দুই সপ্তাহেরও বেশি আগে ঠিক যেদিন সাভারের ট্র্যাজিডি যখন ঘটে আমি সকালে পোস্ট দেই ইসলাম ও শারিয়া টাইপ কিছু একটা নিয়ে। এর পরপরই জানতে পারি সাভারের ঘটনাটা আর অপরাধবোধে ভুগতে থাকি এসময়ে এমন একটা কিছু পোস্ট করার জন্যে। যার জন্যেই এতদিন পালিয়ে থাকা ইস্টিশন থেকে।
কিছুক্ষন আগে একটা পোস্ট পড়লাম প্রেম বিষয়ক। আমারও ইচ্ছে হল কিছু লিখি প্রেম বিষয়ক। ছোটকাল থেকে শুনে এসেছিলাম নারী পুরুষের প্রেম নাকি পবিত্র। বাংলা সিনেমা খুব প্রভাব বিস্তার করেছিল এ ধারনায়। ক্লাস থ্রি-তে বড় মানুষের অনুকরন করে প্রেমে পড়লাম ক্লাসের ফার্স্ট গার্লের। বিষয়টা খুবই উইয়ার্ড। অত্যন্ত নিরীহ প্রেম আর কি ! বড় হয়ে একটু সিরিয়াস প্রেমে পড়া হয়েছে কিন্তু পবিত্র প্রেমের রুপটা কখনো ধরতে পারি নি। আমি ব্লগে লিখতে আসি খুব খোলামেলা ভাবে মনের কথাগুলো লিখার জন্যে। এখন তাই করব।
আমার কাছে প্রেমটাকে পবিত্র মনে হয়নি কখনোই। আসলে পবিত্র জিনিসটার বাস্তবিক কোন অস্তিত্ব নেই। পবিত্র একটা অবাস্তব অনুভূতি যা বাস্তবের কোন বস্তু দ্বারা অনুভূত হয় না। আমরা একটা ব্যাপারকে পরিচ্ছন্ন বলতে পারি। পরিচ্ছনের বাস্তব অস্তিত্ব আছে যা পবিত্রতার নেই। পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্যে কিছু বাস্তব শর্ত পুরন করতে হয় কিন্তু পবিত্র হওয়ার জন্যে এরকম আলাদা কোন শর্ত পাওয়া যাবে না। সুতরাং একটা প্রেম বড় জোর পরিচ্ছন্ন আর সৎ হতে পারে। মানবজীবনের বিবর্তনের ইতিহাস দেখতে গেলেই আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে প্রেমের ইতিহাস। প্রেম কোন মহৎ অনুভুতির তাগিদে তৈরী হয় নি। প্রেম এর উৎপত্তি ঘটেছিল প্রয়োজনীয়তার তাগিদে।
যৌনতা আর প্রেম কি আলাদা? আপাতত এর প্রথম উত্তর, “হ্যাঁ”। কিন্তু এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই প্রেমের উৎপত্তি ঘটেছে যৌনতাকে কেন্দ্র করে। যৌনতাবোধ ছাড়া প্রেম গড়ে উঠা অসম্ভব। তাই প্রেমের ক্ষেত্রে যৌনতা অনেক প্রয়োজনীয়। আমরা মহৎ সাজার জন্যে বলতে পারি প্রেম যৌনতা নির্ভর না, কিন্তু সেটি বলা হবে সম্পুর্ণ অবৈজ্ঞানিক। পুরুষ নারীর ভেতর যৌনতাবোধ না থাকলে প্রেমের শুরুই হতে পারত না। এবং সম্ভবত আমাদের দেশে (এবং পাশাপাশি দেশগুলো প্রায় একই সংস্কৃতির) যৌনতা টেবু হওয়ার জন্যে প্রেমকে নির্বির্য – নিষ্কাম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। যেই সমাজে আশি শতাংশ মানুষ মনে করে নিষ্কাম নর-নারী প্রেম হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম প্রেম সে সমাজের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে সত্যিই আমার প্রচন্ড আপত্তি আছে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সমাজে সবচেয়ে ঘৃণিত অনুভুতি যৌনতা সম্ভবত এটার প্রতি আমাদের অতি দূর্বলতার কারনেই। আমার কাছে যৌনতা মানে তো আনন্দের খোরাক না এটা আমার কাছে প্রজননের একমাত্র মাধ্যম। যৌনতা আনন্দের জন্যে একদম অগুরত্বপূর্ণ মানবসমাজে কিন্তু প্রজননের জন্যে নয়।
প্রেম একটা অনুভূতি। একটা অনুভূতির সূচনা ঘটে কিভাবে? অনুভূতি তো স্রেফ হাওয়া থেকে আসে না, এর পেছনে থাকে একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস। একটি ব্যাপার বলে রাখা দরকার আমরা অত্যাধুনিক সমাজে বাস করলেও আমাদের মস্তিস্ক কিন্তু সেই শিকারী সমাজের। আমাদের মস্তিস্কের ভেতরে বাস করে একটি প্রাচীন শিকারী সমাজের মস্তিস্ক। তাই আমাদের অনেক অনুভূতি, যা এখন আমরা বহন করছি, জন্মেছিল সে সময়ের প্রেক্ষিতে বা সে সময়ে। আমাদের সমস্ত অনুভূতির মূলে একটি চেতনা কাজ করে সেটি হচ্ছে নিজেকে বাচিয়ে রাখা। অথবা নিজেকে বিপদমুক্ত রাখা। আবার আরো গভীরে যে চেতনা কাজ করে নিজেকে বিস্তার করানো, নিজেকে ছড়িয়ে দেয়া পরবর্তি প্রজন্মে। এই দুটি চেতনাই আমাদের সমস্ত অনুভূতি এবং কর্মের উৎস। দেখুন, আমি যদি একটি উত্তপ্ত কড়াইয়ে হাত রাখি আমি কিন্তু চাইলেও রাখতে পারব না বেশিক্ষন । আমার ভেতর সৃষ্টি হবে তীব্র যন্ত্রনাবোধ। এই যে এই যন্ত্রনাবোধের উতপত্তির মূলে আছে নিজেকে বাচানোর তাগিদ। আবার আমি আরেকটি অনুভূতির কথা একটু বলে নেই যেটির উৎপত্তি ঘটেছিল সেই আদিম সমাজে ঃ ভয়। ভয় আমরা এজন্যেই পাই যাতে আমরা স্বতস্ফুর্তভাবে বিপদ থেকে দূরে থাকতে পারি। আদিম সমাজে বিভিন্ন পশু থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে হত যার কারনে সৃষ্টি ঘটেছিল ভয় অনুভূতির। ভয় পেলে আমাদের যে শারীরবৃত্তিক পরিবর্তন হয় তা প্রত্যেকটা মানুষের জন্যেই কিন্তু একইরকম। আমরা ভয় পেলে নড়াচড়া করি না (আদিমকালে ক্ষতিকর পশু সামনে পড়লে অবশ্যই নড়াচড়া হত না যা তাকে বেশি হিংস্র করে দিতে পারে অথবা দ্রুত চিহ্নিত করতে পারে), ত্বকের নিচ থেকে রক্ত সরে যায় (আক্রমনে জখম হলে যাতে রক্তপাত কমে যায়)। এখনো ভয়ের জিনিসটি ফেস করলে আমাদের একই পরিবর্তন হয়। বনে জঙ্গলে থাকার সময় আমাদের বিষাক্ত পোকা মাকড় কে ভয় পেতে হত যার কারনে আমাদের এখনো অনেকেই তেলাপোকা-মাকড়শা দেখে আতকে উঠে যদিও জানে এটি তাকে কিচ্ছু করতে পারবে না। আমার এতগুলো কথা বলার উদ্দ্যেশ্য এই যে কোন অনুভূতিই বিনা কারনে সৃষ্টি হয়নি। এর পেছনে আছে বিবর্তনীয় কারন ও গুরুত্ব। আমরা আধুনিকেরা অনেকদিন অনুভূতিকে ঢেকে রেখেছিলাম কারন ছাড়া তৈরী হয় বলে। এখন আমরা জানি প্রত্যেকটা অনুভূতি আর বিশ্বাসের পেছনে থাকে সুদীর্ঘ কারন এবং ইতিহাস।
একটা সময় ছিল অবাধ যৌনতা। পুরুষরা ছিল বহুগামী, নারীদের তুলনার অনেক বেশি। যার কাজই ছিল প্রজনন আর নিজের জন্যে খাদ্য সংগ্রহ। কোন বন্ধন ছিল না। মানুষ সমাজবদ্ধ হওয়ার পরই দায়িত্ববোধ আসে। পুরুষরা প্রজনন করেই পালিয়ে যায় নি , একসময় যখন নারীরাই সন্তানের যত্ন নিত সেখানে পুরুষরাও সন্তানের প্রতিপালনে মনোযোগ দিল। খাদ্য সংগ্রহ পুরুষদের কাছে একটা সময় ছিল ব্যাক্তিগত পরে হয়ে গেল পারিবারিক। তারা বহুগামিত্ব থেকে একগামীর দিকে গেল। ঠিক সে সময়েই উৎপত্তি ঘটেছিল প্রেমের। আমি আগেই বলেছি, এমন কোন অনুভূতি তৈরী হয়নি যা ঠিক সেসময়ে প্রজননগত সাফল্য বাড়ায় নি (হয়ত এখন আমরা অনেক অনুভূতিকে মূল্য দেই না কারন এটা ঠিক প্রজননগত সাফল্য দিতে পারেনা, কিন্তু একটা সময় কিন্তু সেটা ঠিকই দিয়েছিল। যেমনঃ সহিংসতা, স্বার্থপরতা)। যখন অবাধ যৌনাচারন বিভিন্ন শিশু মৃত্যু বাড়িয়েছিল তখন সুষ্ঠ একটা পারিবারিক ব্যাবস্থার মাধ্যমে তা অনেক কমানো গিয়েছিল তাই প্রজননগত ভাবে সাফল্য লাভ করেছিল। ঠিক এই ভুমিকাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য উৎপত্তি ঘটেছিল একটি অনুভূতির ঃ প্রেম। সেই সন্তানগুলোই টিকে গিয়েছিল যাদের নির্দিষ্ট দুটি নারীপুরুষ পরিপূরকভাবে প্রতিপালন করেছিল। এভাবে আস্তে আস্তে নতুন প্রজন্মও এল সেই অনুভূতি নিয়ে আর হয়ে গেল প্রেমের জয়। Martie Haselton একজন মনোবিজ্ঞানী, UCLA এর, তিনি বলেছেন,
“প্রেমের সর্বোপরিভাবে আসলো সন্তানের একটি লং টার্ম প্রতিপালনের জন্যে। এটি একটি কমিটমেন্ট যা একটি বন্ধন গড়ে তুলে এবং এটি নিশ্চিত করবে সন্তানের বেড়ে ওঠা ও বেচে থাকা”
। মার্টি হাসেলটনের কথা অনেকাংশেই সত্যি। প্রেমে প্রতিজ্ঞা না থাকলে পতিতার যৌনতা আর স্ত্রীর যৌনতায় কোন পার্থক্য থাকে না।
আমি এখানে খুবই ছোটভাবে আলোচনা করব আমরা কেন সুন্দর মেয়েদের পছন্দ করি। এটার একটা বিশাল আলোচনা আছে কিন্তু এখন করব না। নাস্তা করতে হবে। আমরা মূলত যে ধরনের মেয়ে পছন্দ করি তার অনেকটা সাংস্কৃতিক কারন থাকলেও মূল ব্যাপারটা থাকে বিবর্তনীয় দৃষ্টভঙ্গিতে। আমি বলেছিলাম আমাদের মস্তিস্কের বেশিরভাগ অনুভূতি তৈরী হয়েছিল শিকারী সমাজের প্রেক্ষিতে। আমরা প্রেমের ক্ষেত্রে সৌন্দর্য্যের এত পূজারী এর কারন ও শিকারী সমাজ। প্রশ্ন আসতে পারে সুন্দর কাকে বলে? একটা জিনিস দেখা যাবে আমাদের ভেতর রুচিগত পার্থক্যটা থাকলেও কিন্তু মূলত সৌন্দর্য্যের স্কেল মোটামুটি একই। একটা সুন্দর নারীকে সবারই সুন্দর লাগে (ব্যাতিক্রমী রুচি তো থাকতেই পারে আমি স্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলছি)। কেন সুন্দর লাগে? আমরা সুন্দর বা ভাল সেটাই বলবে যেটি আমাদের বেচে থাকার ও প্রজনন ক্ষেত্রে একটি সুবিধা দিবে। তাহলে আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারি আমরা যাদের সুন্দর বা সুন্দরী বলছি তারা প্রজননে বেশি সফল ছিল। এরকমই তো হওয়ার কথা, অন্তত বিবর্তন তো তাই বলে। আমরা পুরুষরা সাধারনত স্লিম ফিগার মেয়ে পছন্দ করি। এর কারন শিকারি সমাজের মস্তিস্ক। তখন যে সব নারীরা চিকন ও হালকা পাতলা ছিল তারা বিপদ খুব সহজে এড়িয়ে যেতে পারত ও নিজেকে ও সন্তানকে বাচিয়ে রাখতে পারত বেশি। যার কারনে পাতলা দেহের অধিকারীরা প্রজনন খাতে বেশি সফল ছিল। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন কোমড় আর নিতম্বের মাপ যদি একটা নির্দিষ্ট মাপের হয় তাহলে তারা আমাদের কাছি বেশি আকর্ষনীয়া হয় সেটা ৬/১০ এবং সেসব নারীরা শিকারি সমাজে হত বেশি উর্বর। আর মোটা মেয়েদের অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যেত তাই প্রজনন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছিল। আর নারীরা পুরুষদের এখনো শক্ত সামর্থ্য পেশিবহুল শরীর পছন্দ করেন এর কারন শিকারি সমাজে সে সব পুরুষরাই বেশি শিকার করতে পারত যারা ছিল বেশি শক্তিশালী পেশিবহুল। তারাই বিপদ থেকে বেশি রক্ষা করতে পারত নিজেদের এবং বেশি খাদ্য জোগার করতে পারত। বিবর্তনের একটা নিয়ম হচ্ছে বিবর্তনের পুরোনো ছাপ থেকে যায় আমাদের মস্তিস্কে। তাই সেসব সৌন্দর্য্যের স্কেল আমরা এখনো বহন করছি।
এখন আমি একটু প্রসঙ্গ থেকে সরে আসছি। বিবর্তনে কোন অনুভূতি তৈরী হয় সে সময়ের প্রয়োজনে যা একসময় অবাঞ্চিত বলে ঘোষনা হতে পারে যখন দেখা যায় সেটা আর সেরকম সাহায্য করছেনা বেচে থাকতে বা বাচিয়ে রাখতে। যেমন ঃ সহিংসতা, স্বার্থপরতা, তেলাপোকার ভয় ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা এ সমাজেও সৌন্দর্য্যকে আদিম স্কেলে মাপতে চাই যা এখন সত্যিই দরকারি নেই। আমরা কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব না আমরা প্রেম করার জন্যে সুন্দরী মেয়ে খুজি না। আমরা সুন্দর মনের সত্যিকার অর্থেই কম প্রাধান্য দেই। শিকারি সমাজে মানুষের ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারনে মনের কোন রুপ দিতে পারত না তাই সেসময় দেহই ছিল পরিচয়ের উৎস। তাই দৈহিক গুরুত্ব ছিল অনেক। এখন আমরা কিন্তু সে সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ফেলেছি। আমাদের কাছে মন এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেহ থেকে। কারন একটি সুন্দর মনের মানুষ আমাদের বা সমাজকে বাচিয়ে রাখার জন্যে যতটুকু জরুরী সুন্দর দেহ সেরকম জরুরী নাও হতে পারে। এখন পুরুষের পেশি সমাজকে খুব একটা উপকার দিতে না পারলেও ভাল মন কিন্তু সর্ব ক্ষেত্রেই যথার্থতা দিতে পারে। তাই ছেলেদের বলব, ফিগারটার গুরুত্ব একটু কম দিন। আর মেয়েদের বলব, পেশির গুরুত্ব একটু কম দিন। অবশ্য একথা ঠিক যে মেয়েদের সৌন্দর্যচেতনা পুরুষের চেয়ে কম দেহের সঙ্গি নির্বাচনের জন্যে।
লিখা শেষ করব। সামান্য কিছু কথা বলে নেই। প্রেম সুদীর্ঘ ইতিহাসের ফল। এটি কোন স্বর্গীয় জিনিষও নয়। নিষ্কাম-পবিত্র কিছুও না কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রেম করতে চাই এজন্যই যে আমরা চাই একটি নিশ্চিত জীবনসঙ্গি-যৌনসংগি যাকে নিয়ে আমরা নিজেদের ভাল ভাল জিনগুলো ছড়িয়ে দিব পরবর্তি প্রজন্মে (আমরা কারিনাকে যতই সেক্সি বলিনা কেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জীবনের জন্যে পছন্দ করি একটি কেয়ারিং ভাল মানুষকেই) । আমরা যদি আনন্দের জন্যে হেয়ালিভাবে শত শত প্রেম করার চেয়ে খুব বুঝে শুনে একটি ভাল মানুষের সাথে জীবন পাড় করতে পারি তাহলে সেটিই হবে বিবর্তনীয় দৃষ্টিতে আদর্শের পরিচয়। এখন ছেলেমেয়েদের দেখি একাধিক প্রেমে একটা ক্রেডিট খুজে পায় যার মূল্য সমাজে থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি অনুভূতির অসৎ ব্যাবহার অপছন্দ করি। হ্যা, আমাদের ভুল বাছাইয়ের জন্যে মনে হতে পারে যাকে আমি দেখেছিলাম জীবনসঙ্গি হিসেবে সে পরিপূর্ণ নয় আমার রুচি অনুযায়ি। এটি হতেই পারে আমাদের মিস ক্যালকুলেশনের জন্যে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমরা উদ্দ্যেশ্যমুলকভাবে বহুগামিত্বের একটি রুপ দেখাব। যারা আমার আবেদনটা বুঝতেছেন না তারা তর্ক শুরু করবেন , বহুগামিত্ব কি খারাপ নাকি ?? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্যে ফিরে যেতে হবে পেছনে এবং বিশ্লেষন করতে হবে মানুষিকতা ও সমাজব্যাবস্থা মানবিক রুচি ও মানবিকতা।
যাই হোক, ভালবাসার জয় হোক। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ুক আপনার ঘরের প্রতিটি কোনায় ও উপচে পড়ুক চৈকাঠ পেরিয়ে। ভালবাসতে থাকুন আর খুব পবিত্র মনোভাব নিয়ে চুম্বন করুন প্রেমিকা-প্রেমিকটিকে। পাপ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
আমার কাছে প্রেমে সংজ্ঞাটা
আমার কাছে প্রেমে সংজ্ঞাটা হচ্ছে, “বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সাময়িক দৈহিক আকর্ষণই প্রেম”।
স্বপক্ষে কিছু তথ্য পেলাম…
আর দুর্দান্ত পোস্ট…
এইটা আধুনিক বা ফ্রয়ডীয় প্রেম,
এইটা আধুনিক বা ফ্রয়ডীয় প্রেম, প্লেটোনিক প্রেম একটু ভিন্নতর…
আপনি প্লাটোনিক প্রেম বলতে কি
আপনি প্লাটোনিক প্রেম বলতে কি বুঝেন? এখানে আমি রোমান্টিক প্রেমের ব্যাপারে আলোচনা করেছি।
আপনি রোম্যান্টিক প্রেমের কথা
আপনি রোম্যান্টিক প্রেমের কথা বলেছেন আমি জানি!! 🙁
আমি ক্লান্ত কালবৈশাখী-কে বলেছিলাম!! দেখেন আমি প্রতিমন্তব্যে মন্তব্য করেছি!!
:মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
আমি দুখিত
আমি দুখিত 🙁
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালোবাসার অনুভূতি শাশ্বত,
ভালোবাসার অনুভূতি শাশ্বত, চিরন্তন, চরম পর্যায়ের প্রলয় সৃষ্টিকারী ধ্বংসাত্মক এবং নির্মল বিশুদ্ধ কোমল।
প্রেমহীন শারীরিক সম্পর্ক শুধু মুক্তি দেয়, তৃপ্তি দেয় না।
ভালবাসার অনুভূতি কিন্তু
ভালবাসার অনুভূতি কিন্তু শাশ্বত নাও হতে পারে। তাই না?
চমৎকার বিশ্লেষন আর গবেষনাধরমী
চমৎকার বিশ্লেষন আর গবেষনাধরমী একটা লেখা লিখেছেন। আরাম পেলাম পড়ে। 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে লিখে
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে লিখে আরাম দিতে পেরে আমি ধন্য বোধ করছি 😀
আপনার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক সেটা
আপনার লেখার একনিষ্ঠ পাঠক সেটা তো জানেনই। অনেকদিন পড় লিখলেন। ধর্ম নিয়ে লেখার জন্য সফি হুজুরের গজব পড়ছিল নাকি? :ভেংচি:
লেখা ভালো লাগল। নিজের চিন্তাধারার সাথে অনেক মিল খুঁজে পেলাম। নিয়মিত চেই আপনার লেখা। :ভালাপাইছি:
আপনাকে ধন্যবাদ। আমি কিছু
আপনাকে ধন্যবাদ। আমি কিছু লিখলেই আপনার মন্তব্য আশা করেই লিখি এখন 😛 ধর্ম নিয়ে লিখার পর আমি বনবাসে গিয়েছিলাম বেশ কিছুদিন। তাই লিখা হয় নি। 😛
এইখানে আপনাকে প্ল্যাটনিক
এইখানে আপনাকে প্ল্যাটনিক প্রেম আর রেশনাল প্রেমের পার্থক্য টা করা উচিৎ ছিল!!
যা হোক চমৎকার লিখা! ওই প্রাসঙ্গিক আলোচনা লিখাকে আরও শক্তিশালী করত…
মহা পাপী শফি হুজুর আবার গজব দিতে পারে নাকি? 😉
এইখানে আপনাকে প্ল্যাটনিক
তারিক ভাইয়ের সাথে সহমত ।
অসাধারন একটা গবেষণাধর্মী পোস্ট এর জন্য :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
তাহলে লিখাটা অনেক বড় হয়ে যেত।
তাহলে লিখাটা অনেক বড় হয়ে যেত। একটু বড় হলে অনেকেই পড়তে চায় না। আর আমি যখন লিখি একদম নিজের মনের মত লিখতে থাকি। আমার সামনে বই,খাতা,গুগলও থাকে না। আগের কোন চিন্তাও থাকে না তাই গোছানো থাকে না। এর পরের লিখাটা লিখব প্লাটোনিক প্রেম নিয়ে। এখানে আমার উদ্দেশ্য ছিল শুধু রোমান্টিক প্রেম টা নিয়ে লিখতে
ভাই সবাইকে পড়িয়ে কি হবে বলেন
ভাই সবাইকে পড়িয়ে কি হবে বলেন । আপনার স্বতন্ত্র আপনার কাছে । যায় হোক এটা বুঝলাম আপনার লেখার হাত অনেক সুন্দর । পরবর্তী পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকলাম । :ফুল: :ফুল:
প্রেমের প্রধান ভাগ দুটো হতে
প্রেমের প্রধান ভাগ দুটো হতে পারে ক) সর্গীয় প্রেম খ) আর লৌকিক প্রেম। তুমি বলছ তুমি রমান্টিক প্রেম নিয়ে আলচনা করলে। “” যেই
সমাজে আশি শতাংশ মানুষ
মনে করে নিষ্কাম নর-নারী প্রেম
হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম প্রেম সে সমাজের
শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে সত্যিই আমার
প্রচন্ড আপত্তি আছে”” এছাড়া কেউ ফ্রয়েডিয় প্রেমের কথা বললেন, রেশনাল প্রেমের কথা। সব ই আফটার রেনেসার ফল। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ও প্রজনন ক্রিয়াকে নিরাপদ রাখার জন্য একদার গমনের আদিম সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তার উন্নত সংস্করন হল প্রেম। শুরুতে সাময়ীক মুগ্ধতার পর ধিরে ধিরে অভ্যাসের মত আজিইজুওয়াল হয়ে যাওয়া কমিটমেন্টের দোলনায় প্রজন্ম কে লালন করা। একই শরীরে অভস্থ হয়ে যাওয়া। প্রেম হচ্ছে বিপরিত সভাবের প্রতি পারস্পরিক আকর্শনের প্রাকৃতিক অভ্যাস।
বেশির ভাগ মন্তব্যই হয়ে গেছে!
বেশির ভাগ মন্তব্যই হয়ে গেছে! “ভালো লেগেছে” এই ফরমাল কথাটাও বাহুল্য মাত্র…
একটু খটকা লাগলো-
লেখার শুরুর দিকে বলা হয়েছিল, প্রেমে ‘পবিত্রতা’ বলে কিছু নেই, পরিচ্ছন্নতা ও সৎ… এই জাতীয় কিছু যুক্তি-দর্শন দেয়া হলো। একেবারে শেষে এসে বললে-
“ভালবাসতে থাকুন আর খুব পবিত্র মনোভাব নিয়ে চুম্বন করুন প্রেমিকা-প্রেমিকটিকে…”
‘পবিত্র’ শব্দটা নিয়ে নিজের কথার মধ্যেই একটা অন্তঃদন্দ হয়ে গেলো না?
আরো স্পেসিফিকলি বললে- ‘পবিত্র’ জিনিসটা কী? যা ‘প্রেম’-এ নেই (কিংবা আছে!)?
আচ্ছা- যৌনতা জিনিসটা কি অপবিত্র? শিশু যদি পবিত্র হয় তাহলে সঙ্গম অপবিত্র হবে কেন?
তা যদি না হবে তাহলে প্রেমে পবিত্র/অপবিত্র বিষয়টা আসছে কিভাবে?
আরেকটা বিষয় জানতে চাচ্ছি- যৌনতাই যদি হয় প্রেমের আদি উৎস তাহলে দেশ প্রেম, মাতৃ কিংবা ভাতৃ প্রেম, ধর্ম-সৃষ্টিকর্তা বা রাসুল-এর প্রতি ইত্যাদির ব্যাখ্যা কী?
মন্তব্যের ঘরে যদিও বলা হয়েছে এখানে শুধু “রোমান্টিক প্রেম” নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে…
সর্বপরি ‘পবিত্রতা’র ব্যাখ্যাটুকু দিলেই বোধ হয় বাকি বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
🙂
পবিত্র একটা অনুভুতির নাম আমি
পবিত্র একটা অনুভুতির নাম আমি বলেছি। আমি বলেছিলাম পবিত্রতার বাস্তব অস্তিত্ব নেই। বাস্তবে আমরা পবিত্রতার জন্যে সংজ্ঞা দিতে পারব না। পবিত্র অনুভুতির ব্যাপার স্যাপার।
আর প্রথমে দেয়া হয়েছে যান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি। পরে দেয়া হয়েছে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। এটাই ব্যখা।
ধন্যবাদ। কিন্তু এই অংশটার
ধন্যবাদ। কিন্তু এই অংশটার ব্যাখ্যা তো পেলাম না…
“…পবিত্রতা জিনিসটা কী (রোমান্টিক) প্রেম’-এ আছে নাকি নেই?
আর- যৌনতা ব্যাপারটা কি অপবিত্র? শিশু যদি পবিত্র হয় তাহলে সঙ্গম অপবিত্র হবে কেন? আর তা যদি না-ই হবে তাহলে প্রেমে পবিত্র/অপবিত্র বিষয়টা আসছে কিভাবে?”
আসলে পবিত্র জিনিসটার বাস্তবিক
আমি যখন বলব পবিত্র, তখন এর সংজ্ঞা দিতে হবে। পবিত্রতা কোথাও নেই। বেহেস্তও নেই। আপনি আগে বলুন পবিত্রতা কাকে বলে। যেকোন কিছুই বড়জোর পরিচ্ছন্ন হতে পারে।
আপনি প্রেমের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক দৃষ্টি দিলে তাহলে শুধু প্রেমে কেন, কোথাও নেই পবিত্রতা। আপনি আরো একটি বুঝতে চেষ্টা করুন কি ব্লতে চাইছি। এক জায়গায় আমি সম্পূর্ণ বস্তুবাদী হয়েছি, আরেক জায়গ্য হয়েছি ভাববাদী সামান্য।
হুম, ব্যাখ্যা পেলাম। কিন্তু
হুম, ব্যাখ্যা পেলাম। কিন্তু যা জানতে চেয়েছি সেটা স্পষ্ট হয়নি…
এটা আমার নিজের বোঝার সীমাবদ্ধতা হতে পারে।
যাই হোক, ব্যাখ্যাহীন একটা নিরপেক্ষ মন্তব্য চাচ্ছি-
– যৌনতা ব্যাপারটা কি অপবিত্র?
পবিত্রতার সংজ্ঞা কী বলে?
যৌনতা ভাল নাকি খারাপ সেটা
যৌনতা ভাল নাকি খারাপ সেটা আপনি নির্ধারন করতে পারেন। পবিত্র ও না অপবিত্র ও না। ব্যাস। এই শব্দ দুইটাই আসবে না। অথচ আপনার মনে হতে পারে মাঝে মাঝে পবিত্র অথবা অপবিত্র। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। বিষয়টাই অবাস্তব।
কোন জিনিস পবিত্রও না আবার
কোন জিনিস পবিত্রও না আবার অপবিত্রও না। আমি বলেছি, পবিত্রতার বাস্তবসম্মত কোন অস্তিত্ব নেই। এর মানে এই না যে, অপবিত্র জিনিসে ছড়াছড়ি। এদের কোনটাই নেই। সঙ্গম অপবিত্র হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
(No subject)
:ভালাপাইছি: :থাম্বসআপ:
পড়ে ভালো লাগলো। তবে একটু দ্বি
পড়ে ভালো লাগলো। তবে একটু দ্বি -মত পোষণ করছি। পবিত্রতা শুধুই অনুভূতির ব্যপার নয়,বরং বাহ্যিক শুদ্ধতার অনূঘটকও বটে ।।
একটু ভেবে দেখবেন।
আমরা কি এরকম একটা সিদ্ধান্তে
আমরা কি এরকম একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে- পরিচ্ছন্নতা হচ্ছে একটা বাহ্যিক আচরন আর পবিত্রতা হচ্ছে তার অনুভূতি।
অর্থাৎ, শুদ্ধতার ‘কজ’ হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা আর পবিত্রতা তার ‘ইফেক্ট’…
(প্রশ্ন/মন্তব্যটা গাজী ফাতিহুন নূর এর জন্য, সেই সাথে বিপ্লব-এর সাথেও ‘সহমত’ প্রকাশার্থে… :))
নাহ। পরিচ্ছন্নতার সাথে
নাহ। পরিচ্ছন্নতার সাথে পবিত্রতার কোন সম্পর্ক নেই। একটা রাস্তা পরিস্কার থাকলে আপনি কখনো বলবেন না রাস্তাটা পবিত্র। আপনি একটা অপরিচ্ছন্ন ধর্মগ্রন্থকেও পবিত্র বলবেন। এটার মানে পবিত্র হওয়ার জন্য বাস্তবসম্মত কোন শর্ত নেই। পবিত্রতা একটা অনুভূতি কিন্তু বাস্তবে এর কোন আস্তিত্ব নেই। আপনি কেউকে বলতে পারবেন না কেন ধর্মগ্রন্থ পবিত্র লাগে আপনার কছে। অথচ একটা জিনিস পরিচ্ছন্ন হলে আপনি বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারবেন কেন সেটা পরিচ্ছন্ন।
আমার মনে হয় না, ‘পবিত্র’
আমার মনে হয় না, ‘পবিত্র’ ব্যাপারটা এতোটাই ব্যাখ্যাতীত।
আমরা যদি সব বিষয়ই বিবর্তনের সুত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করতে যাই তাহলে বোধহয় ভুল হবে।
কারণ, মানুষ প্রথমতঃ একটা পশু। কিন্তু তার পরেই মানুষের এমন কিছু ব্যাপার আছে যা সম্ভবতঃ অন্য প্রাণিগুলোর নেই। আমরা সেই ব্যাপারগুলোকে মানবীয় গুণ/অনুভূতি বলি। আপাত দৃষ্টিতে সেটার জন্য “বাস্তবসম্মত কোন শর্ত” না চোখে পড়লেও পুরোপুরি অগ্রাহ্য করারও কিন্তু সুযোগ নেই।
স্বার্থপরতা বা পরার্থতা, ভয় বা সাহসীকতা, হিংস্রতা বা প্রভুভক্ততা… ইত্যাদি গুণাবলী বা অনুভূতি প্রায় সব প্রাণীর মাঝেই বিদ্যমান, কিন্তু কিছু বিষয় একান্তই মানসিক!
পবিত্রতা’র ব্যাপারটাও হয়তো তেমনই কিছু একটা!
“পবিত্র বলে কিছু নেই” এককথায় এই বাক্যটা তাই মেনে নিতে পারছি না।
এর মধ্যে নিশ্চয় কিছু আছে যা হয়তো আমাদের গভীরভাবে ভেবে বের করতে হবে। শিকারী সমাজের চিন্তাধারা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না বলে আমরা এমন সিদ্ধান্তে আসতে পারি না নিশ্চয়ই… একটা মানবীয় অনুভূতি তো কোন কারণ ছাড়াই তৈরী হতে পারে না!
(তুমি চিন্তা করতে পছন্দ কর, তাই তোমাকে একটা এসাইনমেন্ট দিলাম! আশা করছি আগামীতে এ ব্যাপারে তোমার কাছ থেকে চিন্তিত মতামত সমৃদ্ধ কোন পোষ্ট পাব…)