আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুরুত্বপূন্য ভূমিকা পালন করে সুশাসন প্রতিষ্ঠায়। এ বাহিনীর সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহীতা সুশাসনের প্রাণ। ২০০৯ – ১৯ সাল পর্যন্ত ২০৮৮ জন মানুষের প্রাণ যায় বিচারহিৰ্ভূত হত্যাকান্ডে।২০০৯-১৯ সাল সাল পর্যন্ত ৫২৬ জন মানুষ গুম হয়। শুধুমাত্র ২০১৮ সালে ৪৫৬ জন নিহত হন (প্রথমআলো ৩০ জুলাই)। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এতো বিচারহিৰ্ভূত হত্যাকান্ড কেন ? এবং কেন মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে ? এটা আমার দেশের প্রশাসনিক ও বিচারিক সংস্কৃতি নয়। অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করা রাষ্টের মৌলিক দায়িত্ব। অপরাধীও রাস্টের একজন। অপরাধী বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রাখে রাস্টের কাছে।
সড়কে মাত্র ৯০ দিনে আমাদের ৮৩১ প্রাণ গেলো (যুগান্তর ৩০ জুলাই)। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে কিন্তু আমাদের চলার সড়কগুলি নিরাপদ নয়।এই উন্নয়ন দিয়ে কি হবে যদি আমরা না বাঁচি ? আমাদের সকলকে নিয়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি। রাষ্ট্রকেই দিতে হবে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা। ভি-আই-পি দের সাথে সাথে আমাদেরও চলার পথে, জীবনের পথে একটু নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্টের মৌলিক দায়িত্ব।
একজন সরকারি আমলার অপেক্ষায় ফেরি মুমূর্ষ রুগি নিয়ে থেমে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। রুগীর প্রিয়জনের কান্নায় আকাশ কেঁপে উঠে। তবুও ফেরি ছারে না। রুগী তার ভালোবাসার দেশ ছেড়ে অভিমান করে অসময়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে। এ খুনের দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রকি আমলাদের কাছে জিম্মি হয়ে গেলো। আমাদের কান্না কেনো পৌঁছায়না গণভবনে ?
সরকারি আমলাদের মায়না দফায় দফায় রাষ্ট্র বাড়িয়েছে। তবুও তাদের মন ভরেনা, তবুও তারা ঘুষ নেয়। সেই ঘুষের টাকা প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে বসত করে। কতো তরুণ একটি চাকরির জন্য জীবন-যৌবন বিসর্জন দিলো। রাষ্ট্র কেনো পারেনা এই দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে একটি বেকার তরুণকে চাকরি দিতে ? সরকারি আমলারা বেপরোয়া, মেহনতি মানুষের টাকায় তাঁদের মায়না হয়। কিন্তু তারা মেহনতি মানুষের হয় না।
আমাদের নগর পিতারা ব্যার্থ পিতা। তাদের নগর সন্তানরা চোখের সামনে মরছে তাদের ব্যার্থতায়। নগরপিতা তার নগর সন্তানকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করতে পারেনা। বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর লাভার মাত্রা বেড়ে যায়। এ লাভা ধ্বংসের ঔষধ যদি তারা যথাসময়ে স্প্রে করে তাহলে নাদান নগর সন্তানেরা বেঁচে যেত। নগর সন্তানেরা নাদান না হলে এমন ব্যার্থ পিতা নির্বাচন করে ? ডেঙ্গু শহর থেকে গ্রামে চলে গেলো। রাষ্ট্র থেকে কি আমরা নূন্যতম স্বাস্থ নিরাপত্তা পাবনা। আমাদের দায়িত্ব আমাদের শহরটাকে পরিষ্কার রাখা। আমাদের বাঁচার স্বার্থে , রাষ্টের স্বার্থে।
বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। কৃষক ফলিয়েছে সোনার ধান খাদ্য ঘাটতি পূরণে কিন্তু পায়না নেয্য মূল্য। কৃষকের কষ্ট কেউ দেখেনি গণভবন থেকে দু পা ফেলিয়া। ধান-চালের সংকট কালে রাষ্ট্র ধান -চাল আমদানি করে উচ্চমূল্যে। কি এমন ক্ষতি হয় দেশের কৃষককে দুটাকা বেশি দিলে। এবার ধানি মৌসুমে কৃষকরা ধানের নেয্য মূল্য পায়নি।তবুও কৃষক ধান ফলায় দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে। দেশের মানুষের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দেওয়াই তার স্বর্গীয় আনন্দ। অভাগা কৃষক দেশের আপন হতে পারে না। পায়না সোনার ধানের নেয্য মূল্য। ওই সোনার তরীতে সোনার ধানের জায়গা হয়, কৃষকের হয় না।
যখন রাষ্টের সংসদ সদস্যরা বিলেতি বাবু সেঁজে সংসদে বলে, প্রবাসি রেমিটেন্স অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। প্রবাসীর আনন্দঅশ্রু কেউ থামাতে পারে না। প্রবাসীরা তার অর্জিত সকল অর্থ দেশের হাতে তুলে দিয়ে, দেশপ্রেমের অগ্নি পরীক্ষায় পাস করে। সরকারের মন্ত্রী -এমপি ও আমলারা যখন বিদেশে যায়। প্রবাসীরা তাদের সঙ্গ দেয় তার পরও আপন হতে পারে না।ভুমধ্যসাগরে প্রবাসী ভেসে মরে কেউ খবর রাখে না। সাউথ আফ্রিকার রাস্তাগুলি প্রবাসীদের রক্তে রঞ্জিত কেউ তাদের পশে দাঁড়ায় না। দাসত্বের জীবনে যখন মায়ের মুখটা কিংবা প্রিয়তমার মুখটা দেখতে দেশে আসে বিমানবন্দরে হয় হয়রানির শিকার। এ অপমান , লজ্জা রাষ্ট্র তাদের দেয়। তবুও প্রবাসীরা রাস্টার হয়ে থাকে , রাষ্ট্র শুধু করে ছলনা প্রবাসীদের সাথে। তবুও প্রবাসীরা গায়, ও আমার দেশের মাটি তোমার তরে ঠেকাই মাথা।