ঘরের মাঠে বরাবরই দূর্বার ভারত। সাদা পোশাকে ভারতীয় এই মৌসুমে খেলা সবকটি সিরিজেই জয় পেয়েছে দলটি। সর্বশেষ দুই সিরিজের পাঁচ ম্যাচে চারটিতেই জয় আর একটি ড্র তুলে নিয়েছে বিরাট কোহলির দল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলিবাহিনীর একী হাল!
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মাত্র তিনদিনেই গুটিয়ে গিয়ে ৩৩৩ রানের বড় হারের স্বাদ পেল ভারত। এই হারে থামলো অধিনায়ক কোহলির অপরাজিত ১৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পথচলা। সেই সঙ্গে ৩৩৩ রানের এই জয়ে ভারতের মাটিতে প্রায় এক যুগ পর জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রেলিয়া।
দুই ইনিংস মিলিয়েও ভারত অস্ট্রেলিয়ার এক ইনিংসের সমান রান করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করে, আর দুই ইনিংস মিলিয়ে কোহলি-রাহানে-অশ্বিন-জাদেজাদের সংগ্রহ মাত্র ২১২ রান। প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তাসের ঘরের ন্যায় স্বাগতিকরা ভেঙে পড়ে ১০৭ রানেই!
অজিদের এই জয়ে বড় অবদান রেখেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার স্টিভ ও’কিফি। প্রথম ইনিংসে ৩৫ রানে ছয় উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩৫ রানে ছয় উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন ৩২ বছর বয়সী ও’কিফি। ৭০ রানে ১২ উইকেট ভারতের মাটিতে যেকোনো বিদেশি স্পিনারের রেকর্ড বোলিং।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ২৬০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় বিরাট কোহলির দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া তোলে ২৮৫ রান। ১৫৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা অজিরা ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করায় ৪৪১ রান।
৪৪১ রানের বিশাল লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০০ রান তুলতেই টপঅর্ডারের সাত ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরে ভারতের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ভারতের তিন নম্বরে নামা চেতশ্বর পুজারার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩১ রান।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে তার সংগ্রহ ১৩ রান। পূজারা ছাড়া কেবল তিন ব্যাটসম্যানই দুই অংকে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ছয়টি উইকেট তুলে নেন ও’কিফি। বাকি চারটি উইকেট তুলে নেন আরেক স্পিনার নাথান লিয়ন।
ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্পিনিং উইকেটই তৈরি করে রেখেছিল ভারত। ঘূর্ণি জাদুও দেখিয়েছিলেন অশ্বিন-জাদেজারা। কিন্তু নিজেদের পাতা সেই ফাঁদেই ধরা পড়লো ভারত। অজিদের স্পিন বিষেই নীল হল স্বাগতিকরা!