এক নারীর ফেবু স্ট্যাটাস ;
“সকল ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষে সমতা চাই। সবাইকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা।”
ইনবক্সে নক করলাম;
: আপু, আপনি কি নারীপুরুষে সমতায় বিশ্বাসী?
: জ্বি, আমি চাই নারীপুরুষ সমান মর্যাদা পাক।
: আচ্ছা, আপনি কি বিয়ে করেছেন?
: না, কেন?
: আচ্ছা, আপনি কেমন ধরনের পাত্র চান? মানে, কোন পেশাজীবী?
: সরকারি চাকুরীজীবী হলে ভাল, নামীদামী কোন প্রাইভেট কোম্পানিতে ভাল পদে আছে; এমন হলেও চলবে।
: পাত্র যদি বেকার হয়?
: কি যে বলেন, বেকার পাত্রকে কে বিয়ে করবে?
: কেন, বেকারদের সমস্যা কি?
: বেকারদের বিয়ে করলে, খাব কি? সংসারের খরচ চলবে কি করে?
: তারমানে আপনি বেকার পাত্রকে বিয়ে করবেন না?
: না, কখনো না।
: আচ্ছা, আপনি কি করেন?
: কিছুই না, বেকারই।
: তাহলে, কোন পাত্র যদি বলে যে, সে বেকার পাত্রীকে বিয়ে করবেনা, তখন?
: না, এমন হয় না। বিয়ে করার জন্য পাত্রীর আয়রোজগার থাকতে হবে, এমন নয়। তবে, পাত্রকে অবশ্যই কোন না কোন পেশাজীবী হতে হবে।
: তার মানে পাত্রী, পাত্রের জীবিকার উপর নির্ভরশীল?
: জ্বি, অবশ্যই। বিয়ে করলে, বউকে খাওয়ানো, পরানোর জন্য; পাত্রকে আয় রোজগারি হতে হয়।
: তাহলে, একটু আগে যে স্ট্যাটাস দিলেন; নারীপুরুষে সমতা নিয়ে?
: দেখেন, নারীপুরুষে সমতা আর বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের পেশা খোঁজা এক বিষয় না।
: জ্বি, বুঝেছি। মুখে সমতার বুলি আওড়ান আর ভেতরে ভেতরে পাত্রের জীবিকার উপর নির্ভরশীলতা।
: দেখেন, আপনি বিষয়টা অন্যভাবে নিচ্ছেন।
: জ্বি না, যা সত্য, তাই বললাম। ভাল থাকুন, শুভরাত্রি।
……
মনে করুন, ইনবক্সের কথোপকথন কাল্পনিক। কিন্তু, এটাই বাস্তব যে; বর্তমান সময়ে, পাত্রের জীবিকার উপর নির্ভরশীল হয়ে, নারীপুরুষে সমতা আনয়ন সম্ভব নয়। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের চারিত্রিক গুণাগুণের চেয়ে, আয় রোজগারের গুণটাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
হে অবিবাহিত, বিবাহযোগ্য নারী সমাজ;
আপনারা, পাত্রের জীবিকা খোঁজা বন্ধ করুন, নিজে স্বাবলম্বী হোন। দেখবেন, এমনিতেই নারীপুরুষে সমতা ফিরে আসবে।
★
নারী,
না হোক বেচারি।
নারী,
না হোক অবলা।
নারী,
না হোক পরনির্ভরশীল।
নারী,
হোক অর্ধাঙ্গিনী….।
অবিবাহিত নারীদের জন্য;
ফেসবুক মন্তব্য
শেয়ার করুনঃ