গত ক’দিন ধরেই প্রচন্ড মন খারাপ করে আছে ‘পল্টন ময়দান’।আজকে তা বেড়ে গেছে শত গুনে।নিজের ফেসবুক আইডি ‘ঐতিহাসিক পল্টন’ এ লগইন করে প্রচন্ড হতাশ হয় সে।কোন ম্যাসেজ নেই,নোটিফিকেশন নেই,নেই ওয়াল পোষ্টও।বাস্তব জীবনেও সে ইদানীং প্রন্ড শান্ত।কোন চিল্লাচিল্লি নেই,হই হুল্লোর নেই,নেই ভাগ বাটয়ারার হাতাহাতি,গালাগালি।আয়নার সামনে গিয়ে নিজের চেহারাটা দেখে মনে হয় যেন প্রানহীন ধূধূ মরূভুমি।শেষ কাকটাও এইমাত্র উড়ে গেলো শাহবাগের দিকে,প্রজন্ম চত্ত্বরে একটু ঠাই খুজে নেবার আশায়।
গত ক’দিন ধরেই প্রচন্ড মন খারাপ করে আছে ‘পল্টন ময়দান’।আজকে তা বেড়ে গেছে শত গুনে।নিজের ফেসবুক আইডি ‘ঐতিহাসিক পল্টন’ এ লগইন করে প্রচন্ড হতাশ হয় সে।কোন ম্যাসেজ নেই,নোটিফিকেশন নেই,নেই ওয়াল পোষ্টও।বাস্তব জীবনেও সে ইদানীং প্রন্ড শান্ত।কোন চিল্লাচিল্লি নেই,হই হুল্লোর নেই,নেই ভাগ বাটয়ারার হাতাহাতি,গালাগালি।আয়নার সামনে গিয়ে নিজের চেহারাটা দেখে মনে হয় যেন প্রানহীন ধূধূ মরূভুমি।শেষ কাকটাও এইমাত্র উড়ে গেলো শাহবাগের দিকে,প্রজন্ম চত্ত্বরে একটু ঠাই খুজে নেবার আশায়।
তবে তারা কারা ছিল যারা দামী আর ভারী গাড়িতে আসতো।তারা যা বলত তা কি ছিল মিথ্যার ফুলঝুড়ি?তারা কি ভন্ড ছিল?তারা কি জাতিকে দিত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি?তারা কি চোর ছিল?বাটপার ছিল?দুর্নীতিবাজ ছিল?তাদের কেউ কেউ কি তবে জড়িত ছিল একাত্তরে খুন,হত্যা,ধর্ষনের সাথে?
নাহ,আর ভাবতে পারছে না ‘পল্টন ময়দান’।বুকটা ভারী হয়ে আসছে,খুব আক্ষেপ হচ্ছে তার।সে কি পারতো না লক্ষ লক্ষ সত,সাহসী,শিক্ষিত,নির্লোভ মানুষের আন্দোলনের সাক্ষী হতে।মুহূর্তেই তার মনে পড়ে যায় ৭ি মার্চের ভাষনটাও রেসকোর্স ময়দানেই ছিল।
ইতিহাসে আন্দোলনের অনুপ্রেরণা
ইতিহাসে আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে শাহাবাগ। শাহাবাগ থেকেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। এখান থেকে ফেরার কোন পথ নেই। আজ তরুণদের এই আবেগের জায়গায় রাজনীতিবিদদের নির্লজ্জ্বের মত এসে সংহতি প্রকাশের নামে রাজনীতি করতে দেখে খুব হাসি পায়। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়- শুয়োরের বাচ্চারা, তোদের দিয়ে যেই কাজ আমরা করাতে পারিনি, সেটা আমরা নিজেরাই করছি। দেখে যা, জনতার জোয়ার কাকে বলে! যেই কাজ তোরা রাজনৈতিকভাবে করতে পারতি, সেই কাজ আমরা কেন করছি? এখন এখানে এসে কেন সংহতি প্রকাশের নামে নিজেদের কুৎসিত চেহারা দেখাচ্ছিস? লজ্জ্বা করেনা তোদের???
আমি আজ অবাক হয়েছি জনসাধারনের
আমি আজ অবাক হয়েছি জনসাধারনের সতর্কতা দেখে।শ্লোগানের সময় ভোকাল ভুল বশত যখন বলে ফেলেছে জয় বংগবন্ধু (যদিও আমি এতে ভুলের কিছু দেখি না) কিন্তু সবাই একদম চুপ করে গিয়েছিল,পাছে আওয়ামী লীগ ট্যাগ লেগে যায় আন্দোলনে।এই ছোট ছোট সতর্কতাই একদিন জয় এনে দিবে।
এত সতর্কতার মাঝেও আমারদেশ
এত সতর্কতার মাঝেও আমারদেশ এইটা খোজে পেলো?
সারা দেশের মানুষ যখন একাট্টা আর যেখানে রাজনৈতিক নেতারা দৌড়ানি খেয়ে মঞ্চ ত্যাগ করছে সেখানে ঐ পাকি কুত্তার বাচ্চাদের শাহবাগ নিয়ে রিপোর্ট লেখার ধড়ন দেখে সত্যিই আশ্চর্য্য না হয়ে পাড়িনা। আমার দেশ পত্রিকার স্লোগান নাকি আবার “স্বাধীনতার কথা বলে”…
ধিক রাজাকার ধিক
আমার দেশ যে যেখানে পাবেন আগুন
আমার দেশ যে যেখানে পাবেন আগুন ধরিয়ে দিন, এটা সবার কর্তব্য