“পরিশ্রম বুজেছি বাবা”
বিশ্বজিৎ
সকাল থেকে কাজ করছে বাবা।
একটা মানুষ কিভাবে এতো পরিশ্রম করতে পারে?
চোখের সামনে রাতকে দিন দিনকে রাত করে কাজ করে।
বাবা সবসময় আমার পাশেই ছিলো,
না এখন নেই পাশে,আমি প্রবাসী,
তাই ভুল সঠীক সিধান্ত গুলো,
এখন বাবার কাছ থেকে নেওয়া হয় না।
আমার বাবা, আমার কাছে নেই ।
চোখের সামনে বাবার পরিশ্রম টা দেখেছি,
বাবাটা কাজ করে এখোনো,
শুনেছি কাজ করছে,
আমার ভবিষৎ উজ্জল করতে।
এটা ভাবতেও কষ্ট হয়,
একদিন আমার বাবাকে,প্রকৃতি
ছিনিয়ে নেবে আমার কাছ থেকে,
প্রকৃতির নিয়মটা তখন মানতেও হবে আমাকে।
আমি বাবাকে সবসময় চাই,
একজন ভালো বন্ধুর মতো,
একজন শিক্ষকের মতো।
একদিন স্কুল যাওয়ার পথে,
বৃষ্টির মধ্যো বাবা আমার
মাথার উপরে ছাতাটা ধরে,,
পথ চলতে চলতে বললো,
দেবাশিষ,বাবা একটা কথা বলি তোকে,
“জিবনে কষ্ট দিবিনা কাউকে,
যেন কেউ খারাপ বলেনা তোকে।
তোকে সেদিনই মানুষ ভালোবাসবে,
যেদিন তুই অন্যকে ভালোবাসবি,”
আজ আমিও কাজ করি,
বাবা পাশে নেই,
বাবা পাশে না থাকলে কতটা অসহায় লাগে,
এখন সেটা প্রতিক্ষনে টের পাই।
আচ্ছা বাবা যেদিন প্রকৃতির নিয়মে চলে যাবে,
আমার তো তখন একদমই অসহায় মনে হবে।
আমি কি তখন কাঁদবো?
যদি কাঁদি,তবে সেটাকে কি মায়া বলবো?
হু,,মায়া বলবো!!
বাবাকে কখনো বলিনি!
বাবা আমি তোমায় ভালোবাসি,,
বাবাটা যানেও ছেলেটা আমায় বড্ড ভালোবাসে ।
যখন কাজ করি,
বাবার কথা মনে পড়ে,
যখন বাবার কথা মনে করে কান্না পায়,
চোখ মুছে ভাবি,
বাবাতো আমার পাশেই আছে
তখন ফোন দিই,
ফোনের ওপারে যখন বাবার গলা শুনি,
মনে হয়,আর কিছুই চাইনা,
আমার দুটি প্রান(বাবা,মা)খুশিতে থাক সবসময়।
আমার পৃথিবী শুন্য নয়,
বাবার মতো বন্ধু যে আছে আমার পাশে,
আজ কাজের মাঝে,
তোমার পরিশ্রম বুঝি বাবা।
আজ এই প্রবাসে,
তোমায় মনে পড়ছে বাবা।