রমজান মাস চলছে মুমিন বান্দারা সবাই সিয়াম সাধনা করছে একই সাথে সারা মাস ধরে কোরান খতম দিবে,অর্থাৎ কোরান পাঠ শেষ করবেন। আমি সকল মুমিন ভাই বোনদের প্রতি অনুরোধ করছি তারা যেন কোরান আরবীতে পড়ার সাথে সাথে বাংলা অনুবাদটাও পড়েন। ইসলামকে জানার এর চাইতে মহত উপায় আর নেই। যাদের মাতৃভাষা আরবী না, বা যারা আরবী পড়ে অর্থ বুঝতে পারেন না , তাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয় আরবী কোরানের মধ্যে কি লেখা আছে। কোরানে কি লেখা আছে তা জানার জন্যে হলেও কোরানকে মাতৃভাষায় পড়া উচিত। তোতা পাখীর মত কোরান পড়ে কোন লাভ নেই, আর তাতে ভাল মুমিন মুসলমান হওয়াও যায় না। তোতাপাখীর মত কোরান পাঠকারী জ্ঞানী মুসলমান নয়। তোতা পাখির মত তত করে কোরআন পাঠ করলে সেখানে সেই কোরআনে বিজ্ঞান খুঁজে পাবেন কিন্তু মাতৃভাষায় কোরান পড়ে দেখুন বিজ্ঞানের “ব”পাবেন না।
আরবি ভাষায় কোরআন মুখস্থ পড়লে আবেগে আপ্লুত হয়ে আল্লাহর নামে জিহাদে নেমে পড়বেন, একই কুরআন যদি মাতৃভাষায় পড়ে দেখেন আপনার কাছে বিরক্ত লাগবে, আমার কথা বিশ্বাস না হলে একদিন বাংলায় নামাজ পড়ে দেখুন, অর্থাৎ নামাজে দাড়িয়ে সূরা গুলো যা আরবিতে আওড়াচ্ছেন সেগুলো একদিন বাংলায় পড়ে দেখুন আপনার অনুভূতি কেমন হয় আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন,এই কোরআন যে কোনো সৃষ্টিকর্তার বাণী নয় বা কোরআনের মধ্যে যে আলৌকিক কোন ক্ষমতা নাই সেটা আপনি ধরে ফেলবেন। ইসলাম ধর্মের মানবিকতার কোন স্থান নেই ইসলাম ধর্মের যা আছে ধরো মারো কাটো জিহাদ করো সবাইকে ইসলামের ধাবিত করো। যেমন ইসলামের একটা দিক সবাই ভাল মনে করে সেটা হচ্ছে যাকাত দেওয়া অর্থাৎ যাকাতের টাকায় গরিব-দুঃখীদের উপকার করা এই যাকাত, ফিতরা নামের ইসলামী সাহায্যগুলো কিন্তু শুধুমাত্র ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য। অমুসলিমদের জন্য কোন ইসলামী সাহায্যের ব্যবস্থা আল্লাহপাক রাখেননি তাহলে এই যাকাত ফিতরা কিভাবে মানবিক হয়? বাড়ির পাশে অসুস্থ ব্যক্তি খাবারের অভাবে চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে যাকাত ফিতরার টাকা পাবে না এই আইন কিভাবে নৈতিক হয়? অথচ অমুসলিমরা সব সময় মুসলিমদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তারা কখনোই তাদের ধর্মকে গুরুত্ব দেয়নি মানবতাকে গুরুত্ব দিয়েছে। যেমন ধরুন সিরিয়া আফগানিস্তান ইরাক ইরান থেকে অসংখ্য মুসলিম-অমুসলিম অর্ধশত দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এ সকল মুসলিমদের থাকা-খাওয়া চিকিৎসা সবকিছু বন্ধ ব্যবস্থা করছে এই অমুসলিমরাই। অথচ এক মুসলিম হয়ে আরেক মুসলিম দেশগুলোতে এরা প্রশ্রয় পায় নি, ইসলাম ধর্ম কতটা অমানবিক হলে নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সুতরাং এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যাকাত-ফিতরা কোন মানবিক প্রথা নয়।
রমজানের ঈদ শেষ হলেই সামনে কোরবানির ঈদ চলে আসছে ধর্মের নাম করে পশুকে কোরবানি দেওয়া একটা বর্বর প্রথা, কুরবানী হচ্ছে মুসলিমদের একটা জিহাদের প্রশিক্ষণ মাত্র হাজার মানুষের সামনে ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে এরা পশুদের গলায় ছুরি চালিয়ে প্রমাণ করে এরা কতটা বর্বর সবার সামনে পশুদের জবাই করে মূলত এরা মানুষকে জ-বাই করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কুরবানীর প্রথা যেভাবে আবিষ্কার হলো ইব্রাহীম নবী কে নাকি আল্লাহ প্রিয় বস্তু কোরবানী দিতে বললেন, মানে প্রিয় বস্তু হত্যা করলেন। আর সে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু নিজের পুত্রকে আল্লাহকে খুশি করার জন্য হত্যা করল, চোখ মেলে দেখল তার পুত্র তার পাশে অক্ষত দাঁড়িয়ে আছে হত্যা হয়েছে একটি পশু। সে নিরীহ প্রাণীটির কেমন লেগেছিল যখন সে খুন হয়! আর তার পুত্রের চেয়ে তার নিজের জীবনটি কি তার কাছে বেশি প্রিয় ছিলনা, সে নিজেও তো নিজের জান দিয়ে দিতে পারত আল্লার জন্য। আল্লা কাউকে ছেলে খুন করে তার কাছে পরীক্ষা দিতে বলে কেন আল্লাহ কি পাগল? ধাড়ালো দাঁত থাকলেই কি নিরপরাধ প্রাণীদেরকে কামড়ে কামড়ে খেয়ে ফেলতে হবে,বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে কি মানুষের কোন বিবেক বুদ্ধি নেই, কোন দয়ামায়া, কোন মনুষয়ত্ববোধ নেই? তাহলেতো মানুষও মানুষকে খেয়ে ফেলতে পারে।হ্যাঁ আমি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি এবং কোরানের অনুবাদ পড়ার আগে মনে প্রাণে মুসলিম ছিলাম। কোরান পড়ে বুঝেছি আমি, আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে এটি জঘন্যতম। তাই কোরান পড়েই আমি ইসলাম ছেড়েছি।ইসলাম ছাড়ার পরেই আমি মানুষের কষ্টে কষ্ট পাই,ইসলাম ছাড়ার পরেই নিরীহ প্রাণীদের হত্যা হতে দেখলে আমার প্রাণ কাঁদে যা দেখে মুমিন মুসলিমদের আনন্দ হয়। এই জন্য বলছি আপনারা চেষ্টা করুন তোতা পাখির মত তত না করে নিজ মাতৃভাষায় কোরান পড়ে দেখুন বরাবরের মতো এবারও বলি ইসলাম ধর্মে কোন নীতি নৈতিকতা নেই ইসলাম কোন ধর্মই নয়, এটা একটা রাজনৈতিক সংগঠন মাত্র।