Author: ' ইফতেখার '
স্বপ্নভঙ্গ
শহরজুড়ে নতুনত্ব। স্পষ্ট মনে আছে এদিকটায় এতো গাছপালা ছিলো! কিন্তু এখন নেই। যে জায়গাটাতে একসময় সন্ধ্যেবেলা হলের ছেলেরা এসে আড্ডা মারতো সেখানে এখন একটা বিশাল অট্টালিকা। শহরের রাস্তা যত ভেতরে যায় মানুষ তত বাড়ে। সময়ের গভীরে সময় যত যায় ততই ঘটনা বাড়ে। সময়ের গতিধারা অত সহজে পরিমাপ করা যায় না,…
মধ্যরাতের স্বপ্নেরা বেঁচে থাকুক …!
যে ছেলেটা রোজ বিকেলে একতাড়া গোলাপ ফুল নিয়ে মাথা নিচু করে পার্কের ওই শেষ বেঞ্চিটাতে বসে থাকত চুপচাপ, আনমনে চিন্তা করত, কিভাবে মেয়েটাকে বলবে ওর ভালোবাসার কথা, কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে সদ্য কেনা তাজা গোলাপগুলোকে আলগোছে রেখে যেত বেঞ্চির উপরে, পার্কের ওই শেষ বেঞ্চিটাতে এখন আর কেউ বসে না,কেউ…
বাস্তবতায় ভালোবাসা….
সোডিয়াম বাতির অালোয় হলদে হয়ে যাওয়া রাস্তাটা দিয়ে অফিস শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল অর্ঘ্য। হঠাৎ করে তার চোখে পড়ল সেই কফি হাউজটা।যেখানে রোজ সাত কিলো রাস্তা পেরিয়ে রিমিকে নিয়ে কফি খেতে অাসত অর্ঘ্য।রিমি বলত এই কফি হাউজে অাসলে নাকি সে অন্যরকম ফিল করে।এই কফি হাউজের কফি নাকি রিমির খুব ভালো…
“অপ্রকাশিত ভালোবাসা”
কোন এক বসন্তের সকাল। অনির্দিষ্টের মতো ছেলেটা একটা শপিং কমপ্লেক্সের ভিতর এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একসময় তার চোখ পড়ে যায় একটা CD-স্টোরের কাউন্টারে দাঁড়ানো খুব সুন্দর একটা মেয়ের দিকে। মেয়ের হাসিটা ছিল অপূর্ব রকমের সুন্দর , ছেলেটা প্রথম দেখায় মেয়েটার প্রেমে পড়ে যায়। এটাই মনে হয়, Love At First Sight….
অদিতির বৃষ্টি ভেজার গল্প !
-আফা আর যামু না ! -যাবেন না মানে কি ? -আফা ! বৃষ্টি শুরু হইছে ! আর যামু না ! আপনে নাইম্মা যান ! টেকা দেওয়ান লাগবো না ! অদিতির এখন খুব কঠিন কিছু কথা বলতে ইচ্ছে করছ রিক্সা ওয়ালা কে ! কিন্তু অদিতি কাউকে কঠিন কিছু বলতে পারে না…
স্নিগ্ধতার দীঘিতে সুপ্তি …!
“তুমি আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসো। এই প্রচণ্ড ভালোবাসার কারণেই তুমি জনমভর আমার খুশির কারণ হতে পারবে। এর কোনটা অভিনয় হলেও আমি ধরতে পারবো না। কারণ এসব মিথ্যা বা অভিনয়ের পিছনেও আছে আমার প্রতি ভালোবাসা। যেদিন ভালোবাসাটা থাকবেনা সেদিন অবশ্য ব্যাপারগুলো অন্যরকম হবে। আমিও মিথ্যা ধরতে পারব, অবহেলা বুঝতে পারব। মানুষ মানুষকে…
বালিকা, আমার আয়নায়- তোমায় দেখা যায়
তুমি হতে পারো অনিন্দ্য রূপবতী কোন অষ্টাদশী তরুনী।আবার তুমি হতে পারো খুব সাধারণ একটা মেয়ে- সবার চোখে অসুন্দর। কিন্তু বাতাসে এলোমেলো উড়ে যাওয়া তোমার খোলা চুল দেখে আমি পাগল হতে পারি- চুপে চুপে তোমায় নিয়ে লিখে ফেলতে পারি কয়েকটি পঙক্তি, কিংবা একটি কবিতা। তোমায় ভেবে ভেবে আমি রাতের পর রাত…
শ্যামলা মেয়ের গল্প
আষাঢ় মাস। এক শ্যামলা মেয়ের আকাশজুড়ে শ্রাবণের ঢল নেমেছে। প্রকৃতি অঝোরে কাঁদছে। প্রকৃতির ছাই রং প্রভাব ফেলছে মেয়েটার রূপে। শ্যামলা মেয়েদের এই এক সমস্যা—বর্ণচোরা ওরা। প্রকৃতিই নির্ধারণ করে আজ ওদের লাগবে কেমন। সদ্য ১৮ পেরিয়ে ১৯–এ মেয়েটা। তাঁকে আজ ছেলেপক্ষ দেখবে বাইরে কোথাও। মেয়েপক্ষও ছেলেকে দেখবে। শ্যামলা মেয়ের মা কটকটে…
নাহ … কল্পনার জগতে কোন “মন খারাপ” এর জায়গা নেই …
জীবনটা বাংলা সিনেমা না … বাংলা সিনেমা হলে দুইজন মিলে একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে রাখতো … জড়সড় হয়ে বসে একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতো … তারপর হয়তো একটা গান শুরু হয়ে যেতো !!
“কথা” নামে একটা ছুরি আছে …
মেয়েটা কাঁদছিল … তার টলমলে চোখে এক ধরণের অবিশ্বাসের ছাপ ছিল … তার পৃথিবীটা মূহুর্তের জন্য অন্ধকার হয়ে আসছিল … এইমাত্র ছেলেটার শেষ কথাটা একটা ভয়াবহ ধারালো ছুরি হয়ে তার ভেতরটাকে কুচি কুচি করে কেটে ফেললো … মেয়েটা জানে না সে কেন এখনো বেঁচে আছে … তার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট…
কু ঝিক ঝিক