মঙ্গলবার রাতে গণভবনে ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী ওলামাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি গ্রিক মূর্তি। আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিৎ না। গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।”
এর আগে মৌলবাদীদের দাবীর প্রতি মাথা নত করে বলেছিলেন, দেশ চলবে মদিনা সনদ অনুযায়ী! এ কথা বলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের শপথ ভঙ্গ করেছেন যা তিনি ক্ষমতা গ্রহণ কালে শপথ করেছিলেন। বাংলাদেশ চলবে তার সংবিধান অনুযায়ী। অন্য কোন সনদ বা আইন সংবিধানের উপর স্থান পেতে পারে না। মদিনা সনদ ও বাংলাদেশের সংবিধান দুটি আলাদা বিষয়। মদিনা সনদ অনুযায়ী যে ইসলামী রাষ্ট্র হযরত মুহাম্মদ স্থাপন করেছিলেন তার সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কোন তুলনা হতে পারে না। বাংলাদেশ একটি আধুনিক রাষ্ট্র যার ভিত্তি হলো ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু শেখ হাসিনা এ কথা বলে দেশের চলমান সংবিধানকে হেয় করেছেন। ফলে সংবিধানের প্রতি তার আনুগত্যের অভাবের জন্য বিচার বিভাগের মাধ্যমে তাকে অভিশংসন করে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব। এর আগে হাইকোর্ট একবার তাকে “রং হেডেড” বলেছিল। তাছাড়া তিনি ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের সাথে সুর মিলিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের প্রতি অবজ্ঞা প্রদশর্ন করেছেন। এটাও প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে একধরণের দায়িত্বহীনতা। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার তার কোন নৈতিক ও আইনি অধিকার নেই।
হেফাজতের মতে নারী নেতৃত্ব হারাম। তাই বাংলাদেশের মহিলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদও হেফাজত ইসলাম অনুযায়ী অবৈধ! তারপরও কেন পদ লেহন?
এবার দেখা যাক শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ইসলাম প্রীতি ও অজ্ঞতার কিছু নমুনাঃ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতে, ইসলামিক বিশ্ব তথা ওআইসি, কুয়েত, সৌদি আরব, চীন প্রত্যক্ষভাবে পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে, কূটনীতিক ভাবে সাহায্য করার পরও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে শেখ মুজিবের ও আইসি ভ্রমন, চীন ভ্রমন, মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমন, এবং ইসরাইল বাংলাদেশের কোন ক্ষতি করা না সত্বেও ইসরাইলকে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষনা! ইসলাম প্রচারের জন্য সদ্য নির্মিত সেকুলার রাষ্ট্র বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা!!
যারা প্রাণ বাঁচাতে জায়গাজমি ফেলে ভারতে গিয়েছিল তাদের সম্পত্তি পাকিস্তানি কায়দায় অর্পিত সম্পত্তি (পাকিস্তান আমলে যা শত্রু সম্পত্তি নামে পরিচিত ছিল) নামে বহাল!! পৃথিবীর অন্যকোন দেশে গেলে আপনার সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি হবে না এমন কি পাকিস্তানে গেলেও হবে না!!
যুদ্ধে জয়লাভ করার পর শুধুমাত্র শেখ মুজিবকে বাঁচাতে ভারত ৯৬০০০ পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা না করে ছেড়ে দিয়েছিল কেননা শেখ মুজিব পাকিস্তানে বন্দি ছিল!! বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ভারতের হাজার হাজার সৈন্য নিহত হয় তাও ভারত সেই শত্রু রাষ্ট্রই রয়ে যায়!!
এতকিছু করার পরও শেখ মুজিব তাদের বিশস্ত হতে পারেননি!! তারা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছিল!! শেখ হাসিনা সংবিধানে বহু কায়দা করে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে রেখে দিয়েছেন, প্রত্যেক উপজেলায় ওহাবী সৌদির টাকায় মসজিদ বানাবেন। তাহলে বাংলাদেশ আফগানিস্থান বা সিরিয়া তো হবেই। আর বেশী দেরী কিন্তু নেই!
শিরোনাম এত বড় দেন যে সোস্যাল
শিরোনাম এত বড় দেন যে সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা যায় না। অনলাইনে লেখায় শিরোনাম ছোট রাখতে হয়।