপাতি নিয়ে মাঠে থাকবে ইসলামের পবিত্র সৈনিকেরা । আহা !! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে !! হেফাজত আরো বলেছে ” দেশে আল কোরানের আইন চাই, বৃটিশদের করা এইসব আইন আমরা মানবো না, দেশের তৌহিদী জনতা মানবে না” ….. । দেশ কিন্তু এগিয়ে চলছে ….. উন্নয়নের পথে নয় ….তবে , ইসলামিক রিপাব্লিক হওয়ার পথেই !!!
দারুণ লিখেছেন। বাংলাদেশের
দারুণ লিখেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তো হয়েই গেছে আর ইসলামিক রিপাব্লিক হওয়া টা সময়ের অপেক্ষা। এথনিক ক্লিন্সিং হয়েই গেছে হিন্দু দের দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করে আর যেটুকু স্বাধীন মুক্তমনা মানুষেরা ছিলেন তাদের ও চাপাতি চালিয়ে সাফ করতে দেরি নেই(হিন্দু পুরোহিত রাও ছাড় পাচ্ছেন না)। মজার কথা এই দেশ আবার অন্য দেশের সংখ্যালঘু দের নিয়ে মাথা ঘামায়।
ধন্যবাদ আপনাকে অতীন্দ্র ।
ধন্যবাদ আপনাকে অতীন্দ্র ।
অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মাথা ঘামায় কারন ঐ সংখ্যালঘুরা মুসলিম !!